বান্দরবানের থানচির তিন্দু ইউনিয়নে এক খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি আদালত সড়ক হয়ে শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
আকাশ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন উক্যনু মারমা, ত্রিপিটক চাকমা, সুভাষ চাকমা, খঞ্জন ত্রিপুরা, কৃপায়ণ ত্রিপুরাসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কবিতা চাকমা বলেন, “এক খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তিনি তিন সন্তানের জননী। তার ১৮ মাসের একটি বাচ্চাও রয়েছে। আমরা এক মাস আগে কাউখালিতে এক মারমা তরুণীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছিলাম। আজকে খিয়াং নারীর জন্য বিক্ষোভ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। আমরা কোথাও নিরাপদ না। আমাদের ওপর ধর্ষণ ও নিপীড়নের শেষ কোথায়? খিয়াং নারী গিয়েছিল জুম চাষের জন্য। তাকে ধর্ষণের পর মাথা থেঁতলে দিয়েছে। চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে সোমবার বিকালে তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়ি জঙ্গল থেকে ২৯ বছর বয়সী ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি কাছাকাছি একটি পাড়ায় থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে জুম চাষের জন্য পাশের পাহাড়ে জুমে গিয়েছিলেন ওই নারী। দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পাড়ার লোকজন খুঁজতে বের হন। জঙ্গলে ভারী কিছু টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখে অনুসরণ করে গভীরে গিয়ে রক্তাক্ত মরদেহ পেয়ে পুলিশে খবর দেন তারা।
ঘটনার দিন স্থানীয়রা মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন এবং তার চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে বলে জানান। তারা ধারণা করছেন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
সমাবেশে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী উক্যনু মারমা বলেন, “এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখে এক মারমা তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এক মাসের ব্যবধানে বান্দরবানের দুর্গম থানচির মংখয় পাড়ায় খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হল। আমরা কেন নিশ্চুপ হয়ে আছি? এ ঘটনায় ধর্ষণকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
বান্দরবানের থানচির তিন্দু ইউনিয়নে এক খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি আদালত সড়ক হয়ে শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
আকাশ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন উক্যনু মারমা, ত্রিপিটক চাকমা, সুভাষ চাকমা, খঞ্জন ত্রিপুরা, কৃপায়ণ ত্রিপুরাসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কবিতা চাকমা বলেন, “এক খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তিনি তিন সন্তানের জননী। তার ১৮ মাসের একটি বাচ্চাও রয়েছে। আমরা এক মাস আগে কাউখালিতে এক মারমা তরুণীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছিলাম। আজকে খিয়াং নারীর জন্য বিক্ষোভ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। আমরা কোথাও নিরাপদ না। আমাদের ওপর ধর্ষণ ও নিপীড়নের শেষ কোথায়? খিয়াং নারী গিয়েছিল জুম চাষের জন্য। তাকে ধর্ষণের পর মাথা থেঁতলে দিয়েছে। চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে সোমবার বিকালে তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়ি জঙ্গল থেকে ২৯ বছর বয়সী ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি কাছাকাছি একটি পাড়ায় থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে জুম চাষের জন্য পাশের পাহাড়ে জুমে গিয়েছিলেন ওই নারী। দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পাড়ার লোকজন খুঁজতে বের হন। জঙ্গলে ভারী কিছু টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখে অনুসরণ করে গভীরে গিয়ে রক্তাক্ত মরদেহ পেয়ে পুলিশে খবর দেন তারা।
ঘটনার দিন স্থানীয়রা মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন এবং তার চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে বলে জানান। তারা ধারণা করছেন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
সমাবেশে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী উক্যনু মারমা বলেন, “এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখে এক মারমা তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এক মাসের ব্যবধানে বান্দরবানের দুর্গম থানচির মংখয় পাড়ায় খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হল। আমরা কেন নিশ্চুপ হয়ে আছি? এ ঘটনায় ধর্ষণকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”