বাংলাদেশে নদী রক্ষার জন্য হালদা একটি মডেল। ইতোমধ্যেই দূষণের ক্ষেত্রে হালদা নদী অনেক সফলতা দেখিয়েছে। কিন্তু রাবার ড্যামের প্রভাবে নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মারাত্মক সংকেত, নদীকে রক্ষা করতে হলে নদীপাড়ের জনগণকে সম্পৃক্ত করে হালদা নদীর উন্নয়ন এবং সুরক্ষায় সম্মিলিত উদ্যেগ প্রয়োজন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কচুখাইন (হালদার মূখ) এলাকায় হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (২য় পর্যায়) মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র সুরক্ষা সংরক্ষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক স্টেক হোল্ডারদের অবহিতকরণ ওয়ার্কশপে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় বক্তারা বলেন, হালদা নদী শুধু একটি জলাধার নয়, এটি জীববৈচিত্র্য, অর্থনীতি এবং জাতীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য উৎস। রাবার ড্যামের প্রভাবে নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মারাত্মক সঙ্কেত। হালদা রক্ষায় সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, বিকল্প জীবিকা ও পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণ জরুরি। চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দর সভাপতিত্বে ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈরাগী। মুখ্য আলোচক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জিসান বিন মাজেদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও হালদা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আজাদী। বোয়ালখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাঈম হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেনÑ চট্টগ্রাম জেলা নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি এসএম খোরশেদুল ইসলাম, সহসভাপতি, নুর নবী, সাধারণ সম্পাদক, মো. মুজিবুল হক, সাংবাদিক নেজাম উদ্দীন রানা, সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু, মৎস্যজীবী মদন দাশ, রবি দাশ, স্বপন দাশ। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক জাহেদুল আলম, সাংবাদিক গাজী জয়নাল আবেদীন জুবায়ের, মো. মুজিব বোয়ালখালী মৎস্য অফিস ক্ষেত্র সহকারী আবু মোহাম্মদ নোমান।
প্রধান অতিথি বিশ্বজিৎ বৈরাগী বলেন, হালদা পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ। এই নদী নিয়ে গণমাধ্যমে ধারাবাহিক লেখালেখির কারণে এর গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হালদাকে রক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে নদীপাড়ের মৎস্যজীবীদের বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে সরকারকে সুপারিশ প্রদান করা হবে। কারণ হালদা নদীকে ঘিরেই বহু মানুষের জীবন-জীবিকা গড়ে উঠেছে। তাই তাদের সঙ্গে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে হালদাকেটিকিয়ে রাখতে হবে। মূখ্য আলোচক অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, মাছ এবং বালু এই দুটি বিষয় একসঙ্গে ভাবলে হালদার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত নিষিক্ত ডিম আহরণ, যেটি হালদা নদীর অনন্য বৈশিষ্ট্য। এর পাশাপাশি হালদা নদীর অনেক অবদান রয়েছে। নগরীতে বসবাসরত লাখ লাখ মানুষের নিরাপদ পানির সংস্থান করে এই হালদা নদী- যার জন্য এই নদীকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নদী দেশের গর্ব। দেশের ৭টি বিভাগের ৭টি নদীকে দূষণমুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার তার মধ্যে হালদা একটি। হালদা বাঁচলে চট্টগ্রাম তথা হালদা পাড়ের মানুষ বাঁচবে। তাই দেশের এই সম্পদ যে কোন কিছুর বিনিময়ে রক্ষা করা প্রশাসনসহ প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব। হালদাকে রক্ষা করতে হলে নদীপাড়ের মানুষের ব্যক্তিগত ত্যাগ স্বীকারের প্রয়োজন হবে। সমন্বিত অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নদী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলেই হালদাকে বাঁচানো সম্ভব।
২০১০ সাল থেকে রাবার ড্যামের প্রভাবে নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মারাত্মক সংকেত। হালদা শুধু বোয়ালখালী, রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি আর মানিকছড়িরই নয়, এটি এখন জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়েছে। বিশ্বের আর কোথাও প্রাকৃতিকভাবে নিষিক্ত ডিম আহরণ সম্ভব নয়—এই দিক থেকে হালদা ১ নম্বর। এই সম্পদ রক্ষা করতে হলে সুফলভোগীদেরই পাহারাদার হতে হবে। দূষণ কিছুটা কমলেও বালু উত্তোলন এখনো হালদার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। নদীর স্বাভাবিক স্রোত সৃষ্টি করতে হবে। হালদার তীরে নির্মিত রক্ষাব্লক নদীর ক্ষতি করছে। এই কারণে বিকল্প পন্থা ভাবতে হবে। ডিম ছাড়ার মৌসুমে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের জন্য সরকারিভাবে প্রণোদনা চালুর আহ্বান জানাচ্ছি। সমন্বিত পরিকল্পনা ও সবার প্রচেষ্টায় হালদাকে একদিন বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া সম্ভব। সাবেক সভাপতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং হালদা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, হালদার প্রধান দুই শত্রু হচ্ছে লবণাক্ততা ও দূষণ। চট্টগ্রাম শহরের প্রায় ৭০ লাখ মানুষের দৈনিক ৪০ কোটি লিটার বর্জ্য কর্ণফুলী হয়ে হালদায় পড়ছে। ওয়াসার সুয়ারেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে এই নদী চরমভাবে দূষিত হচ্ছে। হালদা শুধু ডিমের ভা-ার নয়, ওয়াসার পানির উৎস হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই হালদা রক্ষায় আলাদা আইন প্রণয়ন জরুরি। ইতোমধ্যে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে এবং মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন দরকার জেলেদের পুনর্বাসন ও তাদের হালদার পাহারাদার হিসেবে গড়ে তোলা। মা মাছ ধরার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা আসলে জাতির শত্রু। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, হালদা রাউজানের গর্ব। নদী যাতে দূষিত না হয়, তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নদীর তীরে নতুন কোনো কারখানা স্থাপনের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। বালু উত্তোলনের বিষয়েও জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। হালদার দূষণের মূল উৎস কর্ণফুলী নদীতে চারটি বড় বর্জ্য প্রবাহ, যেগুলো হালদায় এসে মিশে নদীকে বিপন্ন করছে। তাই কর্ণফুলীকে পরিষ্কার না করলে হালদাও দূষণমুক্ত হবে না। ইতোমধ্যে হালদা পাড়ের ১২টি পুকুর দখলমুক্ত করা হয়েছে। দখল ও দূষণ থেকে হালদাকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
বাংলাদেশে নদী রক্ষার জন্য হালদা একটি মডেল। ইতোমধ্যেই দূষণের ক্ষেত্রে হালদা নদী অনেক সফলতা দেখিয়েছে। কিন্তু রাবার ড্যামের প্রভাবে নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মারাত্মক সংকেত, নদীকে রক্ষা করতে হলে নদীপাড়ের জনগণকে সম্পৃক্ত করে হালদা নদীর উন্নয়ন এবং সুরক্ষায় সম্মিলিত উদ্যেগ প্রয়োজন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কচুখাইন (হালদার মূখ) এলাকায় হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (২য় পর্যায়) মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র সুরক্ষা সংরক্ষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক স্টেক হোল্ডারদের অবহিতকরণ ওয়ার্কশপে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় বক্তারা বলেন, হালদা নদী শুধু একটি জলাধার নয়, এটি জীববৈচিত্র্য, অর্থনীতি এবং জাতীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য উৎস। রাবার ড্যামের প্রভাবে নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মারাত্মক সঙ্কেত। হালদা রক্ষায় সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, বিকল্প জীবিকা ও পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণ জরুরি। চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দর সভাপতিত্বে ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈরাগী। মুখ্য আলোচক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জিসান বিন মাজেদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও হালদা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আজাদী। বোয়ালখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাঈম হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেনÑ চট্টগ্রাম জেলা নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি এসএম খোরশেদুল ইসলাম, সহসভাপতি, নুর নবী, সাধারণ সম্পাদক, মো. মুজিবুল হক, সাংবাদিক নেজাম উদ্দীন রানা, সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু, মৎস্যজীবী মদন দাশ, রবি দাশ, স্বপন দাশ। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক জাহেদুল আলম, সাংবাদিক গাজী জয়নাল আবেদীন জুবায়ের, মো. মুজিব বোয়ালখালী মৎস্য অফিস ক্ষেত্র সহকারী আবু মোহাম্মদ নোমান।
প্রধান অতিথি বিশ্বজিৎ বৈরাগী বলেন, হালদা পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ। এই নদী নিয়ে গণমাধ্যমে ধারাবাহিক লেখালেখির কারণে এর গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হালদাকে রক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে নদীপাড়ের মৎস্যজীবীদের বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে সরকারকে সুপারিশ প্রদান করা হবে। কারণ হালদা নদীকে ঘিরেই বহু মানুষের জীবন-জীবিকা গড়ে উঠেছে। তাই তাদের সঙ্গে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে হালদাকেটিকিয়ে রাখতে হবে। মূখ্য আলোচক অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, মাছ এবং বালু এই দুটি বিষয় একসঙ্গে ভাবলে হালদার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত নিষিক্ত ডিম আহরণ, যেটি হালদা নদীর অনন্য বৈশিষ্ট্য। এর পাশাপাশি হালদা নদীর অনেক অবদান রয়েছে। নগরীতে বসবাসরত লাখ লাখ মানুষের নিরাপদ পানির সংস্থান করে এই হালদা নদী- যার জন্য এই নদীকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নদী দেশের গর্ব। দেশের ৭টি বিভাগের ৭টি নদীকে দূষণমুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার তার মধ্যে হালদা একটি। হালদা বাঁচলে চট্টগ্রাম তথা হালদা পাড়ের মানুষ বাঁচবে। তাই দেশের এই সম্পদ যে কোন কিছুর বিনিময়ে রক্ষা করা প্রশাসনসহ প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব। হালদাকে রক্ষা করতে হলে নদীপাড়ের মানুষের ব্যক্তিগত ত্যাগ স্বীকারের প্রয়োজন হবে। সমন্বিত অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নদী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলেই হালদাকে বাঁচানো সম্ভব।
২০১০ সাল থেকে রাবার ড্যামের প্রভাবে নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মারাত্মক সংকেত। হালদা শুধু বোয়ালখালী, রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি আর মানিকছড়িরই নয়, এটি এখন জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়েছে। বিশ্বের আর কোথাও প্রাকৃতিকভাবে নিষিক্ত ডিম আহরণ সম্ভব নয়—এই দিক থেকে হালদা ১ নম্বর। এই সম্পদ রক্ষা করতে হলে সুফলভোগীদেরই পাহারাদার হতে হবে। দূষণ কিছুটা কমলেও বালু উত্তোলন এখনো হালদার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। নদীর স্বাভাবিক স্রোত সৃষ্টি করতে হবে। হালদার তীরে নির্মিত রক্ষাব্লক নদীর ক্ষতি করছে। এই কারণে বিকল্প পন্থা ভাবতে হবে। ডিম ছাড়ার মৌসুমে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের জন্য সরকারিভাবে প্রণোদনা চালুর আহ্বান জানাচ্ছি। সমন্বিত পরিকল্পনা ও সবার প্রচেষ্টায় হালদাকে একদিন বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া সম্ভব। সাবেক সভাপতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং হালদা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, হালদার প্রধান দুই শত্রু হচ্ছে লবণাক্ততা ও দূষণ। চট্টগ্রাম শহরের প্রায় ৭০ লাখ মানুষের দৈনিক ৪০ কোটি লিটার বর্জ্য কর্ণফুলী হয়ে হালদায় পড়ছে। ওয়াসার সুয়ারেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে এই নদী চরমভাবে দূষিত হচ্ছে। হালদা শুধু ডিমের ভা-ার নয়, ওয়াসার পানির উৎস হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই হালদা রক্ষায় আলাদা আইন প্রণয়ন জরুরি। ইতোমধ্যে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে এবং মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন দরকার জেলেদের পুনর্বাসন ও তাদের হালদার পাহারাদার হিসেবে গড়ে তোলা। মা মাছ ধরার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা আসলে জাতির শত্রু। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, হালদা রাউজানের গর্ব। নদী যাতে দূষিত না হয়, তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নদীর তীরে নতুন কোনো কারখানা স্থাপনের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। বালু উত্তোলনের বিষয়েও জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। হালদার দূষণের মূল উৎস কর্ণফুলী নদীতে চারটি বড় বর্জ্য প্রবাহ, যেগুলো হালদায় এসে মিশে নদীকে বিপন্ন করছে। তাই কর্ণফুলীকে পরিষ্কার না করলে হালদাও দূষণমুক্ত হবে না। ইতোমধ্যে হালদা পাড়ের ১২টি পুকুর দখলমুক্ত করা হয়েছে। দখল ও দূষণ থেকে হালদাকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।