নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদরের মুল সড়ক হতে ডালিয়া সংযোগ সড়কের নিম্নমানের কাজ করায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার ৩ মাস যেতে না যেতেই ভেস্তে যেতে বসেছে সড়কের আরসিসি ঢালাইয়ের উপরের ভাগের অংশ। এছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্ট গুলোতে আঁকাবাঁকা ফাঁটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে কাজে সংশ্লিষ্টরা তড়ঘড়ি করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটি নির্মাণে ধুলা মিশ্রিত নিম্নমানের ময়লাযুক্ত পাথর , মাটিযুক্ত বালু এবং পরিমাণে সিমেন্ট কম ও নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হয়েছে।
জানা গেছে , ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলার সদরের মূল সড়ক হতে ডালিয়া সংযোগ সড়কে ২৭৮ মিটার আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ করে নীলফামারীস্হ সাত্তার ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজে বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ৪ হাজার টাকা। কাজ শেষ হয় ৩ মাস আগে।
সরেজমিনে দেখা গেছে , সড়কের কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু , কোথাও পাথর উঠে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। দ্রুত ও তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করায় আরসিসি ঢালাইয়ের সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলো সমান্তরাল না হয়ে আঁকাবাঁকা ও উঁচু - নিচুতে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ছামসুল হক বলেন , সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে ঢালাইয়ের কাজ করায় সদ্য নির্মিত সড়কটিতে ফাঁটল দেখা দিয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ট্রাকচালক বলেন, সড়কটি নির্মাণকালীন সময়ে একপাশে ঢালু করে তৈরি করায় কযানবাহনের চাকার ঘষায় পাথর উঠে যাচ্ছে। জানতে চাইলে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ শাহ মুন। সড়কে ফাটলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঢালাইয়ের পর চটের বস্তা বিছিয়ে সড়কে পানি দেয়া হয়েছিল সেই চট বিছানো অবস্থায় যান বাহন চলাচলের কারণে সড়কের দু-এক জায়গায় বস্তা সরে পানি কম পড়ায় এ সমস্যা হয়েছে। এটি দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি ।
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ ওঠার বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম বলেন, সঠিক নিয়ম মেনে যথাযথভাবে সড়ক নির্মামের কাজ করা হয়েছে। ঠিক সময়ে পানি কিউরিং না করার কারনে একটু ত্রুটি হয়েছে। আপনাদের যা খুশি লেখেন।
এ ব্যাপারে নীলফামারী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ হাসান বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা হবে। কাজে অনিয়ম ও কারচুপি হলে বিধিগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদরের মুল সড়ক হতে ডালিয়া সংযোগ সড়কের নিম্নমানের কাজ করায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার ৩ মাস যেতে না যেতেই ভেস্তে যেতে বসেছে সড়কের আরসিসি ঢালাইয়ের উপরের ভাগের অংশ। এছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্ট গুলোতে আঁকাবাঁকা ফাঁটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে কাজে সংশ্লিষ্টরা তড়ঘড়ি করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটি নির্মাণে ধুলা মিশ্রিত নিম্নমানের ময়লাযুক্ত পাথর , মাটিযুক্ত বালু এবং পরিমাণে সিমেন্ট কম ও নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হয়েছে।
জানা গেছে , ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলার সদরের মূল সড়ক হতে ডালিয়া সংযোগ সড়কে ২৭৮ মিটার আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ করে নীলফামারীস্হ সাত্তার ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজে বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ৪ হাজার টাকা। কাজ শেষ হয় ৩ মাস আগে।
সরেজমিনে দেখা গেছে , সড়কের কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু , কোথাও পাথর উঠে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। দ্রুত ও তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করায় আরসিসি ঢালাইয়ের সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলো সমান্তরাল না হয়ে আঁকাবাঁকা ও উঁচু - নিচুতে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ছামসুল হক বলেন , সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে ঢালাইয়ের কাজ করায় সদ্য নির্মিত সড়কটিতে ফাঁটল দেখা দিয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ট্রাকচালক বলেন, সড়কটি নির্মাণকালীন সময়ে একপাশে ঢালু করে তৈরি করায় কযানবাহনের চাকার ঘষায় পাথর উঠে যাচ্ছে। জানতে চাইলে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ শাহ মুন। সড়কে ফাটলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঢালাইয়ের পর চটের বস্তা বিছিয়ে সড়কে পানি দেয়া হয়েছিল সেই চট বিছানো অবস্থায় যান বাহন চলাচলের কারণে সড়কের দু-এক জায়গায় বস্তা সরে পানি কম পড়ায় এ সমস্যা হয়েছে। এটি দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি ।
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ ওঠার বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম বলেন, সঠিক নিয়ম মেনে যথাযথভাবে সড়ক নির্মামের কাজ করা হয়েছে। ঠিক সময়ে পানি কিউরিং না করার কারনে একটু ত্রুটি হয়েছে। আপনাদের যা খুশি লেখেন।
এ ব্যাপারে নীলফামারী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ হাসান বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা হবে। কাজে অনিয়ম ও কারচুপি হলে বিধিগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।