সিরাজগঞ্জ : ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অপরিপক্ব বাদাম তোলার চেষ্টা করছেন -সংবাদ
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি-তলিয়ে গেছে চরের বাদামসহ অন্যান্য ফসল। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অপরিপক্ক বাদাম তোলার চেষ্টা করছেন। শনিবার বিকেল থেকে স্থল ইউনিয়নের সন্তোষা চরের বাদাম চাষিরা পানিতে নেমে অপরিপক্ক বাদাম তুলছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত বহু কৃষক পরিবার লোকশানের মুখে পড়েছে।
কৃষি অফিস ও চাষিরা জানান, চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে নতুন করে জেগে ওঠা চরে বিগত বছরের ন্যায় এবারও বাদাম চাষ করেছিল বহু কৃষক। স্থল ইউনিয়নের সন্তোষা, কোচগ্রাম, বসন্তপুর, মালিপাড়া, ছোট চৌহালী-বড় চৌহালী, তেঘুরি, স্থল চর, মি¯্রগিাতি ও লাঙ্গলমুড়া, উমারপুর ইউনিয়নের দত্তকান্দি, ছোল, উমারপুর, খাষকাউলিয়া, ঘোড়জান, সদিয়া চাঁদপুর, স্থল ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমচর এলাকা প্রায় ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়। অল্প কিছু দিনের মধ্যে বাদাম ঘরে তোলার প্রস্তুতি ছিল কৃষকদের। আকস্মিক জোয়ারে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের নিচু এলাকার বাদামেখেত তলিয়ে যায়। এতে দক্ষিন ও পশ্চিমাঞ্চলের তিন শতাধিক হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। একারণে ওই এলাকার শতাধিক কৃষকরা বড় ধরণের ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।
সন্তোষা চরের আবুশামা, লোকমান হোসেন, ছানোয়ার হোসেন, মোসছেদ আলী ও জয়নাল হোসেন জানান, অন্যান্য বছরে বাদামের বাম্পার ফলন দেখে এবার বেশি জমিতে চাষ করি। তবে আমাদের এলাকায় পানিতে তলিয়ে বহু জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। একারণে কোমর পানিতে নেমে অপরিপক্ক বাদাম তুলতে হচ্ছে।
এদিকে যমুনার পশ্চিম তীর এনায়েতপুরে দেখা যায়, পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় বাদাম তুলে নদীর পাড়ে কৃষক পরিবারের নারী, শিশুসহ সব সদস্য মিলে বাদাম ছাড়াচ্ছেন। আবার কোথাও কোথাও তারা জমির পাড়ে শুকনা স্থানে বাদাম রোদে শুকাচ্ছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সন্তোষা গ্রামের ইউপি সদস্য হাসান আলী জানান, কৃষকদের স্বপ্ন পানিতে তলিয়ে গেছে, বাদামের জমি তলিয়ে যাওয়ায় বহু কৃষক এবছর লোকশানের মুখে পড়বে। সরকারি ভাবে তাদের সহায়তার দাবি জানাই।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের উপহসকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুহুরাইয়া জানান, জানান, যমুনার চরাঞ্চলের বাদাম জমি তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সরেজিমন পরিদর্শন করেছি। অপরিপক্ক বাদাম তুলে বহু কৃষক পরিবার লোকশানের মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে, সরকারি সহায়তা এলে দেয়া হবে। এ ছাড়া বিশেষ প্রণোদনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, অসময়ে পানি বৃদ্ধির কারণে নদী চর এলাকায় বাদামের জমি ডুবে গেছে। কৃষকরা পানির মধ্যে নেমে ভেজা বাদাম সংগ্রহ করলেও সুফল পাবে না।
অধিকাংশ বাদাম নষ্ট হয়ে যাবে। পানি বৃদ্ধির কারণে নদী এলাকায় প্লাবিত ধান, কাউন, তিল সহ বিভিন্ন ধরণে ফসলের ক্ষতি হবে তিনি উল্লেখ করেন।ছে বাদামসহ অন্যান্য ফসল
সিরাজগঞ্জ : ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অপরিপক্ব বাদাম তোলার চেষ্টা করছেন -সংবাদ
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি-তলিয়ে গেছে চরের বাদামসহ অন্যান্য ফসল। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অপরিপক্ক বাদাম তোলার চেষ্টা করছেন। শনিবার বিকেল থেকে স্থল ইউনিয়নের সন্তোষা চরের বাদাম চাষিরা পানিতে নেমে অপরিপক্ক বাদাম তুলছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত বহু কৃষক পরিবার লোকশানের মুখে পড়েছে।
কৃষি অফিস ও চাষিরা জানান, চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে নতুন করে জেগে ওঠা চরে বিগত বছরের ন্যায় এবারও বাদাম চাষ করেছিল বহু কৃষক। স্থল ইউনিয়নের সন্তোষা, কোচগ্রাম, বসন্তপুর, মালিপাড়া, ছোট চৌহালী-বড় চৌহালী, তেঘুরি, স্থল চর, মি¯্রগিাতি ও লাঙ্গলমুড়া, উমারপুর ইউনিয়নের দত্তকান্দি, ছোল, উমারপুর, খাষকাউলিয়া, ঘোড়জান, সদিয়া চাঁদপুর, স্থল ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমচর এলাকা প্রায় ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়। অল্প কিছু দিনের মধ্যে বাদাম ঘরে তোলার প্রস্তুতি ছিল কৃষকদের। আকস্মিক জোয়ারে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের নিচু এলাকার বাদামেখেত তলিয়ে যায়। এতে দক্ষিন ও পশ্চিমাঞ্চলের তিন শতাধিক হেক্টর জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। একারণে ওই এলাকার শতাধিক কৃষকরা বড় ধরণের ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।
সন্তোষা চরের আবুশামা, লোকমান হোসেন, ছানোয়ার হোসেন, মোসছেদ আলী ও জয়নাল হোসেন জানান, অন্যান্য বছরে বাদামের বাম্পার ফলন দেখে এবার বেশি জমিতে চাষ করি। তবে আমাদের এলাকায় পানিতে তলিয়ে বহু জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে। একারণে কোমর পানিতে নেমে অপরিপক্ক বাদাম তুলতে হচ্ছে।
এদিকে যমুনার পশ্চিম তীর এনায়েতপুরে দেখা যায়, পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় বাদাম তুলে নদীর পাড়ে কৃষক পরিবারের নারী, শিশুসহ সব সদস্য মিলে বাদাম ছাড়াচ্ছেন। আবার কোথাও কোথাও তারা জমির পাড়ে শুকনা স্থানে বাদাম রোদে শুকাচ্ছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সন্তোষা গ্রামের ইউপি সদস্য হাসান আলী জানান, কৃষকদের স্বপ্ন পানিতে তলিয়ে গেছে, বাদামের জমি তলিয়ে যাওয়ায় বহু কৃষক এবছর লোকশানের মুখে পড়বে। সরকারি ভাবে তাদের সহায়তার দাবি জানাই।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের উপহসকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুহুরাইয়া জানান, জানান, যমুনার চরাঞ্চলের বাদাম জমি তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সরেজিমন পরিদর্শন করেছি। অপরিপক্ক বাদাম তুলে বহু কৃষক পরিবার লোকশানের মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে, সরকারি সহায়তা এলে দেয়া হবে। এ ছাড়া বিশেষ প্রণোদনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, অসময়ে পানি বৃদ্ধির কারণে নদী চর এলাকায় বাদামের জমি ডুবে গেছে। কৃষকরা পানির মধ্যে নেমে ভেজা বাদাম সংগ্রহ করলেও সুফল পাবে না।
অধিকাংশ বাদাম নষ্ট হয়ে যাবে। পানি বৃদ্ধির কারণে নদী এলাকায় প্লাবিত ধান, কাউন, তিল সহ বিভিন্ন ধরণে ফসলের ক্ষতি হবে তিনি উল্লেখ করেন।ছে বাদামসহ অন্যান্য ফসল