মধুপুর (টাঙ্গাইল) : বংশাই নদীর চাড়ালজানি-বোয়ালী পয়েন্টে সেতু নির্মাণের দাবি -সংবাদ
টাঙ্গাইলের মধুপুর তিন জেলার মিলন মোহনা হওয়ায় যানজট আর জনভোগান্তি যেন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ উপজেলার উপর দিয়ে উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গসহ দেশের প্রায় ২৪টি জেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। আনারস চত্বর থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, ঢাকা, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার গাড়ি চলাচলের কারণে থানা মোড় থেকে কল্লোল সিনেমা পর্যন্ত আর জামালপুর সড়কের হাসপাতাল পর্যন্ত যানজট যেন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর শহরের যানবাহনের চাপ কমাতে ও যানজট নিরসনে উপজেলা বোয়ালী হয়ে চাড়ালজানি প্রয়াত অমূল্য বাবুর বাসার সামনে দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিস বরাবর বংশাই নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে যানজট কমে আসবে। চাপ কমবে ছোট ও মাঝারি আকারের গাড়ির। এতে সময় বাঁচবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে স্কুলে যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাণিজ্যিক প্রসারও বাড়বে। জন দুর্ভোগ কমে আসবে অনেকটা। নদীর পূর্বাঞ্চলে গড়ে উঠবে উপশহর। শহরে বিস্তৃতি বাড়তে মেলবে জায়গা। তিন জেলা ও দশ উপজেলার মানুষের যাতায়াতের সুযোগ গৃষ্টি হবে। সরাসরি উপজেলার সঙ্গে বিকল্প যোগাযোগ নেটওয়র্ক গড়ে উঠবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আনারসের রাজধানী খ্যাত মধুপুরের বুক চিরে বয়ে গেছে বংশাই নদী। এক সময়ের প্রমত্তা বংশাই তার যৌবনের তেজ ধীরে কমে আসছে। দখল দূষণে ভরাক্রান্ত। এ শহরের উপর দিয়ে প্রায় ২৮টি জেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। মধুপুর শহরটি জামালপুর-ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল জেলার মিলন মোহনা হওয়ায় বাহনের চাপ অনেক বেশি। স্থানীয় ছোট বড় পরিবহনের চাপ আছেই। বিভিন্ন গ্রাম থেকে শহরে প্রবেশের সড়কের সংখ্যা কম থাকায় যানজট যেন নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধুপুর শহর থেকে আশপাশের গারোবাজার, সখিপুর, ভালুকা, ত্রিশাল, ভরাডোবা, মির্জাপুর, শ্রীপুর, গাজীপুর, বাসাইল, মুক্তাগাছা, নান্দিনা, ধনবাড়ি, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহসহ স্থানীয় বিভিন্ন উপজেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। এ ছাড়াও দূরপাল্লার যানবাহন চলে এ শহরের উপর দিয়েই।
মধুপুর শহরের উপর দিয়ে টাঙ্গাইল-জামালপুর, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ দুটি সড়ক মাত্র। যে কারণে গাড়ীর চাপ লেগেই থাকে। থানা মোড় থেকে উপজেলা হয়ে পৌর শহরের বোয়ালী পর্যন্ত পাকা সড়ক। মাঝ খানে বংশাই নদী। নদীর ওপার চাড়ালজানি ভূমি অফিস ওখান থেকে পাকা সড়ক। মাঝখানে ব্রিজ নির্মাণ হলে চাড়ালজানি থেকে বোয়ালী হয়ে উপজেলা এবং টাঙ্গাইল-ঢাকা সড়কে যাতায়াতের সুযোগ সৃৃষ্টি হবে। ফলে যানজট জনদুর্ভোগ কমে আসবে। সময় অপচয় রোধ হবে। দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এসব তথ্য স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
শহরের অটোচালক ইদ্রিস আলী (৪০) বলেন, চাড়ালজানি-বোয়ালী পয়েন্টে বংশাই নদীর ব্রিজ নির্মাণ হলে যানজট কমে আসবে। তাদের কষ্টও কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
আলোকদিয়া ইউনিয়নের হযরত আলী বলেন, এ ব্রিজ হলে শরের মধ্যে ছোট মাঝারি গাড়ীর চাপ অনেকটা কমে আসবে। উপজেলার সঙ্গে কয়েক ইউনিয়ন ও উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ সৃৃষ্টি হবে। গুরুত্ব বেড়ে যাবে বোয়ালী দামপাড়াসহ নদীর পূর্বাঞ্চলের। তিনি বংশাই নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।
বোয়ালী গ্রামের ডা. নাজমূল হাসান রনি বলেন, তাদের গ্রামে শতশত লোক হাট বাজার স্কুল কলেজ ও পৌরসভায় যাতায়াত করে থাকে। ব্রিজটি নির্মাণ হলে কষ্ট লাঘব হবে। শহরের যানজট কমে যাবে। উপজেলার সঙ্গেও একটা নিবিড় যোগাযোগ গড়ে উঠবে।
চাড়ালজানি এলাকার সোহেল রানা মাসুম বলেন, শহরের জন্য একটি বাইপাস জরুরি। তবে এ অংশে ব্রিজ হলে উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের নতুন মাত্রা যোগ হবে। আশপাশের উপজেলা ইউনিয়ন গ্রামের মানুষের ও ছোট বাহন চলাচল করতে সুবিধা হবে। কষ্ট দূর হবে।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার প্রসাশক মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, মধুপুরের উপর দিয়ে বিভিন্ন জেলা উপজেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। যে কারণে যানজট হয়। তার দপ্তর থেকে ব্রিজ নির্মাণের কোন সুযোগ নেই বলে জানান, উপজেলা এলজিইডি থেকে যাতে ব্রিজ নির্মাণ করা যায় সে জন্য তিনি চেষ্টা করবেন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় দশ বারোটি উপজেলা সিএনজি ইজিবাইকসহ বিভিন্ন বাহন চলাচল করে থাকে। ব্রিজ নির্মাণ হলে যান জন দুর্ভোগ কমে আসবে বলে তিনি জানান।
মধুপুর (টাঙ্গাইল) : বংশাই নদীর চাড়ালজানি-বোয়ালী পয়েন্টে সেতু নির্মাণের দাবি -সংবাদ
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
টাঙ্গাইলের মধুপুর তিন জেলার মিলন মোহনা হওয়ায় যানজট আর জনভোগান্তি যেন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ উপজেলার উপর দিয়ে উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গসহ দেশের প্রায় ২৪টি জেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। আনারস চত্বর থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, ঢাকা, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার গাড়ি চলাচলের কারণে থানা মোড় থেকে কল্লোল সিনেমা পর্যন্ত আর জামালপুর সড়কের হাসপাতাল পর্যন্ত যানজট যেন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর শহরের যানবাহনের চাপ কমাতে ও যানজট নিরসনে উপজেলা বোয়ালী হয়ে চাড়ালজানি প্রয়াত অমূল্য বাবুর বাসার সামনে দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিস বরাবর বংশাই নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে যানজট কমে আসবে। চাপ কমবে ছোট ও মাঝারি আকারের গাড়ির। এতে সময় বাঁচবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে স্কুলে যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাণিজ্যিক প্রসারও বাড়বে। জন দুর্ভোগ কমে আসবে অনেকটা। নদীর পূর্বাঞ্চলে গড়ে উঠবে উপশহর। শহরে বিস্তৃতি বাড়তে মেলবে জায়গা। তিন জেলা ও দশ উপজেলার মানুষের যাতায়াতের সুযোগ গৃষ্টি হবে। সরাসরি উপজেলার সঙ্গে বিকল্প যোগাযোগ নেটওয়র্ক গড়ে উঠবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আনারসের রাজধানী খ্যাত মধুপুরের বুক চিরে বয়ে গেছে বংশাই নদী। এক সময়ের প্রমত্তা বংশাই তার যৌবনের তেজ ধীরে কমে আসছে। দখল দূষণে ভরাক্রান্ত। এ শহরের উপর দিয়ে প্রায় ২৮টি জেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। মধুপুর শহরটি জামালপুর-ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল জেলার মিলন মোহনা হওয়ায় বাহনের চাপ অনেক বেশি। স্থানীয় ছোট বড় পরিবহনের চাপ আছেই। বিভিন্ন গ্রাম থেকে শহরে প্রবেশের সড়কের সংখ্যা কম থাকায় যানজট যেন নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধুপুর শহর থেকে আশপাশের গারোবাজার, সখিপুর, ভালুকা, ত্রিশাল, ভরাডোবা, মির্জাপুর, শ্রীপুর, গাজীপুর, বাসাইল, মুক্তাগাছা, নান্দিনা, ধনবাড়ি, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহসহ স্থানীয় বিভিন্ন উপজেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। এ ছাড়াও দূরপাল্লার যানবাহন চলে এ শহরের উপর দিয়েই।
মধুপুর শহরের উপর দিয়ে টাঙ্গাইল-জামালপুর, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ দুটি সড়ক মাত্র। যে কারণে গাড়ীর চাপ লেগেই থাকে। থানা মোড় থেকে উপজেলা হয়ে পৌর শহরের বোয়ালী পর্যন্ত পাকা সড়ক। মাঝ খানে বংশাই নদী। নদীর ওপার চাড়ালজানি ভূমি অফিস ওখান থেকে পাকা সড়ক। মাঝখানে ব্রিজ নির্মাণ হলে চাড়ালজানি থেকে বোয়ালী হয়ে উপজেলা এবং টাঙ্গাইল-ঢাকা সড়কে যাতায়াতের সুযোগ সৃৃষ্টি হবে। ফলে যানজট জনদুর্ভোগ কমে আসবে। সময় অপচয় রোধ হবে। দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এসব তথ্য স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
শহরের অটোচালক ইদ্রিস আলী (৪০) বলেন, চাড়ালজানি-বোয়ালী পয়েন্টে বংশাই নদীর ব্রিজ নির্মাণ হলে যানজট কমে আসবে। তাদের কষ্টও কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
আলোকদিয়া ইউনিয়নের হযরত আলী বলেন, এ ব্রিজ হলে শরের মধ্যে ছোট মাঝারি গাড়ীর চাপ অনেকটা কমে আসবে। উপজেলার সঙ্গে কয়েক ইউনিয়ন ও উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ সৃৃষ্টি হবে। গুরুত্ব বেড়ে যাবে বোয়ালী দামপাড়াসহ নদীর পূর্বাঞ্চলের। তিনি বংশাই নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।
বোয়ালী গ্রামের ডা. নাজমূল হাসান রনি বলেন, তাদের গ্রামে শতশত লোক হাট বাজার স্কুল কলেজ ও পৌরসভায় যাতায়াত করে থাকে। ব্রিজটি নির্মাণ হলে কষ্ট লাঘব হবে। শহরের যানজট কমে যাবে। উপজেলার সঙ্গেও একটা নিবিড় যোগাযোগ গড়ে উঠবে।
চাড়ালজানি এলাকার সোহেল রানা মাসুম বলেন, শহরের জন্য একটি বাইপাস জরুরি। তবে এ অংশে ব্রিজ হলে উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের নতুন মাত্রা যোগ হবে। আশপাশের উপজেলা ইউনিয়ন গ্রামের মানুষের ও ছোট বাহন চলাচল করতে সুবিধা হবে। কষ্ট দূর হবে।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার প্রসাশক মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, মধুপুরের উপর দিয়ে বিভিন্ন জেলা উপজেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। যে কারণে যানজট হয়। তার দপ্তর থেকে ব্রিজ নির্মাণের কোন সুযোগ নেই বলে জানান, উপজেলা এলজিইডি থেকে যাতে ব্রিজ নির্মাণ করা যায় সে জন্য তিনি চেষ্টা করবেন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় দশ বারোটি উপজেলা সিএনজি ইজিবাইকসহ বিভিন্ন বাহন চলাচল করে থাকে। ব্রিজ নির্মাণ হলে যান জন দুর্ভোগ কমে আসবে বলে তিনি জানান।