চাঁদপুর : মতলব চরলক্ষ্মীপুরে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর অব্যাহত ভাঙনে এভাবেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমিসহ গ্রামীণ জনপদ। পাশে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন -সংবাদ
মেঘনা ধনাগোদা নদীর ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে মতলব উত্তর সুলতানাবাদ চরলক্ষীপুর গ্রামের তিন হাজার বাসিন্দার।
ইতোমধ্যে ধনাগোদা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক বসতঘর, ফসলি জমি ও পারিবারিক কবরস্থান।
হুমকির মুখে পড়েছে গ্রামের একমাত্র স্কুল চরলক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই গ্রামে একটিমাত্র মাদ্রাসা ও মাজার রয়েছে যেটি প্রায় বিলীন হওয়ার পথে।
সরেজমিনে দেখা যায় , দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর যাবত ধীরে ধীরে ধনাগোদা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে চরলক্ষীপুরের কয়েক শত একর ফসলি জমি। নদীবেষ্টিত চরলক্ষীপুরের অধিকাংশ মানুষই কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এই নদী ভাঙনের কারণে এখানকার কৃষকরা প্রায় সর্বশ্রান্ত হয়ে পড়েছে।
তাদের দাবি যত দ্রুত সম্ভব কোনো রকমভাবে হলেও গ্রামবাসীকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করা।
স্থানীয় মুরুব্বী আলহাজ্ব কাজি নাসির উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইলিয়াস প্রধান ও আলহাজ্ব আব্দুল কাদির প্রধান বলেন, চরলক্ষ্মীপুর গ্রামটি একেবারে নদীবেষ্টিত। এই গ্রামের চর্তুদিকেই নদী। এখানে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার হাজার মানুষ বসবাস করে। এখানে একটি স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মাজার ও ঈদগা রয়েছে। নদী ভাঙনের যে তীব্রতা দেখা দিয়েছে তাতে গ্রামের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।
মাদ্রাসা ও ঈদগাহের একেবারে পাশেই নদী চলে এসেছে। যেকোনো সময় গ্রামের ঈদগাহ ময়দানটি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এই ভাঙন প্রতিরোধে আমরা উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট অফিসে কতবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি।
চরলক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এ এইচ এম জামাল সাকিব বলেন, পুরো গ্রামবাসীর জন্য এই একটি মাত্র স্কুল রয়েছে এখানে। নদী ভাঙতে ভাঙতে প্রায় স্কুলের কাছে চলে এসেছে।
স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। নদী ভাঙন প্রতিরোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে স্কুল ও গ্রামবাসীকে রক্ষা করা যাবে না।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ যত দ্রুত সম্ভব এই গ্রামটিকে রক্ষা করতে নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মেঘনা ধনাগোদার নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম শাহেদ জানান, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আমি নিজে সেখানে যাব। সেখানকার পরিস্থিতি দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদপুর : মতলব চরলক্ষ্মীপুরে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর অব্যাহত ভাঙনে এভাবেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমিসহ গ্রামীণ জনপদ। পাশে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
মেঘনা ধনাগোদা নদীর ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে মতলব উত্তর সুলতানাবাদ চরলক্ষীপুর গ্রামের তিন হাজার বাসিন্দার।
ইতোমধ্যে ধনাগোদা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে শতাধিক বসতঘর, ফসলি জমি ও পারিবারিক কবরস্থান।
হুমকির মুখে পড়েছে গ্রামের একমাত্র স্কুল চরলক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই গ্রামে একটিমাত্র মাদ্রাসা ও মাজার রয়েছে যেটি প্রায় বিলীন হওয়ার পথে।
সরেজমিনে দেখা যায় , দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর যাবত ধীরে ধীরে ধনাগোদা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে চরলক্ষীপুরের কয়েক শত একর ফসলি জমি। নদীবেষ্টিত চরলক্ষীপুরের অধিকাংশ মানুষই কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এই নদী ভাঙনের কারণে এখানকার কৃষকরা প্রায় সর্বশ্রান্ত হয়ে পড়েছে।
তাদের দাবি যত দ্রুত সম্ভব কোনো রকমভাবে হলেও গ্রামবাসীকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করা।
স্থানীয় মুরুব্বী আলহাজ্ব কাজি নাসির উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইলিয়াস প্রধান ও আলহাজ্ব আব্দুল কাদির প্রধান বলেন, চরলক্ষ্মীপুর গ্রামটি একেবারে নদীবেষ্টিত। এই গ্রামের চর্তুদিকেই নদী। এখানে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার হাজার মানুষ বসবাস করে। এখানে একটি স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মাজার ও ঈদগা রয়েছে। নদী ভাঙনের যে তীব্রতা দেখা দিয়েছে তাতে গ্রামের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।
মাদ্রাসা ও ঈদগাহের একেবারে পাশেই নদী চলে এসেছে। যেকোনো সময় গ্রামের ঈদগাহ ময়দানটি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এই ভাঙন প্রতিরোধে আমরা উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট অফিসে কতবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি।
চরলক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এ এইচ এম জামাল সাকিব বলেন, পুরো গ্রামবাসীর জন্য এই একটি মাত্র স্কুল রয়েছে এখানে। নদী ভাঙতে ভাঙতে প্রায় স্কুলের কাছে চলে এসেছে।
স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। নদী ভাঙন প্রতিরোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে স্কুল ও গ্রামবাসীকে রক্ষা করা যাবে না।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ যত দ্রুত সম্ভব এই গ্রামটিকে রক্ষা করতে নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মেঘনা ধনাগোদার নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম শাহেদ জানান, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আমি নিজে সেখানে যাব। সেখানকার পরিস্থিতি দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।