বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) : সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবিতে মাইজদী কোর্ট স্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে স্থানীয়রা -সংবাদ
ঢাকা-নোয়াখালী রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করাসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নোয়াখালীর মাইজদী কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে দেড় ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধের কারণে স্টেশনটিতে দেড়ঘণ্টা আটকে ছিল নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে ঢাকা অভিমুখী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি সেবা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করে বিগত ২০২৩ সালে এই রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস নামে নতুন একটি ট্রেন বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ওই ট্রেন আর নোয়াখালীতে আসেনি। এই ট্রেন অবিলম্বে নোয়াখালী রুটে চালু করার দাবি জানায় এলাকাবাসী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘নোয়াখালীর সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে অবরোধ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচি উপলক্ষে ভোর থেকে সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ জেলা শহরের মাইজদী কোর্ট রেলস্টেশনে জড়ো হতে থাকেন। সকাল ৬টার দিকে কয়েকশ মানুষ রেললাইনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৬টায় সরেজমিনে নোয়াখালীর মাইজদী কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনের দক্ষিণ পাশের লাইনে আটকে আছে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি। রেলপথে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা। তারা নোয়াখালী-ঢাকা রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন দ্রুত চালু, উপকূল ট্রেনে সেবার মান বৃদ্ধি, যাত্রী হয়রানি বন্ধ এবং হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাট পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন। এ সময় পুলিশ এবং রেলওয়ের কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে রেলপথ থেকে সরানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে দাবি পূরণে রেল কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা রেলপথ থেকে সরে যান। তবে তারা তাদের দাবি পূরণে ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পুনরায় রেলপথের পাশাপাশি সড়কপথ অবরোধ করা হবে বলে জানান। এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সভায় রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম। ওই সভায় জেলার সর্বস্তরের জনগণকে রেলপথ অবরোধের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়। কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, আশির দশকে নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করা হয়। শুরুর দিকে ট্রেনটির সেবার মান ভালো থাকলেও দিন দিন সেবার মান তলানিতে পৌঁছেছে। আন্তনগর ট্রেন নাম দেয়া হলেও ঢাকা-নোয়াখালী রুটে চলতে গিয়ে ট্রেনটি প্রায় ২০টি স্টেশনে থামানো হচ্ছে। এতে সকাল ছয়টায় নোয়াখালী থেকে রওনা দিয়ে ঢাকা পৌঁছাতে বেলা ২টা-৩টা পর্যন্ত লেগে যায় যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি সেবা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করে বিগত ২০২৩ সালে ওই রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস নামে নতুন একটি ট্রেন বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ওই ট্রেন আর নোয়াখালীতে আসেনি। এই ট্রেন অবিলম্বে নোয়াখালী রুটে চালু করতে হবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাইজদী কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে ঢাকা অভিমুখী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট আটকে ছিল। অবরোধ এবং জনগণের দাবির বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। সুধারাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, অবরোধকারীরা দেড় ঘণ্টার এত রেলপথে ছিলেন। ওই সময় একটি ট্রেন আটকে পড়ে। অবরোধ প্রত্যাহারের পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) : সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবিতে মাইজদী কোর্ট স্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে স্থানীয়রা -সংবাদ
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
ঢাকা-নোয়াখালী রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করাসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নোয়াখালীর মাইজদী কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে দেড় ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধের কারণে স্টেশনটিতে দেড়ঘণ্টা আটকে ছিল নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে ঢাকা অভিমুখী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি সেবা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করে বিগত ২০২৩ সালে এই রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস নামে নতুন একটি ট্রেন বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ওই ট্রেন আর নোয়াখালীতে আসেনি। এই ট্রেন অবিলম্বে নোয়াখালী রুটে চালু করার দাবি জানায় এলাকাবাসী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘নোয়াখালীর সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে অবরোধ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচি উপলক্ষে ভোর থেকে সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ জেলা শহরের মাইজদী কোর্ট রেলস্টেশনে জড়ো হতে থাকেন। সকাল ৬টার দিকে কয়েকশ মানুষ রেললাইনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৬টায় সরেজমিনে নোয়াখালীর মাইজদী কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনের দক্ষিণ পাশের লাইনে আটকে আছে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি। রেলপথে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা। তারা নোয়াখালী-ঢাকা রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন দ্রুত চালু, উপকূল ট্রেনে সেবার মান বৃদ্ধি, যাত্রী হয়রানি বন্ধ এবং হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাট পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন। এ সময় পুলিশ এবং রেলওয়ের কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে রেলপথ থেকে সরানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে দাবি পূরণে রেল কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা রেলপথ থেকে সরে যান। তবে তারা তাদের দাবি পূরণে ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পুনরায় রেলপথের পাশাপাশি সড়কপথ অবরোধ করা হবে বলে জানান। এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সভায় রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম। ওই সভায় জেলার সর্বস্তরের জনগণকে রেলপথ অবরোধের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়। কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, আশির দশকে নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করা হয়। শুরুর দিকে ট্রেনটির সেবার মান ভালো থাকলেও দিন দিন সেবার মান তলানিতে পৌঁছেছে। আন্তনগর ট্রেন নাম দেয়া হলেও ঢাকা-নোয়াখালী রুটে চলতে গিয়ে ট্রেনটি প্রায় ২০টি স্টেশনে থামানো হচ্ছে। এতে সকাল ছয়টায় নোয়াখালী থেকে রওনা দিয়ে ঢাকা পৌঁছাতে বেলা ২টা-৩টা পর্যন্ত লেগে যায় যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি সেবা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করে বিগত ২০২৩ সালে ওই রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস নামে নতুন একটি ট্রেন বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ওই ট্রেন আর নোয়াখালীতে আসেনি। এই ট্রেন অবিলম্বে নোয়াখালী রুটে চালু করতে হবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাইজদী কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে ঢাকা অভিমুখী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট আটকে ছিল। অবরোধ এবং জনগণের দাবির বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। সুধারাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, অবরোধকারীরা দেড় ঘণ্টার এত রেলপথে ছিলেন। ওই সময় একটি ট্রেন আটকে পড়ে। অবরোধ প্রত্যাহারের পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।