আবু সাইদ হত্যা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও বেরোবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৮ মাসেও ব্যবস্থা না নেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
গত রোববার বিকেলে শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পার্কের মোড় এলাকা ঘুরে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড, শওকত আলী গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সংবাদকে জানায় এক সপ্তাহের মধ্যে শহীদ আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় দায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
এর আগে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের সুমন সরকার, গনিত বিভাগের আল মুরসালিন মুনা একই বিভাগের ইমরান আহাম্মেদসহ অন্য শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে শহীদ আবু সাইদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি অথচ তাকে হত্যার পেছনে যারা কুশীলব শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে যাদের ভিডিও এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৃশ্যমান তাদের বিরুদ্ধে ৮ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করবে ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছে অথচ এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ।
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় যারা মুল কুশীলব বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহাফুজ, সহ-সভাপতি ফজলে রাবি, বিধান, আদুল্লাহ আল নোমান খান ও তানভীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনজ্ঞয় কুমার টগর ও ফরহাদ হোসেন এলিট, দপ্তর সম্পাদক বাবুলসহ অনেকে। এছাড়াও রিফাত, আরিফুজ্জামান ইমন, গাজীউর, শাহিদ হাসান ও মামুন। এর সঙ্গে বহিরাগত ৮-৯ জন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তারপরেও মামলা থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এবং ইন্ধনদাতা হিসেবে অন্তত ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সূত্র জানায়, নতুন করে এ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মামলার আসামি করা হলে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীল হওয়ার অজুহাতে তথ্য প্রমাণ থাকার পরও এদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন।
গত ২৭ ফ্রেরুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন হামলার অভিযোগে সমন্বয়করা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্মরত ও বহিরাগতের নাম উল্লেখ করে দুইটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে একটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান কর্মরত ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার কথা উল্লেখ করে তাদের শাস্তি দাবি করেন।
অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, সিসি টিভির ফুটেজ, বিভিন্ন ছবি থেকে এ সব হামলাকারীকে তারা শনাক্ত করেছেন এবং তাদের স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ আছে।
এদের মধ্যে গণিত বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার আনোয়ার হোসেন, সাবেক ভিসির পিএ ও নিরাপত্তা দপ্তরের কর্মকর্তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর দমন-নিপীড়নের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা কিছু ফুটেজ ভাইরাল হয়। সেখানে গত ১১ জুলাই মিছিলে বাধা দিতে দেখা গেছে সাবেক উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ও নিরাপত্তা দপ্তরের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে। তিনি রংপুর সদরের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সমন্বয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হাতে লাঠি নিয়ে হামলার নির্দেশ দিচ্ছিলেন বহিষ্কৃত সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামান পলাশ। হেলমেট পড়ে হামলায় অংশ নেন ডেসপাস শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোক্তারুল ইসলাম ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের কর্মচারী ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মাহবুবার রহমান এবং প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রফিউল ইসলাম রাসেল।
আন্দোলনকারীদের আক্রমণের উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ছাত্রলীগ ও পুলিশের পাশে
এছাড়াও ১৬ জুলাই সরাসরি হামলায় জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার শাহিন মিয়া ওরফে শাহিন সর্দারের নাম, পেনশন শাখার উপ-পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর নুরুজ্জামান, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে কর্মচারী বিপ্লব তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাসুম খান, প্রক্টর অফিসের কর্মচারী আপেল, একাউন্টস বিভাগে কর্মরত রিয়াজুল , ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সেকশন অফিসার এ কে এম রাহিমুল ইসলাম দিপু, সংস্থাপন শাখা-১ এর কর্মচারী সবুজ মিয়া ও ক্যাফেটেরিয়ার সহকারী রেজিস্ট্রার রেজাউল ইসলাম লাবু, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এরশাদুজ্জামান কাজল, স্টোর কিপার তুফানসহ অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে শহীদ আবু সাঈদের সহযোদ্ধা শামসুর রহমান সুমন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে দায়ের করা হয়নি। সে কারণে আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আমরা আবারও আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
অপরদিকে, শহীদ আবু সাইদের সহযোদ্ধা রোবায়েদ জাহিন বলেন, আমি মামলা না হওয়ায় হতাশ। প্রথম থেকে প্রশাসন ধীর গতিতে কাজ করছে। তদন্ত কমিটি গঠন করেও এখনও মামলা করতে পারেনি, এইটা প্রশাসনের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক ফারজানা জান্নাত তসি বলেন, আবু সাঈদ মারা গেছে গত প্রশাসনগুলোর দীর্ঘ ব্যর্থতার কারণে। জুলাই আন্দোলনে ১৪শ’ মানুষ মারা গেছে পার্সপেক্টিভ ভিন্ন আর আবু সাঈদের পার্সপেক্টিভ ভিন্ন। আবু সাঈদ তার ক্যাম্পাসের সামনে মারা গেছে। আমার ছাত্র আমার ছাত্রকে মারার জন্য উষ্কাই দিছে। আমার মনে হয় এই প্রশাসন এই জায়গায়টায় কোনো কাজ করেনি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড, শওকত আলী বলেন আমরা হামলা কারীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছি। এছাড়াও জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।
আবু সাইদ হত্যা
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও বেরোবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৮ মাসেও ব্যবস্থা না নেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
গত রোববার বিকেলে শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পার্কের মোড় এলাকা ঘুরে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড, শওকত আলী গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সংবাদকে জানায় এক সপ্তাহের মধ্যে শহীদ আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় দায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
এর আগে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের সুমন সরকার, গনিত বিভাগের আল মুরসালিন মুনা একই বিভাগের ইমরান আহাম্মেদসহ অন্য শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে শহীদ আবু সাইদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি অথচ তাকে হত্যার পেছনে যারা কুশীলব শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে যাদের ভিডিও এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৃশ্যমান তাদের বিরুদ্ধে ৮ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করবে ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছে অথচ এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ।
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় যারা মুল কুশীলব বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহাফুজ, সহ-সভাপতি ফজলে রাবি, বিধান, আদুল্লাহ আল নোমান খান ও তানভীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনজ্ঞয় কুমার টগর ও ফরহাদ হোসেন এলিট, দপ্তর সম্পাদক বাবুলসহ অনেকে। এছাড়াও রিফাত, আরিফুজ্জামান ইমন, গাজীউর, শাহিদ হাসান ও মামুন। এর সঙ্গে বহিরাগত ৮-৯ জন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তারপরেও মামলা থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এবং ইন্ধনদাতা হিসেবে অন্তত ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সূত্র জানায়, নতুন করে এ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মামলার আসামি করা হলে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীল হওয়ার অজুহাতে তথ্য প্রমাণ থাকার পরও এদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন।
গত ২৭ ফ্রেরুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন হামলার অভিযোগে সমন্বয়করা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্মরত ও বহিরাগতের নাম উল্লেখ করে দুইটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে একটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান কর্মরত ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার কথা উল্লেখ করে তাদের শাস্তি দাবি করেন।
অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, সিসি টিভির ফুটেজ, বিভিন্ন ছবি থেকে এ সব হামলাকারীকে তারা শনাক্ত করেছেন এবং তাদের স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ আছে।
এদের মধ্যে গণিত বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার আনোয়ার হোসেন, সাবেক ভিসির পিএ ও নিরাপত্তা দপ্তরের কর্মকর্তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর দমন-নিপীড়নের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা কিছু ফুটেজ ভাইরাল হয়। সেখানে গত ১১ জুলাই মিছিলে বাধা দিতে দেখা গেছে সাবেক উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ও নিরাপত্তা দপ্তরের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে। তিনি রংপুর সদরের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সমন্বয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হাতে লাঠি নিয়ে হামলার নির্দেশ দিচ্ছিলেন বহিষ্কৃত সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামান পলাশ। হেলমেট পড়ে হামলায় অংশ নেন ডেসপাস শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোক্তারুল ইসলাম ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের কর্মচারী ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মাহবুবার রহমান এবং প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রফিউল ইসলাম রাসেল।
আন্দোলনকারীদের আক্রমণের উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ছাত্রলীগ ও পুলিশের পাশে
এছাড়াও ১৬ জুলাই সরাসরি হামলায় জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার শাহিন মিয়া ওরফে শাহিন সর্দারের নাম, পেনশন শাখার উপ-পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর নুরুজ্জামান, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে কর্মচারী বিপ্লব তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাসুম খান, প্রক্টর অফিসের কর্মচারী আপেল, একাউন্টস বিভাগে কর্মরত রিয়াজুল , ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সেকশন অফিসার এ কে এম রাহিমুল ইসলাম দিপু, সংস্থাপন শাখা-১ এর কর্মচারী সবুজ মিয়া ও ক্যাফেটেরিয়ার সহকারী রেজিস্ট্রার রেজাউল ইসলাম লাবু, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এরশাদুজ্জামান কাজল, স্টোর কিপার তুফানসহ অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে শহীদ আবু সাঈদের সহযোদ্ধা শামসুর রহমান সুমন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে দায়ের করা হয়নি। সে কারণে আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আমরা আবারও আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
অপরদিকে, শহীদ আবু সাইদের সহযোদ্ধা রোবায়েদ জাহিন বলেন, আমি মামলা না হওয়ায় হতাশ। প্রথম থেকে প্রশাসন ধীর গতিতে কাজ করছে। তদন্ত কমিটি গঠন করেও এখনও মামলা করতে পারেনি, এইটা প্রশাসনের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক ফারজানা জান্নাত তসি বলেন, আবু সাঈদ মারা গেছে গত প্রশাসনগুলোর দীর্ঘ ব্যর্থতার কারণে। জুলাই আন্দোলনে ১৪শ’ মানুষ মারা গেছে পার্সপেক্টিভ ভিন্ন আর আবু সাঈদের পার্সপেক্টিভ ভিন্ন। আবু সাঈদ তার ক্যাম্পাসের সামনে মারা গেছে। আমার ছাত্র আমার ছাত্রকে মারার জন্য উষ্কাই দিছে। আমার মনে হয় এই প্রশাসন এই জায়গায়টায় কোনো কাজ করেনি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড, শওকত আলী বলেন আমরা হামলা কারীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছি। এছাড়াও জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।