alt

সারাদেশ

আদমদীঘিতে পুরোদমে চলছে ইরি ধান কাটা-মাড়াই কাজ

প্রতিনিধি, আদমদীঘি (বগুড়া) : বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

আদমদীঘি (বগুড়া) : কৃষকরা পুরোদমে ইরি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ব্যস্ত সময় পার করছেন -সংবাদ

পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কৃষকরা পুরোদমে ইরি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন। চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় ধানের ভালো আবাদ হয়েছে। ধানের খেতে গিয়ে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে ঘরে ধান কেটে তোলার স্বপ্ন। নতুন ধানের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিক। দিনভর নানা ব্যস্ততায় ধান ঘরে তোলার সময় পার করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ক্ষেতে তেমন কোনো রোগবালাই না থাকা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ইরি-বোরো ধানের এবার বাম্পার ফলন হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। অনেক কৃষ জানিয়েছে এ বছর ধানের ফলন গড়ে প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৫ মণ হারে হচ্ছে।

আদমদীঘি উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় মোট ১২ হাজার ৪শ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে গত বছর ইরি-বোরোর ফলনের চেয়ে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ইরি বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় এবার জিরাশাইল, সরু জাতের জিরাশাইল, কাটারিসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করতে জমিতে পানি সেচ, সার, কীটনাশক ও যাবতীয় খরচ বাবদ মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় গড়ে ধান উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মণ হারে। বর্তমানে আদমদীঘিতে বিভিন্ন মোকাম ও হাট বাজারে ধানের দর প্রকারভেদে প্রতি মণ ১১৫০ থেকে ১২৮০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। সেই হিসাবে প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদিত ধানের মূল্য প্রায় ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এতে কৃষকদের প্রতি বিঘা জমিতে লাভ থাকছে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

উপজেলার সান্তাহার ইউনয়নের দমদমা গ্রামের কৃষক হেলালুর রহমান জানান, এবারে ধানের আবাদ করে লাভ পাওয়ায় বেশ খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা। তিনি আরোও বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষকরা। তবে এবার ফলনও ভালো ও দাম বেশি পেলে আমরা ভীষণ খুশি হবে। কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, মাঠের বেশিরভাগ ধান পেকে গেছে, কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষক ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই উপজেলায় কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দেয়নি। তবে ধান মাঠে থাকায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান চাষে আরোও বেশি উৎসাহি হয়ে উঠবে। তিনি আরোও জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগবালাইও কিছুটা কম ছিল। তবে জমিতে ধান পাকলে দেরি না করে তরিঘরি করে ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেন উপজেলা কৃৃষি অফিসার।

সীমান্তবর্তী ৩৩ জেলায় পুলিশের বাড়তি সতর্কতা

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রামগড় ও লক্ষীছড়িতে বিক্ষোভ

ছবি

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

রংপুর মেডিকেলে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম অকেজো, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক হতবাক

মাদারগঞ্জে অসময়ে যমুনার পানি বৃদ্ধি, নদীতে ১০ বসতভিটা বিলীন

ছবি

বিলুপ্তির পথে বুনোফল ‘আনাই’

বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা

ফসলি জমি মাটি কাটায় জরিমানা

ডাক বিভাগের গাফিলতিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ক্ষতি

রাসেলস ভাইপার থেকে সুরক্ষায় গোয়ালন্দে গামবুট বিতরণ

ছবি

রাউজানে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের

সাভারে মেয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল বাবার

ছবি

ধানের ভালো ফলনেও হাসি নেই চাষিদের মুখে

কুয়াকাটায় পর্যটক হেনেস্তাকারী যুবদল সভাপতি বহিষ্কার

ছবি

গঙ্গাচড়ায় উপহার পেল যৌতুকবিহীন ২০ নবদম্পতি

ছবি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নারীসহ নিহত ৫

একদিনে ১১০ জনকে বাংলাদেশে বিএসএফের ‘পুশইন’

ছবি

মৌলভীবাজারের ধলই সীমান্তে আরও ১৫ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিল বিএসএফ

ফরিদপুরের সালথায় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটের শরণখোলায় এক বৃদ্ধের আত্মহত্যা

ছবি

অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ গাইড ও নোটবই

চাঁদপুর সদর হাসপাতাল শিশু ওয়ার্ডে নতুন শয্যা অনুদান

ছবি

সংবাদ প্রকাশের পর টুঙ্গিপাড়ায় নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু

ছবি

মানিকগঞ্জের মিষ্টি কুমড়ার দামে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

হবিগঞ্জে নিখোঁজ তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

কেরুতে এক যুগেও চালু হয়নি অটোমেশিন, গচ্চা শতকোটি

কুয়াকাটায় অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ফরমালিনযুক্ত আম ধ্বংস, জরিমানা

ছবি

পাহাড়ি এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আদিবাসীরা

নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ, ব্যবসায়ীর জরিমানা

অবৈধভাবে উত্তোলিত ৫ লাখ ঘনফুট বালু জব্দ

আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার ওসিসহ ৭ পুলিশ

মানিকগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা

হকার হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন

জমি অধিগ্রহণে ধীরগতি, আলোর মুখ দেখেনি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

tab

সারাদেশ

আদমদীঘিতে পুরোদমে চলছে ইরি ধান কাটা-মাড়াই কাজ

প্রতিনিধি, আদমদীঘি (বগুড়া)

আদমদীঘি (বগুড়া) : কৃষকরা পুরোদমে ইরি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ব্যস্ত সময় পার করছেন -সংবাদ

বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কৃষকরা পুরোদমে ইরি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন। চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় ধানের ভালো আবাদ হয়েছে। ধানের খেতে গিয়ে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে ঘরে ধান কেটে তোলার স্বপ্ন। নতুন ধানের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিক। দিনভর নানা ব্যস্ততায় ধান ঘরে তোলার সময় পার করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ক্ষেতে তেমন কোনো রোগবালাই না থাকা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ইরি-বোরো ধানের এবার বাম্পার ফলন হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। অনেক কৃষ জানিয়েছে এ বছর ধানের ফলন গড়ে প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৫ মণ হারে হচ্ছে।

আদমদীঘি উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় মোট ১২ হাজার ৪শ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে গত বছর ইরি-বোরোর ফলনের চেয়ে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ইরি বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় এবার জিরাশাইল, সরু জাতের জিরাশাইল, কাটারিসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করতে জমিতে পানি সেচ, সার, কীটনাশক ও যাবতীয় খরচ বাবদ মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় গড়ে ধান উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মণ হারে। বর্তমানে আদমদীঘিতে বিভিন্ন মোকাম ও হাট বাজারে ধানের দর প্রকারভেদে প্রতি মণ ১১৫০ থেকে ১২৮০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। সেই হিসাবে প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদিত ধানের মূল্য প্রায় ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এতে কৃষকদের প্রতি বিঘা জমিতে লাভ থাকছে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

উপজেলার সান্তাহার ইউনয়নের দমদমা গ্রামের কৃষক হেলালুর রহমান জানান, এবারে ধানের আবাদ করে লাভ পাওয়ায় বেশ খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা। তিনি আরোও বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষকরা। তবে এবার ফলনও ভালো ও দাম বেশি পেলে আমরা ভীষণ খুশি হবে। কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, মাঠের বেশিরভাগ ধান পেকে গেছে, কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষক ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই উপজেলায় কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দেয়নি। তবে ধান মাঠে থাকায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান চাষে আরোও বেশি উৎসাহি হয়ে উঠবে। তিনি আরোও জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগবালাইও কিছুটা কম ছিল। তবে জমিতে ধান পাকলে দেরি না করে তরিঘরি করে ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেন উপজেলা কৃৃষি অফিসার।

back to top