পিরোজপুরের নাজিরপুরে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বকনা বাছুর বিতরণে ব্যপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী ৭০ কেজি ওজনের বাছুর দেয়ার কথা থাকলেও, উপকারভোগীদের দেয়া হয়েছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ কেজি ওজনের গরু। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে এ ধরনের অনিয়ম ভবিষ্যতের উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে জানান সচেতন মহল।
গত ৩০ এপ্রিল (বুধবার) বিকেল ৫টায় উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ে মৎস্যজীবিদের মাঝে গরুর বাছুর বিতরণ কার্যক্রম চলাকালে এই অনিয়ম দেখা যায়। অভিযোগ রয়েছে, অনেক উপকারভোগী গরু নিতে অস্বীকৃতি জানালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বলা হয়, না নিলে গরু আর পাবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একভুক্তভোগী বলেন, আমাগো বাজেট দিয়া যদি কম ওজনের গরু দেয়, তাও ঠিক আছে। কিন্তু ফিতা দিয়ে গরুর ওজন মেপে দিতে হইবো ক্যান? এইটাতো গরু, এইটাতো আর গাছ না! প্রকল্পের উপকারভোগী মৎস্যজীবী উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়া বলেন, গরুর ওজন হওয়ার কথা ৭০ কেজি। কিন্তু যেই গরু পেয়েছি, সেটার ওজন ৪০ কেজিও হবে না।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, সরকার কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রকল্প দিচ্ছে। অথচ সেখানে অনিয়ম হচ্ছে। এটা মানা যাবে না। জনগণের টাকায় কেনা গরু জনগণকে সঠিকভাবেই দিতে হবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাজিরপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন বলেন, উপকারভোগীরা যদি গরু নিতে না চান তাহলে আমরা এই প্রকল্পটি বাতিল করে দেব। নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি বলেন, গরুর বাছুর যেই ওজনের দেয়ার কথা ছিল তার চেয়ে কম ওজনের বাছুর দেয়ার বিষয়ে অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হবে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
পিরোজপুরের নাজিরপুরে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বকনা বাছুর বিতরণে ব্যপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী ৭০ কেজি ওজনের বাছুর দেয়ার কথা থাকলেও, উপকারভোগীদের দেয়া হয়েছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ কেজি ওজনের গরু। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে এ ধরনের অনিয়ম ভবিষ্যতের উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে জানান সচেতন মহল।
গত ৩০ এপ্রিল (বুধবার) বিকেল ৫টায় উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ে মৎস্যজীবিদের মাঝে গরুর বাছুর বিতরণ কার্যক্রম চলাকালে এই অনিয়ম দেখা যায়। অভিযোগ রয়েছে, অনেক উপকারভোগী গরু নিতে অস্বীকৃতি জানালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বলা হয়, না নিলে গরু আর পাবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একভুক্তভোগী বলেন, আমাগো বাজেট দিয়া যদি কম ওজনের গরু দেয়, তাও ঠিক আছে। কিন্তু ফিতা দিয়ে গরুর ওজন মেপে দিতে হইবো ক্যান? এইটাতো গরু, এইটাতো আর গাছ না! প্রকল্পের উপকারভোগী মৎস্যজীবী উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়া বলেন, গরুর ওজন হওয়ার কথা ৭০ কেজি। কিন্তু যেই গরু পেয়েছি, সেটার ওজন ৪০ কেজিও হবে না।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, সরকার কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রকল্প দিচ্ছে। অথচ সেখানে অনিয়ম হচ্ছে। এটা মানা যাবে না। জনগণের টাকায় কেনা গরু জনগণকে সঠিকভাবেই দিতে হবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাজিরপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন বলেন, উপকারভোগীরা যদি গরু নিতে না চান তাহলে আমরা এই প্রকল্পটি বাতিল করে দেব। নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি বলেন, গরুর বাছুর যেই ওজনের দেয়ার কথা ছিল তার চেয়ে কম ওজনের বাছুর দেয়ার বিষয়ে অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হবে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।