alt

সারাদেশ

সিরাজগঞ্জে বাঙ্গির ন্যায্যমূল্য না পেয়ে বিপাকে কৃষক

প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : রোববার, ০৪ মে ২০২৫

তুলনামূলক কম খরচে রসুনের সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি চাষ জনপ্রিয় ও লাভজনক। ফলে চলনবিলের রায়গঞ্জ, তাড়ান ও গুরুদাসপুরে কৃষকরা অন্তত ২০ বছর ধরে বাঙ্গি চাষ করছেন। এ বছর চাহিদা কম ও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় হতাশ তারা। জমি থেকে সংগ্রহ ও পরিবহন খরচ না ওঠায় মাঠেই পচে নষ্ট হচ্ছে অনেক কৃষকের বাঙ্গি।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাহিদা থাকা এবং লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে বাঙ্গি চাষ করে ছিলেন তারা। হঠাৎ এ বছর ক্রেতা শূন্যতা ও দরপতনে উৎপাদিত বাঙ্গি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। শ্রমিক মজুরি ও পরিবহন খরচ না ওঠায় এ ফল সংগ্রহে আগ্রহ কমে যাচ্ছে কৃষকের। ফলে ক্ষেত্রেই নষ্ট হচ্ছে অধিকাংশ বাঙ্গি।

পোয়ালশুড়া দক্ষিণ পাড়ার কৃষক আব্দুল ওয়াহাব জানান, তিনি এ বছর ২ বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন। সমপরিমাণ জমিতে গত বছর ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হলেও এ বছর বিক্রি করেছেন মাত্র ১৮ হাজার টাকা। বাজারে ক্রেতা না থাকায় অনেক সময় সময় বাঙ্গির স্তূপ ফেলেই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।

বিভিন্ন এলাকার অন্তত কুড়িজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা অধিকাংশই বর্গা চাষি। প্রতি বিঘা জমির লিজ ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা। লিজমূল্য, চাষ, বীজ, সার, সেচ, শ্রমিক ও মজুরি মিলিয়ে প্রতি বিঘা রসুন চাষে খরচ লাখের কাছাকাছি। রসুনের সাথি ফসল বাঙ্গি চাষে খরচের প্রায় অর্ধেক টাকা উঠে আসতো। কিন্তু এ বছর দাম না থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের কাছে প্রণোদনা ও সুদ মুক্ত কৃষি ঋণের দাবি তাদের।

স্থানীয় আড়তদার শাহীন বলেন, এখান থেকে ৭০ থেকে ৮০ ট্রাক বাঙ্গি বিভিন্ন রপ্তানি হয়। গত বছর প্রতিটি বাঙ্গির পাইকারি দাম ছিল ২০ থেকে ৩৫ টাকা। কিন্তু এ বছর চাহিদা না থাকায় সেই বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায়।

ক্রেতা চাহিদা না থাকায় কম দামে কিনেও বিক্রি হচ্ছে না। এতে বাঙ্গি পচে নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকদের সঙ্গে পাইকাররাও।

রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুর রউফ বলেন, চলনবিলের বাঙ্গির সুনাম দেশজুড়ে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। কিছুটা দরপতন হলেও চাষিদের বেশি ক্ষতি হবে না।

ছবি

আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার পক্ষে-বিপক্ষে মুরাদনগরে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

ছবি

চাঁদপুরে মামলার জট কমাচ্ছে লিগ্যাল এইড প্যানেলের ২৮ আইনজীবী

গোয়ালন্দে চরমপন্থি নেতা সুশীল হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

ধনবাড়ীতে ছাত্রদল কর্মী গ্রেপ্তার

ছবি

শেরপুরে জমজমাট ধান কাটা শ্রমিকের হাট

টঙ্গীতে অবৈধ পার্কিংয়ের চাঁদা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০

কুষ্টিয়ায় মাদক সম্রাজ্ঞী কামিনী গ্রেপ্তার

সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ড. স্বামী শিবানন্দ আর নেই

ছবি

মধুপুরে বংশাই নদীর চাড়ালজানি-বোয়ালী পয়েন্টে সেতু নির্মাণে কমবে জনদুর্ভোগ

মাইক্রোবাস থেকে অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

শেরপুরে জমি দখল ও সন্ত্রাসী তা-বের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কে রাত্রিকালীন পুলিশের সতর্কতা

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নারী-শিশুসহ ৩৫ রোহিঙ্গা আটক

রায়গঞ্জে বন্দিদশা থেকে কৌশলে বের হলো নারী ও বৃদ্ধ, মামলা দায়ের

মশা নিয়ন্ত্রণে ফগার স্প্রে কার্যক্রম শুরু

ছবি

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সুনামগঞ্জ সীমান্তে গরু চোরাকারবারিরা সক্রিয়

ছবি

ডিমলায় কাজ শেষ না হতেই সড়কে ফাটল

সেফটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে শ্রমিকের মৃত্যু

গলাচিপায় ব্রিজের কাজ দ্রুত করার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

যমুনায় পানি বৃদ্ধি, তলিয়ে গেজেলা

সাভারে রং মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা

জাল টাকাসহ গ্রেপ্তার ৩

পাথরঘাটায় সাধারণ ঘটনায় তিন শিক্ষকের ওপর হামলা, শ্রমিক দল নেতার নামে মামলা

কুষ্টিয়ায় আইসক্রিমে ক্ষতিকর কেমিক্যাল, জরিমানা

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ, নারী-শিশুসহ আটক ৪৪

চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে ফেরি চলাচল শুরু

ছবি

মোরেলগঞ্জে দুর্বৃত্তের আগুনে সর্বস্বান্ত বৃদ্ধা আম্বিয়া

ছবি

সয়াবিনের বাম্পার ফলন হলেও দামে হতাশ কৃষক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থায়ী হতে পারে না- ড. মঈন খান

নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার

ছবি

সাতক্ষীরায় কেমিক্যালে পাকানো আম জব্দ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা

নির্মাণাধীন বাড়ির মাটিচাপায় যুবদল নেতার মৃত্যু

নোয়াখালীতে ছাত্রদল নেতার চাঁদা দাবির ভয়েস রের্কড ভাইরাল

ছবি

বোদায় বাদাম চাষে ঝুঁকেছে কৃষক

ছবি

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে বাড়ছে দেশি বিদেশি পর্যটক

ছবি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনে জ্বালানি উপদেষ্টা

tab

সারাদেশ

সিরাজগঞ্জে বাঙ্গির ন্যায্যমূল্য না পেয়ে বিপাকে কৃষক

প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ)

রোববার, ০৪ মে ২০২৫

তুলনামূলক কম খরচে রসুনের সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি চাষ জনপ্রিয় ও লাভজনক। ফলে চলনবিলের রায়গঞ্জ, তাড়ান ও গুরুদাসপুরে কৃষকরা অন্তত ২০ বছর ধরে বাঙ্গি চাষ করছেন। এ বছর চাহিদা কম ও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় হতাশ তারা। জমি থেকে সংগ্রহ ও পরিবহন খরচ না ওঠায় মাঠেই পচে নষ্ট হচ্ছে অনেক কৃষকের বাঙ্গি।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাহিদা থাকা এবং লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে বাঙ্গি চাষ করে ছিলেন তারা। হঠাৎ এ বছর ক্রেতা শূন্যতা ও দরপতনে উৎপাদিত বাঙ্গি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। শ্রমিক মজুরি ও পরিবহন খরচ না ওঠায় এ ফল সংগ্রহে আগ্রহ কমে যাচ্ছে কৃষকের। ফলে ক্ষেত্রেই নষ্ট হচ্ছে অধিকাংশ বাঙ্গি।

পোয়ালশুড়া দক্ষিণ পাড়ার কৃষক আব্দুল ওয়াহাব জানান, তিনি এ বছর ২ বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন। সমপরিমাণ জমিতে গত বছর ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হলেও এ বছর বিক্রি করেছেন মাত্র ১৮ হাজার টাকা। বাজারে ক্রেতা না থাকায় অনেক সময় সময় বাঙ্গির স্তূপ ফেলেই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।

বিভিন্ন এলাকার অন্তত কুড়িজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা অধিকাংশই বর্গা চাষি। প্রতি বিঘা জমির লিজ ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা। লিজমূল্য, চাষ, বীজ, সার, সেচ, শ্রমিক ও মজুরি মিলিয়ে প্রতি বিঘা রসুন চাষে খরচ লাখের কাছাকাছি। রসুনের সাথি ফসল বাঙ্গি চাষে খরচের প্রায় অর্ধেক টাকা উঠে আসতো। কিন্তু এ বছর দাম না থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের কাছে প্রণোদনা ও সুদ মুক্ত কৃষি ঋণের দাবি তাদের।

স্থানীয় আড়তদার শাহীন বলেন, এখান থেকে ৭০ থেকে ৮০ ট্রাক বাঙ্গি বিভিন্ন রপ্তানি হয়। গত বছর প্রতিটি বাঙ্গির পাইকারি দাম ছিল ২০ থেকে ৩৫ টাকা। কিন্তু এ বছর চাহিদা না থাকায় সেই বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায়।

ক্রেতা চাহিদা না থাকায় কম দামে কিনেও বিক্রি হচ্ছে না। এতে বাঙ্গি পচে নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকদের সঙ্গে পাইকাররাও।

রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুর রউফ বলেন, চলনবিলের বাঙ্গির সুনাম দেশজুড়ে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। কিছুটা দরপতন হলেও চাষিদের বেশি ক্ষতি হবে না।

back to top