বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার জ্ঞানপাড়া এলাকায় চোরা শিকারিদের ফেলে যাওয়া একটি ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ করেছে বন বিভাগ। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের জ্ঞানপাড়া টহল ফাঁড়ির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ সফলতা অর্জন করেন।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তারই অংশ হিসেবে ফরেস্টার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে জ্ঞানপাড়া মাঝেরচরের পশ্চিম পাড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরা শিকারিরা একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, হরিণ ধরার ফাঁদ ও বরফ ফেলে বনের গহিনে পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ট্রলার থেকে ৬ বস্তা হরিণ ধরার ফাঁস, ১০ মণ বরফ এবং ট্রলারটি জব্দ করা হয়।
চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব জানান, দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জব্দকৃত ফাঁদ ও ট্রলারের বিরুদ্ধে বন মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে। তিনি আরও বলেন, ‘বন, বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমরা সর্বদা সজাগ। চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ঘটনা এখন নিয়মিত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বন বিভাগের জন্য। শিকারিরা বিভিন্নভাবে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে এবং মাংস পাচার করে থাকে। তবে এ ধরনের ধারাবাহিক অভিযান চোরা শিকারিদের দমন এবং সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার জ্ঞানপাড়া এলাকায় চোরা শিকারিদের ফেলে যাওয়া একটি ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ করেছে বন বিভাগ। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের জ্ঞানপাড়া টহল ফাঁড়ির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ সফলতা অর্জন করেন।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তারই অংশ হিসেবে ফরেস্টার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে জ্ঞানপাড়া মাঝেরচরের পশ্চিম পাড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরা শিকারিরা একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, হরিণ ধরার ফাঁদ ও বরফ ফেলে বনের গহিনে পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ট্রলার থেকে ৬ বস্তা হরিণ ধরার ফাঁস, ১০ মণ বরফ এবং ট্রলারটি জব্দ করা হয়।
চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব জানান, দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জব্দকৃত ফাঁদ ও ট্রলারের বিরুদ্ধে বন মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে। তিনি আরও বলেন, ‘বন, বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমরা সর্বদা সজাগ। চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ঘটনা এখন নিয়মিত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বন বিভাগের জন্য। শিকারিরা বিভিন্নভাবে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে এবং মাংস পাচার করে থাকে। তবে এ ধরনের ধারাবাহিক অভিযান চোরা শিকারিদের দমন এবং সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।