আট হাজার টাকা মূলধন নিয়ে ১৫ দিন আগে চা, বিস্কুট, চিপসের দোকান দিয়েছেন শাহীন মিয়া । এই স্থানে দোকান বসাবেন কিছুদিন আগেও তা ছিল অজানা।
সবই যেন কল্পনা। কিছুদিন পূর্বেও তুলার ফেক্টরিতে কাজ করে চলত সংসার। অথচ, দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী লাল মাটির পাহাড় লালমাই পাহাড়ে মিলেছে রাজার বাড়ি, প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শক হিসেবে প্রত্নতত্ত্বের অধীনে হচ্ছে মাটি খননের কাজ। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ আসে এখানে। আর তাতেই খুলেছে শাহিন মিয়ার ভাগ্যের চাকা। পাহাড়ের ওপরে নিজের ছোট্ট দোকানটিতে প্রতিদিন প্রায় ১২-১৪ শত টাকার চা ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি করেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে তিন ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে খুবই কষ্টে জীবনযাপন করে আসছেন শাহিন।
কথিত আছে, বহুবছর পূর্বে থেকেই লালমাই পাহাড়ের বড় ধর্মপুর বালাগাজী মুড়া এলাকায় মাটি খুড়লেই সন্ধান মিলতো ইটের টুকরো, জিকের কনা। তখন মুরুব্বিরা বলতো এখানে শত শত বছর পূর্বে রাজার বাড়ি ছিল। রাজাদের ঘরের ইট মাটি খুড়লেই বেরিয়ে আসে। নতুন প্রজন্মের কাছে এই কথাগুলো ছিল গল্প কাহিনীর মতো। কিন্তু এখন তা সত্যি প্রমাণিত হলো।
স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন, গত কয়েকবছর ধরে সরকারি লোকজন এখানে আসা শুরু করেছে। এখানে এসে মানুষদের বলে রাজবাড়ীর কথা। এইবার খনন কাজ শুরু করেছে। এই রাজবাড়ী উদঘাটন করে পর্যটক স্থান হিসেবে ঘোষণা করা প্রয়োজন তাতে সরকারেরও রাজস্ব বাড়বে আর শাহীনের মতো এই এলাকার বহু মানুষেরও কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে লালমাই পাহাড়ের ঐতিহ্য ধারণা করা হচ্ছে প্রাচীন সভ্যতার অংশ বিশেষ খনন করা হয়েছে মাত্র। প্রায় ১১ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে প্রাচীন এই রাজার বাড়ি।
কুমিল্লা জেলা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোছা. নাহিদ সুলতানা বলেন, আমরা মাত্র খনন কাজ শুরু করেছি। এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। খনন কাজ শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করে পূর্ণাঙ্গ খনন পরিকল্পনা গ্রহণ করব। নিদর্শন ও ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করে প্রাথমিক বিশ্লেষণের পর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
আট হাজার টাকা মূলধন নিয়ে ১৫ দিন আগে চা, বিস্কুট, চিপসের দোকান দিয়েছেন শাহীন মিয়া । এই স্থানে দোকান বসাবেন কিছুদিন আগেও তা ছিল অজানা।
সবই যেন কল্পনা। কিছুদিন পূর্বেও তুলার ফেক্টরিতে কাজ করে চলত সংসার। অথচ, দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী লাল মাটির পাহাড় লালমাই পাহাড়ে মিলেছে রাজার বাড়ি, প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শক হিসেবে প্রত্নতত্ত্বের অধীনে হচ্ছে মাটি খননের কাজ। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ আসে এখানে। আর তাতেই খুলেছে শাহিন মিয়ার ভাগ্যের চাকা। পাহাড়ের ওপরে নিজের ছোট্ট দোকানটিতে প্রতিদিন প্রায় ১২-১৪ শত টাকার চা ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি করেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে তিন ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে খুবই কষ্টে জীবনযাপন করে আসছেন শাহিন।
কথিত আছে, বহুবছর পূর্বে থেকেই লালমাই পাহাড়ের বড় ধর্মপুর বালাগাজী মুড়া এলাকায় মাটি খুড়লেই সন্ধান মিলতো ইটের টুকরো, জিকের কনা। তখন মুরুব্বিরা বলতো এখানে শত শত বছর পূর্বে রাজার বাড়ি ছিল। রাজাদের ঘরের ইট মাটি খুড়লেই বেরিয়ে আসে। নতুন প্রজন্মের কাছে এই কথাগুলো ছিল গল্প কাহিনীর মতো। কিন্তু এখন তা সত্যি প্রমাণিত হলো।
স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন, গত কয়েকবছর ধরে সরকারি লোকজন এখানে আসা শুরু করেছে। এখানে এসে মানুষদের বলে রাজবাড়ীর কথা। এইবার খনন কাজ শুরু করেছে। এই রাজবাড়ী উদঘাটন করে পর্যটক স্থান হিসেবে ঘোষণা করা প্রয়োজন তাতে সরকারেরও রাজস্ব বাড়বে আর শাহীনের মতো এই এলাকার বহু মানুষেরও কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে লালমাই পাহাড়ের ঐতিহ্য ধারণা করা হচ্ছে প্রাচীন সভ্যতার অংশ বিশেষ খনন করা হয়েছে মাত্র। প্রায় ১১ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে প্রাচীন এই রাজার বাড়ি।
কুমিল্লা জেলা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোছা. নাহিদ সুলতানা বলেন, আমরা মাত্র খনন কাজ শুরু করেছি। এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। খনন কাজ শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করে পূর্ণাঙ্গ খনন পরিকল্পনা গ্রহণ করব। নিদর্শন ও ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করে প্রাথমিক বিশ্লেষণের পর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।