চকরিয়ায় সওজ বিভাগের উন্নয়ন কাজ
সড়কের স্থায়ীত্ব নিয়ে সন্দেহ
চকরিয়া (কক্সবাজার) : সওজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তা -সংবাদ
বর্ষা মৌসুমের শুরুতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সদরে সড়ক বিভাগের একটি লুটপাটের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ঘিরে স্থানীয় এলাকাবাসী থেকে শুরু করে সর্বমহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সড়ক বিভাগের নিয়োজিত প্রকৌশলীদের যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা সড়কের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করছেন নিন্মমানের ইটসহ বিভিন্ন সামগ্রী। এ অবস্থায় সড়কটির স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিকরা।
চকরিয়া উপজেলা পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক এমআর মাহমুদ বলেন, চিরিঙ্গা বদরখালী সড়ক উন্নয়ন কাজের নামে সরকারি টাকা লুটপাটের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে সেখানে নিন্মমানের দুই নম্বর ইট বসিয়ে কীভাবে সড়কের স্থায়ীত্ব রক্ষা করা যাবে। এছাড়া নিন্মমানের কাজের কারণে সড়কের গুনগতমান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এভাবে নিন্মমানের কাজ করে সরকারি টাকা লুটপাট না করে জনগণের জন্য টেকসই ও স্থায়ীত্ব সড়ক তৈরির জন্য কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের অর্থ বরাদ্দে চকরিয়া উপজেলা সদর চিরিঙ্গা থেকে বদরখালী সড়কে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এরইমধ্যে চিরিঙ্গা-বদরখালী সড়কের থানা সেন্টার মসজিদ সংলগ্ন ও ভরামুহুরীস্থ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আজাদের বাসার সামনে কার্পেটিং তুলে নিম্ন মানের ইট ও ময়লাযুক্ত বালি দিয়ে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও সড়কে চলাচলকারী অনেকে।
জানা গেছে, সওজের অধীনে বিপুল টাকা বরাদ্দের বিপরীতে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সড়কটির উন্নয়ন কাজ শেষ করেছে। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিন্মমানের উপকরণ দিয়ে উন্নয়ন কাজ করার কারণে এপ্রিল মাসের শেষদিকে হালকা বৃষ্টিতে সড়কের চকরিয়া থানা রাস্তার মাথা থেকে শুরু করে লালব্রিজ (কেবি জালাল উদ্দিন সড়ক) পর্যন্ত অংশে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে যাত্রী সাধারণ ও পথচারীরা চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে নিত্যদিন চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাড়াও মহেশখালী, পেকুয়াসহ ৪ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এ অবস্থায় জনগণের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে
সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তা সংস্কারের কাজটি বাস্তবায়ন করছেন। তবে সড়কের কার্পেটিং তুলে নিম্ন মানের ইট ও বালি দিয়ে রাস্তা সংস্কার বা মেরামতের এই কাজ বর্ষা মৌসুমে কতো দিন টিকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সচেতনমহল।
নিম্ন মানের ইট দিয়ে রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতনমহল।
সড়ক সংস্কার কাজে তদারকির দায়িত্বে আছেন কক্সবাজার সড়ক বিভাগের আওতাধীন চকরিয়া উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে বলেন, সড়কের যে জায়গায় গর্ত হয়েছে সেসব গর্ত গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কংকর দিয়ে ভরাট করে আপাতত যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আমরা চাচ্ছি সড়কের যেসব জায়গায় গর্ত হয়েছে সেসব জায়গায় আরসিসি ঢালাই দেওয়া হবে। সেজন্য দরপত্র তৈরি করা হচ্ছে। দরপত্র তৈরি করে দ্রুত সময়ে টেন্ডার দেওয়া হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই স্থায়ী ও টেকসই কাজ শুরু হবে।
চকরিয়ায় সওজ বিভাগের উন্নয়ন কাজ
সড়কের স্থায়ীত্ব নিয়ে সন্দেহ
চকরিয়া (কক্সবাজার) : সওজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
বর্ষা মৌসুমের শুরুতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সদরে সড়ক বিভাগের একটি লুটপাটের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ঘিরে স্থানীয় এলাকাবাসী থেকে শুরু করে সর্বমহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সড়ক বিভাগের নিয়োজিত প্রকৌশলীদের যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা সড়কের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করছেন নিন্মমানের ইটসহ বিভিন্ন সামগ্রী। এ অবস্থায় সড়কটির স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিকরা।
চকরিয়া উপজেলা পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক এমআর মাহমুদ বলেন, চিরিঙ্গা বদরখালী সড়ক উন্নয়ন কাজের নামে সরকারি টাকা লুটপাটের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে সেখানে নিন্মমানের দুই নম্বর ইট বসিয়ে কীভাবে সড়কের স্থায়ীত্ব রক্ষা করা যাবে। এছাড়া নিন্মমানের কাজের কারণে সড়কের গুনগতমান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এভাবে নিন্মমানের কাজ করে সরকারি টাকা লুটপাট না করে জনগণের জন্য টেকসই ও স্থায়ীত্ব সড়ক তৈরির জন্য কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের অর্থ বরাদ্দে চকরিয়া উপজেলা সদর চিরিঙ্গা থেকে বদরখালী সড়কে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এরইমধ্যে চিরিঙ্গা-বদরখালী সড়কের থানা সেন্টার মসজিদ সংলগ্ন ও ভরামুহুরীস্থ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আজাদের বাসার সামনে কার্পেটিং তুলে নিম্ন মানের ইট ও ময়লাযুক্ত বালি দিয়ে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও সড়কে চলাচলকারী অনেকে।
জানা গেছে, সওজের অধীনে বিপুল টাকা বরাদ্দের বিপরীতে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সড়কটির উন্নয়ন কাজ শেষ করেছে। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিন্মমানের উপকরণ দিয়ে উন্নয়ন কাজ করার কারণে এপ্রিল মাসের শেষদিকে হালকা বৃষ্টিতে সড়কের চকরিয়া থানা রাস্তার মাথা থেকে শুরু করে লালব্রিজ (কেবি জালাল উদ্দিন সড়ক) পর্যন্ত অংশে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে যাত্রী সাধারণ ও পথচারীরা চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে নিত্যদিন চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাড়াও মহেশখালী, পেকুয়াসহ ৪ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এ অবস্থায় জনগণের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে
সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তা সংস্কারের কাজটি বাস্তবায়ন করছেন। তবে সড়কের কার্পেটিং তুলে নিম্ন মানের ইট ও বালি দিয়ে রাস্তা সংস্কার বা মেরামতের এই কাজ বর্ষা মৌসুমে কতো দিন টিকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সচেতনমহল।
নিম্ন মানের ইট দিয়ে রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতনমহল।
সড়ক সংস্কার কাজে তদারকির দায়িত্বে আছেন কক্সবাজার সড়ক বিভাগের আওতাধীন চকরিয়া উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে বলেন, সড়কের যে জায়গায় গর্ত হয়েছে সেসব গর্ত গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কংকর দিয়ে ভরাট করে আপাতত যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আমরা চাচ্ছি সড়কের যেসব জায়গায় গর্ত হয়েছে সেসব জায়গায় আরসিসি ঢালাই দেওয়া হবে। সেজন্য দরপত্র তৈরি করা হচ্ছে। দরপত্র তৈরি করে দ্রুত সময়ে টেন্ডার দেওয়া হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই স্থায়ী ও টেকসই কাজ শুরু হবে।