সপ্তাহের রোববার ও বুধবার একই দিনে দুটি হাট বসে। হাট দুটির মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। গত ১৬ বছর কৌশল করে দুটি হাট একই ব্যক্তি ইজারা নিয়ে একটি বন্ধ রাখতেন। আর একটি হাটে শুধু বেচাকেনা করতেন। বন্ধ রাখা হাটটি হচ্ছে জেলার পবা উপজেলার দামকুড়া পশুহাট। আর চালু হাটটি হচ্ছে রাজশাহী নগরের সিটি হাট। এবার ১৬ বছর পর বন্ধ হাটটি আলাদা ব্যক্তি ইজারা নিয়ে চালু করেছেন। এরপর থেকে সিটি হাটের ইজারাদারের লোকজন দামকুড়া হাটের পথে পথে বাধা সৃষ্টি করছেন। তাদের মধ্যে রীতিএত পথে গরু নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে দামকুড়া হাটের ইজারাদার গত ২৯ এপ্রিল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সূত্রমতে, ১৯৮৯ সালে চালু হওয়া দামকুড়া পশুহাট ২০০৫ সালে সিটিহাট চালুর পর কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তখন একটি প্রভাবশালী মহল উভয় হাট ইজারা নিয়ে দামকুড়া হাটে কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিলেন। এবার সিটিহাটের ইজারা পেয়েছেন শওকত আলীসহ কয়েকজন, আর দামকুড়া পশুহাটের ইজারাদার হয়েছেন মোহাম্মদ শাহ জাহান আলী।
দামকুড়া হাটের ইজারাদার শাহ জাহান আলী অভিযোগ করেছেন, সিটিহাটের লোকজন রাস্তা থেকে গরুবাহী যানবাহন জোর করে সিটিহাটে নিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে গত ২৯ এপ্রিল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ইউএনওর কাছেও। সাংবাদিকদের কাছে এ সব অভিযোগের কপিও তিনি সরবরাহ করেছেন। অভিযোগে উল্যেখ রয়েছে, ২৩ ও ২৭ এপ্রিল হাটের দিনে সিটিহাটের লোকজন বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়ে গরুবাহী যানবাহন সিটিহাটে যেতে বাধ্য করে। এসব স্থানে তারা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেয়।
সরেজমিনে গতকাল রোববার সকালে মুরারিপুর সিদ্দিকের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, দুপক্ষ গরুবাহী নসিমন-করিমন ঠেলে নিজ নিজ হাটের দিকে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।
ইজারাদারের দাবি এই বাধার কারণে দামকুড়া হাটের গরুর উপস্থিতি খুবই কম হয়েছে। ব্যবসায়ীরাও ওই হাটে গিয়ে কেনাবেচা করে আরাম পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। গোদাগাড়ীর গরু ব্যবসায়ী আবদুর রহমান জানান, ‘সকাল ৮টায় গাড়িতে গরু তুলেছেন, দুপুর হয়ে গেছে গরু গাড়িতেই রয়েছে। তাদের জোর করে এই হাটে ঢোকানো হয়েছে কিন্তু হাটে তো ক্রেতাই নেই।’
আমতলীর রাকিব আলী বলেন, ‘আমরা সিটিহাটে যাচ্ছিলাম। ধরে এখানে নিয়ে এসেছে। অনেকে গরু প্রতি ছাড়ের টাকা দিয়ে হাট থেকে বেরিয়ে গেছেন। ক্রেতা বেশি থাকায় তারা সিটিহাটে গেছেন। ’তবে শাহ জাহান আলীর দাবি, ‘আমরা গরু জোর করে আনছি না। সিটিহাটের লোকজন শুরু থেকেই এমন করছে। বাধ্য হয়ে এখন আমরা মাঠে নামছি।’
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান বলেন, ‘একই দিনে দুই হাট হওয়ায় এমন সমস্যা হচ্ছে। তবে পুলিশ সতর্ক আছে। গরু নিয়ে জবরদস্তির সুযোগ নেই।’
অভিযোগের ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ রোববার বিকেলে বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
সপ্তাহের রোববার ও বুধবার একই দিনে দুটি হাট বসে। হাট দুটির মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। গত ১৬ বছর কৌশল করে দুটি হাট একই ব্যক্তি ইজারা নিয়ে একটি বন্ধ রাখতেন। আর একটি হাটে শুধু বেচাকেনা করতেন। বন্ধ রাখা হাটটি হচ্ছে জেলার পবা উপজেলার দামকুড়া পশুহাট। আর চালু হাটটি হচ্ছে রাজশাহী নগরের সিটি হাট। এবার ১৬ বছর পর বন্ধ হাটটি আলাদা ব্যক্তি ইজারা নিয়ে চালু করেছেন। এরপর থেকে সিটি হাটের ইজারাদারের লোকজন দামকুড়া হাটের পথে পথে বাধা সৃষ্টি করছেন। তাদের মধ্যে রীতিএত পথে গরু নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে দামকুড়া হাটের ইজারাদার গত ২৯ এপ্রিল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সূত্রমতে, ১৯৮৯ সালে চালু হওয়া দামকুড়া পশুহাট ২০০৫ সালে সিটিহাট চালুর পর কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তখন একটি প্রভাবশালী মহল উভয় হাট ইজারা নিয়ে দামকুড়া হাটে কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিলেন। এবার সিটিহাটের ইজারা পেয়েছেন শওকত আলীসহ কয়েকজন, আর দামকুড়া পশুহাটের ইজারাদার হয়েছেন মোহাম্মদ শাহ জাহান আলী।
দামকুড়া হাটের ইজারাদার শাহ জাহান আলী অভিযোগ করেছেন, সিটিহাটের লোকজন রাস্তা থেকে গরুবাহী যানবাহন জোর করে সিটিহাটে নিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে গত ২৯ এপ্রিল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ইউএনওর কাছেও। সাংবাদিকদের কাছে এ সব অভিযোগের কপিও তিনি সরবরাহ করেছেন। অভিযোগে উল্যেখ রয়েছে, ২৩ ও ২৭ এপ্রিল হাটের দিনে সিটিহাটের লোকজন বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়ে গরুবাহী যানবাহন সিটিহাটে যেতে বাধ্য করে। এসব স্থানে তারা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেয়।
সরেজমিনে গতকাল রোববার সকালে মুরারিপুর সিদ্দিকের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, দুপক্ষ গরুবাহী নসিমন-করিমন ঠেলে নিজ নিজ হাটের দিকে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।
ইজারাদারের দাবি এই বাধার কারণে দামকুড়া হাটের গরুর উপস্থিতি খুবই কম হয়েছে। ব্যবসায়ীরাও ওই হাটে গিয়ে কেনাবেচা করে আরাম পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। গোদাগাড়ীর গরু ব্যবসায়ী আবদুর রহমান জানান, ‘সকাল ৮টায় গাড়িতে গরু তুলেছেন, দুপুর হয়ে গেছে গরু গাড়িতেই রয়েছে। তাদের জোর করে এই হাটে ঢোকানো হয়েছে কিন্তু হাটে তো ক্রেতাই নেই।’
আমতলীর রাকিব আলী বলেন, ‘আমরা সিটিহাটে যাচ্ছিলাম। ধরে এখানে নিয়ে এসেছে। অনেকে গরু প্রতি ছাড়ের টাকা দিয়ে হাট থেকে বেরিয়ে গেছেন। ক্রেতা বেশি থাকায় তারা সিটিহাটে গেছেন। ’তবে শাহ জাহান আলীর দাবি, ‘আমরা গরু জোর করে আনছি না। সিটিহাটের লোকজন শুরু থেকেই এমন করছে। বাধ্য হয়ে এখন আমরা মাঠে নামছি।’
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান বলেন, ‘একই দিনে দুই হাট হওয়ায় এমন সমস্যা হচ্ছে। তবে পুলিশ সতর্ক আছে। গরু নিয়ে জবরদস্তির সুযোগ নেই।’
অভিযোগের ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ রোববার বিকেলে বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।