বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নে এক খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা কমিটির সহসভাপতি কবিতা চাকমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার একটিরও সঠিক বিচার এখনো হয়নি। এই ঘটনাগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের নারীদের নিরাপত্তাহীনতার প্রমাণ করে। পাহাড়ের নারীরা নিজ ভূমিতে এবং নিজ বাড়িতেও নিরাপদ নয়। ধর্ষণের ভয়ে পাহাড়ি নারীদের প্রতিনিয়ত দিন পার করতে হয়।”
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি সুমন চাকমা বলেন, “পাহাড়ের জনতা আন্দোলন করতে শিখেছে, অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে শিখেছে। পাহাড়ের মানুষকে মামলা-হামলা দিয়ে দাবিয়ে রাখা যাবে না। পাহাড়ের মানুষ নিজেদের অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।”
তিনি থানচিতে নৃশংসভাবে ধর্ষণের ঘটনাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক তদন্ত করে ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমা বলেন, “আমাদের পাহাড়ি নারীরা ঘরে-বাহিরে, জুমে-জমিতে গিয়েও কাজ করে। তারা কাজের জায়গায় গিয়েও যদি নিরাপদ না হয় তাহলে তারা কোথায় যাবে? আমাদের প্রশ্ন এটা, নারী দেখলেই কেন কিছু নরাধমের ধর্ষণের ইচ্ছা জাগে। ধর্ষণের ঘটনাগুলো যুগ-যুগ ধরে ঘটে যাচ্ছে। আগের ধর্ষণের ঘটনাগুলোর বিচার না হওয়ায় দিন দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। আমি রাষ্ট্রের কাছে আবেদন করব, যে ধর্ষণের ঘটনাগুলো ঘটে গেছে, সব ঘটনার যেন বিচার হয়।”
তিনি আরও বলেন, “২৯ বছর বয়সী এই খিয়াং মায়ের ছোট্ট শিশু, যার বয়স আট মাস; সে এখনো জানে না তার মা আর ফিরবে না। ধর্ষক যারা, তাদের যদি সঠিক বিচার না হয় তাহলে তো এরকমই ঘটনা ভবিষ্যতে আমরা আরও দেখতে থাকব।”
মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থী সুজন চাকমার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ক্যচিংনু মারমা, শিক্ষার্থী উজাই মারমা ও বাবুল মারমা।
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নে এক খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা কমিটির সহসভাপতি কবিতা চাকমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার একটিরও সঠিক বিচার এখনো হয়নি। এই ঘটনাগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের নারীদের নিরাপত্তাহীনতার প্রমাণ করে। পাহাড়ের নারীরা নিজ ভূমিতে এবং নিজ বাড়িতেও নিরাপদ নয়। ধর্ষণের ভয়ে পাহাড়ি নারীদের প্রতিনিয়ত দিন পার করতে হয়।”
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি সুমন চাকমা বলেন, “পাহাড়ের জনতা আন্দোলন করতে শিখেছে, অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে শিখেছে। পাহাড়ের মানুষকে মামলা-হামলা দিয়ে দাবিয়ে রাখা যাবে না। পাহাড়ের মানুষ নিজেদের অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।”
তিনি থানচিতে নৃশংসভাবে ধর্ষণের ঘটনাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক তদন্ত করে ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমা বলেন, “আমাদের পাহাড়ি নারীরা ঘরে-বাহিরে, জুমে-জমিতে গিয়েও কাজ করে। তারা কাজের জায়গায় গিয়েও যদি নিরাপদ না হয় তাহলে তারা কোথায় যাবে? আমাদের প্রশ্ন এটা, নারী দেখলেই কেন কিছু নরাধমের ধর্ষণের ইচ্ছা জাগে। ধর্ষণের ঘটনাগুলো যুগ-যুগ ধরে ঘটে যাচ্ছে। আগের ধর্ষণের ঘটনাগুলোর বিচার না হওয়ায় দিন দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। আমি রাষ্ট্রের কাছে আবেদন করব, যে ধর্ষণের ঘটনাগুলো ঘটে গেছে, সব ঘটনার যেন বিচার হয়।”
তিনি আরও বলেন, “২৯ বছর বয়সী এই খিয়াং মায়ের ছোট্ট শিশু, যার বয়স আট মাস; সে এখনো জানে না তার মা আর ফিরবে না। ধর্ষক যারা, তাদের যদি সঠিক বিচার না হয় তাহলে তো এরকমই ঘটনা ভবিষ্যতে আমরা আরও দেখতে থাকব।”
মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থী সুজন চাকমার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ক্যচিংনু মারমা, শিক্ষার্থী উজাই মারমা ও বাবুল মারমা।