দশমিনা(পটুয়াখালী) : আবাদি জমিতে মুগডালের বাম্পার ফলন - সংবাদ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ আবাদি জমিতে এই বছর মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া, পর্যাপ্ত সার-বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতির সহজ লভ্যতা ও কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার কারণে মুগডাল চাষে কৃষকরা আগ্রহী হওয়ায় এমন ফলন হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ কৃষক এক সময় আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল ছিল। প্রান্তিক কৃষকরা অল্প সময়ে অধিক লাভের কারণে এখন আমন ধানের পাশাপাশি বোরো ধান, তরমুজ, সূর্যমুখী, ভুট্টা ও মুগডাল চাষ করছেন। তবে ক্ষেত থেকে ডাল তোলার শ্রমিক সংকটের কারণে ফসল তোলা ব্যাহত হচ্ছে। জমিতে অধিকাংশ ডাল পেকে যাওয়ায় ফেটে জমিতেই পড়ে যাচ্ছে। কৃষকরা জানায়, কৃষি শ্রমিকের সংকট থাকায় তারা ফসল তুলতে পারছে না।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষ করা হয়Ñ যা গত বছরের তুলনায় ১৮৫ হেক্টর কম। এদিকে বোরো ধান, তরমুজ, সূর্যমুখী ও ভুট্টা চাষ বৃদ্ধির ফলে মুগডাল চাষ কমেছে বলে কৃষি অফিস দাবি করছে। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের কৃষক খলিল তালুকদার বলেন, এবার সাড়ে ১১ একর জমিতে মুগডালের আবাদ করা হয়। ফলনও ভালো হয়েছে তবে শ্রমিক সংকটের কারণে ডাল তুলতে পারছেন না। তাদের দাবি ঈদের ছুটির কারণে অনেক শ্রমিক কাজে আসছেন না। এই কারণে কিছু ডাল ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামের কৃষক সংকর চন্দ্র বলেন, ঈদের আগে কৃষি শ্রমিকদের ডাল এক-তৃতীয়াংশ দিতে হতো। এখন শ্রমিক সংকটের কারণে তাদের ডালের অর্ধেকটা দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের লোকসান বেশি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহম্মেদ জানান, অনুকূল আবহাওয়া, পর্যাপ্ত সার-বীজ ও আধুনিক কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতার কারণে চলতি বছর মুগডালের ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রবি মৌসুমে এখানে তরমুজের পরই বেশিরভাগ জমিতে মুগডালের আবাদ হয়। অপেক্ষাকৃত কম শ্রম দেয়ার কারণে কৃষকরা এই ফসলটি উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে থাকে।
দশমিনা(পটুয়াখালী) : আবাদি জমিতে মুগডালের বাম্পার ফলন - সংবাদ
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ আবাদি জমিতে এই বছর মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া, পর্যাপ্ত সার-বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতির সহজ লভ্যতা ও কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার কারণে মুগডাল চাষে কৃষকরা আগ্রহী হওয়ায় এমন ফলন হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ কৃষক এক সময় আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল ছিল। প্রান্তিক কৃষকরা অল্প সময়ে অধিক লাভের কারণে এখন আমন ধানের পাশাপাশি বোরো ধান, তরমুজ, সূর্যমুখী, ভুট্টা ও মুগডাল চাষ করছেন। তবে ক্ষেত থেকে ডাল তোলার শ্রমিক সংকটের কারণে ফসল তোলা ব্যাহত হচ্ছে। জমিতে অধিকাংশ ডাল পেকে যাওয়ায় ফেটে জমিতেই পড়ে যাচ্ছে। কৃষকরা জানায়, কৃষি শ্রমিকের সংকট থাকায় তারা ফসল তুলতে পারছে না।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষ করা হয়Ñ যা গত বছরের তুলনায় ১৮৫ হেক্টর কম। এদিকে বোরো ধান, তরমুজ, সূর্যমুখী ও ভুট্টা চাষ বৃদ্ধির ফলে মুগডাল চাষ কমেছে বলে কৃষি অফিস দাবি করছে। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের কৃষক খলিল তালুকদার বলেন, এবার সাড়ে ১১ একর জমিতে মুগডালের আবাদ করা হয়। ফলনও ভালো হয়েছে তবে শ্রমিক সংকটের কারণে ডাল তুলতে পারছেন না। তাদের দাবি ঈদের ছুটির কারণে অনেক শ্রমিক কাজে আসছেন না। এই কারণে কিছু ডাল ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামের কৃষক সংকর চন্দ্র বলেন, ঈদের আগে কৃষি শ্রমিকদের ডাল এক-তৃতীয়াংশ দিতে হতো। এখন শ্রমিক সংকটের কারণে তাদের ডালের অর্ধেকটা দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের লোকসান বেশি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহম্মেদ জানান, অনুকূল আবহাওয়া, পর্যাপ্ত সার-বীজ ও আধুনিক কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতার কারণে চলতি বছর মুগডালের ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রবি মৌসুমে এখানে তরমুজের পরই বেশিরভাগ জমিতে মুগডালের আবাদ হয়। অপেক্ষাকৃত কম শ্রম দেয়ার কারণে কৃষকরা এই ফসলটি উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে থাকে।