আদমদীঘি (বগুড়া) : কৃষকরা পুরোদমে ইরি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ব্যস্ত সময় পার করছেন -সংবাদ
পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কৃষকরা পুরোদমে ইরি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন। চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় ধানের ভালো আবাদ হয়েছে। ধানের খেতে গিয়ে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে ঘরে ধান কেটে তোলার স্বপ্ন। নতুন ধানের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিক। দিনভর নানা ব্যস্ততায় ধান ঘরে তোলার সময় পার করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ক্ষেতে তেমন কোনো রোগবালাই না থাকা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ইরি-বোরো ধানের এবার বাম্পার ফলন হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। অনেক কৃষ জানিয়েছে এ বছর ধানের ফলন গড়ে প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৫ মণ হারে হচ্ছে।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় মোট ১২ হাজার ৪শ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে গত বছর ইরি-বোরোর ফলনের চেয়ে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ইরি বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় এবার জিরাশাইল, সরু জাতের জিরাশাইল, কাটারিসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করতে জমিতে পানি সেচ, সার, কীটনাশক ও যাবতীয় খরচ বাবদ মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় গড়ে ধান উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মণ হারে। বর্তমানে আদমদীঘিতে বিভিন্ন মোকাম ও হাট বাজারে ধানের দর প্রকারভেদে প্রতি মণ ১১৫০ থেকে ১২৮০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। সেই হিসাবে প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদিত ধানের মূল্য প্রায় ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এতে কৃষকদের প্রতি বিঘা জমিতে লাভ থাকছে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
উপজেলার সান্তাহার ইউনয়নের দমদমা গ্রামের কৃষক হেলালুর রহমান জানান, এবারে ধানের আবাদ করে লাভ পাওয়ায় বেশ খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা। তিনি আরোও বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষকরা। তবে এবার ফলনও ভালো ও দাম বেশি পেলে আমরা ভীষণ খুশি হবে। কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, মাঠের বেশিরভাগ ধান পেকে গেছে, কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষক ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই উপজেলায় কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দেয়নি। তবে ধান মাঠে থাকায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান চাষে আরোও বেশি উৎসাহি হয়ে উঠবে। তিনি আরোও জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগবালাইও কিছুটা কম ছিল। তবে জমিতে ধান পাকলে দেরি না করে তরিঘরি করে ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেন উপজেলা কৃৃষি অফিসার।
আদমদীঘি (বগুড়া) : কৃষকরা পুরোদমে ইরি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ব্যস্ত সময় পার করছেন -সংবাদ
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কৃষকরা পুরোদমে ইরি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন। চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় ধানের ভালো আবাদ হয়েছে। ধানের খেতে গিয়ে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে ঘরে ধান কেটে তোলার স্বপ্ন। নতুন ধানের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিক। দিনভর নানা ব্যস্ততায় ধান ঘরে তোলার সময় পার করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ক্ষেতে তেমন কোনো রোগবালাই না থাকা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ইরি-বোরো ধানের এবার বাম্পার ফলন হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। অনেক কৃষ জানিয়েছে এ বছর ধানের ফলন গড়ে প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৫ মণ হারে হচ্ছে।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় মোট ১২ হাজার ৪শ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে গত বছর ইরি-বোরোর ফলনের চেয়ে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ইরি বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় এবার জিরাশাইল, সরু জাতের জিরাশাইল, কাটারিসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করতে জমিতে পানি সেচ, সার, কীটনাশক ও যাবতীয় খরচ বাবদ মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় গড়ে ধান উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মণ হারে। বর্তমানে আদমদীঘিতে বিভিন্ন মোকাম ও হাট বাজারে ধানের দর প্রকারভেদে প্রতি মণ ১১৫০ থেকে ১২৮০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। সেই হিসাবে প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদিত ধানের মূল্য প্রায় ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এতে কৃষকদের প্রতি বিঘা জমিতে লাভ থাকছে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
উপজেলার সান্তাহার ইউনয়নের দমদমা গ্রামের কৃষক হেলালুর রহমান জানান, এবারে ধানের আবাদ করে লাভ পাওয়ায় বেশ খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা। তিনি আরোও বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষকরা। তবে এবার ফলনও ভালো ও দাম বেশি পেলে আমরা ভীষণ খুশি হবে। কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, মাঠের বেশিরভাগ ধান পেকে গেছে, কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষক ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই উপজেলায় কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দেয়নি। তবে ধান মাঠে থাকায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান চাষে আরোও বেশি উৎসাহি হয়ে উঠবে। তিনি আরোও জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগবালাইও কিছুটা কম ছিল। তবে জমিতে ধান পাকলে দেরি না করে তরিঘরি করে ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেন উপজেলা কৃৃষি অফিসার।