মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : আগুনে পোড়া বসতঘরের সামনে বৃদ্ধা আম্বিয়া বেগম -সংবাদ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক বৃদ্ধ মাতা আম্বিয়া বেগমের (৭৫) করুণ আর্তনাদ অঝোরে কেঁদে বলেন, দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে নিমেষেই সব পুড়ে ছাই। ঘরে পানি খাবার পাত্রটাও নেই। এভাবে কি শক্রতা মানুষ করে। আমার ছেলেদের অপরাধ আওয়ামী লীগ করে।
কথাগুলো বলেতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ হাউমাউ করে কাঁদলেন উত্তর বর্শিবাওয়া গ্রামের বৃদ্ধ আম্বিয়া বেগম। গভীর রাতে একটি বসতবাড়ি ও দুটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বর্শিবাওয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিকটস্থ কচুয়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই বসতবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ২ দিনেও থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
জানা গেছে, উপজেলার বর্ষিবাওয়া গ্রামের মৎস্য চাষি সোহেল শিকদারের বসতবাড়িতে গভীর রাতে ১০-১২ জনের একটি দুবর্ৃৃত্তের দল পূর্ব শত্রুতার জেরে বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করেছেন। দুর্বৃত্তদের আগুনে এ সময় সোহেল শিকদার ও তার ভাই রিয়াজ শিকদারের বসতঘরের দুটি কক্ষের মালামাল পুড়ে গিয়ে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে রিয়াজ শিকদারের স্ত্রী সালমা বেগম জানান। পাশেই তার বড় ভাই কাইয়ুম শিকদারের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করলে আংশিক ক্ষতি হয়। কাইয়ুম শিকদারের স্ত্রী শিমুল বেগম বলেন, দুদিন আগে তার ছেলেকে মারপিটের ঘটনার জেরে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় ওই বাড়িতে কেউ ছিল না। সোহেলের স্ত্রী ও তার ভাই রিয়াজের স্ত্রী ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাবার বাড়িতে ছিলেন।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাজিব আল রশিদ বলেন, বর্ষিবাওয়া গ্রামে দুটি পরিবারের পারিবারিক দ্বন্দ্বে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ২ দিনে মামলা না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ না দিলে কীভাবে মামলা নেব।
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : আগুনে পোড়া বসতঘরের সামনে বৃদ্ধা আম্বিয়া বেগম -সংবাদ
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক বৃদ্ধ মাতা আম্বিয়া বেগমের (৭৫) করুণ আর্তনাদ অঝোরে কেঁদে বলেন, দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে নিমেষেই সব পুড়ে ছাই। ঘরে পানি খাবার পাত্রটাও নেই। এভাবে কি শক্রতা মানুষ করে। আমার ছেলেদের অপরাধ আওয়ামী লীগ করে।
কথাগুলো বলেতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ হাউমাউ করে কাঁদলেন উত্তর বর্শিবাওয়া গ্রামের বৃদ্ধ আম্বিয়া বেগম। গভীর রাতে একটি বসতবাড়ি ও দুটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বর্শিবাওয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিকটস্থ কচুয়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই বসতবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ২ দিনেও থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
জানা গেছে, উপজেলার বর্ষিবাওয়া গ্রামের মৎস্য চাষি সোহেল শিকদারের বসতবাড়িতে গভীর রাতে ১০-১২ জনের একটি দুবর্ৃৃত্তের দল পূর্ব শত্রুতার জেরে বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করেছেন। দুর্বৃত্তদের আগুনে এ সময় সোহেল শিকদার ও তার ভাই রিয়াজ শিকদারের বসতঘরের দুটি কক্ষের মালামাল পুড়ে গিয়ে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে রিয়াজ শিকদারের স্ত্রী সালমা বেগম জানান। পাশেই তার বড় ভাই কাইয়ুম শিকদারের বসতঘরে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করলে আংশিক ক্ষতি হয়। কাইয়ুম শিকদারের স্ত্রী শিমুল বেগম বলেন, দুদিন আগে তার ছেলেকে মারপিটের ঘটনার জেরে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় ওই বাড়িতে কেউ ছিল না। সোহেলের স্ত্রী ও তার ভাই রিয়াজের স্ত্রী ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাবার বাড়িতে ছিলেন।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাজিব আল রশিদ বলেন, বর্ষিবাওয়া গ্রামে দুটি পরিবারের পারিবারিক দ্বন্দ্বে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ২ দিনে মামলা না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ না দিলে কীভাবে মামলা নেব।