বরগুনার পাথরঘাটায় তিন স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলা ও জখমের ঘটনায় পাথরঘাটা উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব বাকি বিল্লাহ ফরাজী ও তার ছোট ভাই শফিউল্লাহ ফরাজীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষক নেতারা।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব নেছার আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন, পাথরঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আহবায়ক শামীম আহসান, সদস্য সচিব মো. হাবিবুর রহমান, মাদ্রাসা শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীর হোসাইন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মতিউর রহমান।
এসময়ে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব নেছার আহমেদ বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাকি বিল্লাহ ফরাজী ও তার ছোট ভাই শফিউল্লাহ ফরাজীসহ দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তা না হলে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন এবং কর্মবিরতির মতো কর্মসূচির ডাক দেব।
সংবাদ সম্মেলনের শিক্ষক নেতারা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের সাথে গত তিনদিনপূর্বে সড়কে সাইকেল চালানো নিয়ে এক যুবকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। ওই ঘটনা নিয়ে গত শুক্রবার সালিশি বৈঠকের নির্ধারিত তারিখ থাকায় আমরা উপজেলা পরিষদের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসা ছিলাম। হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের সঙ্গে থাকা তিন সহকারী শিক্ষক গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয় । তারা আরও বলেন, ওই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব বাকি বিল্লাহ ফরাজী ও তার ছোট ভাই শফিউল্লাহ ফরাজী।
পাথরঘাটা উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব বাকি বিল্লাহ ফরাজী সাংবাদিকদের বলেন, ওই শিক্ষকরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বিভিন্ন সময়ে তারা উশৃঙ্খল কথা বলছিল। তবে ওই হামলার ঘটনা আমি জড়িত নই। ঘটনা মিটমাট করতে আমি ওখানে গিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষকদের ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
বরগুনার পাথরঘাটায় তিন স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলা ও জখমের ঘটনায় পাথরঘাটা উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব বাকি বিল্লাহ ফরাজী ও তার ছোট ভাই শফিউল্লাহ ফরাজীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষক নেতারা।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব নেছার আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন, পাথরঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আহবায়ক শামীম আহসান, সদস্য সচিব মো. হাবিবুর রহমান, মাদ্রাসা শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীর হোসাইন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মতিউর রহমান।
এসময়ে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব নেছার আহমেদ বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাকি বিল্লাহ ফরাজী ও তার ছোট ভাই শফিউল্লাহ ফরাজীসহ দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তা না হলে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন এবং কর্মবিরতির মতো কর্মসূচির ডাক দেব।
সংবাদ সম্মেলনের শিক্ষক নেতারা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের সাথে গত তিনদিনপূর্বে সড়কে সাইকেল চালানো নিয়ে এক যুবকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। ওই ঘটনা নিয়ে গত শুক্রবার সালিশি বৈঠকের নির্ধারিত তারিখ থাকায় আমরা উপজেলা পরিষদের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসা ছিলাম। হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের সঙ্গে থাকা তিন সহকারী শিক্ষক গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয় । তারা আরও বলেন, ওই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব বাকি বিল্লাহ ফরাজী ও তার ছোট ভাই শফিউল্লাহ ফরাজী।
পাথরঘাটা উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব বাকি বিল্লাহ ফরাজী সাংবাদিকদের বলেন, ওই শিক্ষকরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বিভিন্ন সময়ে তারা উশৃঙ্খল কথা বলছিল। তবে ওই হামলার ঘটনা আমি জড়িত নই। ঘটনা মিটমাট করতে আমি ওখানে গিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষকদের ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।