চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের অভাবে কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭-৮শ রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার না থাকায় কাক্সিক্ষত সেবা না পেয়ে রোগীরা ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, মেডিকেল অফিসার, নার্স, কর্মকর্তা কর্মচারীসহ মোট ১৮৪টি পদের মধ্যে ১০১টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ১০ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩ জন, মেডিকেল অফিসার ২০ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন ৫ জন, নার্স ৩০ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন ২৫ জন, তৃতীয় শ্রেণী ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী ১১৮ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন ৭২ জন। এ ছাড়া এনালগ এক্স-রে মেশিনটি অনেক পুরাতন হওয়ায় সঠিকভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। জেনারেটর মেশিনটি দীর্ঘদিন থেকে অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীরা অন্ধকারে থাকতে হয়। জরুরি বিভাগে ডাক্তাররা রোগীদের থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করার অভিযোগ করে আসছে প্রতিনিয়ত রোগীরা। নার্সদের বিরুদ্ধেও রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালের রোগীদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগও করছেন রোগীরা। দালালদের উৎপাতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে হাসপাতালের কোয়াটার গুলো জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এগুলো জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে মাত্র ৮ জন ডাক্তার দিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিরাজিত সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, এই বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করে আসছেন। জরুরি বিভাগে ডাক্তাররা রোগীদের থেকে টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ডাক্তাররা এই কাজটি করেন না, সহকারীরা অনেক সময় এটা করে থাকে। দালালদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি দালালদের উৎপাত থেকে বাঁচার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। স্থানীয়রা চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিরাজিত সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টাসহ প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি কামনা করেছেন।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের অভাবে কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭-৮শ রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার না থাকায় কাক্সিক্ষত সেবা না পেয়ে রোগীরা ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, মেডিকেল অফিসার, নার্স, কর্মকর্তা কর্মচারীসহ মোট ১৮৪টি পদের মধ্যে ১০১টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ১০ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩ জন, মেডিকেল অফিসার ২০ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন ৫ জন, নার্স ৩০ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন ২৫ জন, তৃতীয় শ্রেণী ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী ১১৮ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন ৭২ জন। এ ছাড়া এনালগ এক্স-রে মেশিনটি অনেক পুরাতন হওয়ায় সঠিকভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। জেনারেটর মেশিনটি দীর্ঘদিন থেকে অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীরা অন্ধকারে থাকতে হয়। জরুরি বিভাগে ডাক্তাররা রোগীদের থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করার অভিযোগ করে আসছে প্রতিনিয়ত রোগীরা। নার্সদের বিরুদ্ধেও রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালের রোগীদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগও করছেন রোগীরা। দালালদের উৎপাতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে হাসপাতালের কোয়াটার গুলো জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এগুলো জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে মাত্র ৮ জন ডাক্তার দিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিরাজিত সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, এই বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করে আসছেন। জরুরি বিভাগে ডাক্তাররা রোগীদের থেকে টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ডাক্তাররা এই কাজটি করেন না, সহকারীরা অনেক সময় এটা করে থাকে। দালালদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি দালালদের উৎপাত থেকে বাঁচার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। স্থানীয়রা চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিরাজিত সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টাসহ প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি কামনা করেছেন।