বাঁচতে চায় কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র আব্দুল আজিজ (২৩)। স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা শেষ করে সংসারে বাবাকে সহযোগিতা করার। কিন্তু মরণব্যাধী ক্যান্সার তার যাত্রা পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আব্দুল আজিজ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের একমাত্র ছেলে। তিনি বেগম নুরুন্নাহার তর্কবাগিশ অনার্স কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র।
সরকারি বেগম নুরুন্নাহার তর্কবাগিশ অনার্স কলেজের প্রভাষক আব্দুস সাত্তার মণ্ডল বলেন, আব্দুল আজিজ মেধাবী, বিনয়ী, হাস্যোজ্জ্বল একজন ছাত্র। ওর ফ্যামিলিও দরিদ্র। কলেজ কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছে। আরও সহযোগিতার প্রয়োজন। তবেই ওর সুচিকিৎসা হতে পারে, বেঁচে যেতে পারে সম্ভাবনাময়ী এক ছাত্রের জীবন।
পরিবার মারফত জানা যায়, ২০২৪ সালের জুন মাসে বগুড়ার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায় তিনি কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত। পরবর্তীতে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আফজাল হোসাইনের পরামর্শে ১২টি ক্যামোথেরাপী নেন আব্দুল আজিজ। তবে এতেও সুফল না পাওয়ায় এ চিকিৎসক ওরাল রিহাইড্রেশন ও ইনজেকশন থেরাপি দিচ্ছেন।
একই সঙ্গে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরিপাকতন্ত্রে ক্যান্সার পুনরায় ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত তাকে দেশের বাইরে নেয়া প্রয়োজন। সে মোতাবেক বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে প্রয়োজন ২৫-২৬ লাখ টাকা। যা গরীব পরিবারের জন্য সম্ভব নয়। এদিকে একমাত্র ছেলের চিকিৎসার জন্য দরিদ্র বাবা হাবিবুর রহমান ১১-১২ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। এতদিন ছেলের চিকিৎসা নিজে চালিয়ে গেলেও এখন আর পারছেন না। আব্দুল আজিজের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ছেলে অত্যন্ত মিশুক, প্রাণবন্ত, মিষ্টভাষী ও মেধাবী। তার আশা ছিল পড়াশোনা শেষ করে মানুষের হয়ে কাজ করার। অথচ আমার সেই সন্তান আজ মৃত্যুর প্রহর গুনছে। তিনি তার একমাত্র ছেলে আব্দুল আজিজের চিকিৎসার জন্য সরকার ও বৃত্তবান মানবিক মানুষগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েছেন।
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
বাঁচতে চায় কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র আব্দুল আজিজ (২৩)। স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা শেষ করে সংসারে বাবাকে সহযোগিতা করার। কিন্তু মরণব্যাধী ক্যান্সার তার যাত্রা পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আব্দুল আজিজ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের একমাত্র ছেলে। তিনি বেগম নুরুন্নাহার তর্কবাগিশ অনার্স কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র।
সরকারি বেগম নুরুন্নাহার তর্কবাগিশ অনার্স কলেজের প্রভাষক আব্দুস সাত্তার মণ্ডল বলেন, আব্দুল আজিজ মেধাবী, বিনয়ী, হাস্যোজ্জ্বল একজন ছাত্র। ওর ফ্যামিলিও দরিদ্র। কলেজ কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছে। আরও সহযোগিতার প্রয়োজন। তবেই ওর সুচিকিৎসা হতে পারে, বেঁচে যেতে পারে সম্ভাবনাময়ী এক ছাত্রের জীবন।
পরিবার মারফত জানা যায়, ২০২৪ সালের জুন মাসে বগুড়ার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায় তিনি কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত। পরবর্তীতে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আফজাল হোসাইনের পরামর্শে ১২টি ক্যামোথেরাপী নেন আব্দুল আজিজ। তবে এতেও সুফল না পাওয়ায় এ চিকিৎসক ওরাল রিহাইড্রেশন ও ইনজেকশন থেরাপি দিচ্ছেন।
একই সঙ্গে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরিপাকতন্ত্রে ক্যান্সার পুনরায় ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত তাকে দেশের বাইরে নেয়া প্রয়োজন। সে মোতাবেক বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে প্রয়োজন ২৫-২৬ লাখ টাকা। যা গরীব পরিবারের জন্য সম্ভব নয়। এদিকে একমাত্র ছেলের চিকিৎসার জন্য দরিদ্র বাবা হাবিবুর রহমান ১১-১২ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। এতদিন ছেলের চিকিৎসা নিজে চালিয়ে গেলেও এখন আর পারছেন না। আব্দুল আজিজের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ছেলে অত্যন্ত মিশুক, প্রাণবন্ত, মিষ্টভাষী ও মেধাবী। তার আশা ছিল পড়াশোনা শেষ করে মানুষের হয়ে কাজ করার। অথচ আমার সেই সন্তান আজ মৃত্যুর প্রহর গুনছে। তিনি তার একমাত্র ছেলে আব্দুল আজিজের চিকিৎসার জন্য সরকার ও বৃত্তবান মানবিক মানুষগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েছেন।