মানিকগঞ্জ : খেতে মিষ্টি কুমড়া হাতে কৃষক -সংবাদ
মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে মিষ্টি কুমড়ার দাম ভাল পেয়ে কৃষকের চোখে মুখে হাাসির ঝিলিক দেথা দিয়েছে। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে এলাকার কৃষকেদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে।
অর্থনৈতিক ভাবে এলাকার সাধারন কৃষকেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। এলাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, সাটুরিয়া, হরিরামপুর সিংগাইর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঅঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫ হাজার চাষি অন্যান্য ফসলের সাথে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করে তাদের সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। অল্প পুজি খাটিয়ে তারা তিনগুন টাকা লাভ করছে।
ফলে মানিকগঞ্জে কৃষকদের চোখেমুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার পাশাপাশি আলু, বাঁধাকপি, বেগুন, ফুলকপি, পেয়াজ কাঁচামরিচ,আবাদ করে চাষি সফল হয়েছে। একই জমিতে মাসের মাঝামাঝি সময়ে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ বীজ বপন করে। চৈত্র মাস থেকে জ্যৈষ্ট মাস পর্যন্ত মিষ্টি কুমড়ার ফলন ব্যাপকভাবে হয়। অন্যান্য ফসলের সঙ্গে কুমড়ার আবাদ কররে এতে কৃষকদের আলাদা কোন খরচ করতে হয়না।
ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া, চঙ্গশিমুলিয়া, বৈলট, মাইলাগী, সিধুনগর, বড়বিলা, বাইলজুরী, কুষ্টিয়া, এলাকায় উল্লেখ্যযোগ্য হারে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়। এখানকার উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া মানিকগঞ্জ কাঁচা বাজার, আড়ত, আশুলিয়ার বাইপাইল সবজি আড়ত ও রাজধানীর কাওরান বাজারে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন কৃষকেরা।
গত কয়েক বছর ধরে ব্যাপক ভাবে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ বেড়ে গেছে। বালিয়াখোড়া গ্রামের মইজুদ্দিন ২ বিঘা, সিধুনগর গ্রামের ২ বিঘা এবং চঙ্গশিমুলিয়া গ্রামের আজাহার ৩ বিঘা জমিতে মিষ্টি লাউ আবাদ করেন। ২ বিঘা জমিতে আগাছা দমন, বীচ বপন সার দিয়ে প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার টাকার মিষ্টি কুমরা বিক্রি করেছেন। আরো প্রায় ২০/২২ হাজার টাকার কুমড়া জমিতে আছে। গড়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাভ হবে। তবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে মিষ্টি কুমড়া খরচ অনেক কম হয়। কাজেই এলাকার কৃষকেদের কুমড়া চাষে আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে।
পয়লা গ্রামের কৃষক হেলাল জানান, এক বিঘা জমিতে সবোচ্চ ১২শ’ থেকে ১৪’ কুমড়া পাওয়া যায়। প্রতিটি কুমড়া আকার ভেদে ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত পাইকারী ক্ষেত থেকেই বিক্রি হয়। তাদের বাড়তি ঝামেলা বা অন্যান্য খরচও নেই। পাইকারী ক্রেতা মজনু জানান, অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখানকার মিষ্টি লাউ অনেক মিষ্টি এবং অনেক সুস্বাধু। এছাড়া আকারও অনেক বড় বলে ঢাকার পাইকারী বাজারে চাহিদা। এ পর্যন্ত মজনু প্রায় ৩ লাখ টাকার কুমড়া বিক্রি করেছে।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (খামারবাড়ি) ড. রবীআহ নূর আহম্মেদ জানান, মানিকগঞ্জ জেলার ৭টি উপজেলাতে মিষ্টি লাউয়ের আবাদ হয়। চলতি মৌসুমে পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মিষ্টি লাউয়ের আবাদ ভালো হয়েছে। কম খরচে ভালো লাভ পাচ্ছে সাধারন কৃষকরা।
তাই কুমড়া আবাদে মানিকগঞ্জের কৃষকেরা মিষ্টি কুমড়া আবাদে ঝুঁকে পরেছে। তবে আমরা সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছি। এবং কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। তবে আগামীতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ আরো বেড়ে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মানিকগঞ্জ : খেতে মিষ্টি কুমড়া হাতে কৃষক -সংবাদ
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে মিষ্টি কুমড়ার দাম ভাল পেয়ে কৃষকের চোখে মুখে হাাসির ঝিলিক দেথা দিয়েছে। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে এলাকার কৃষকেদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে।
অর্থনৈতিক ভাবে এলাকার সাধারন কৃষকেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। এলাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, সাটুরিয়া, হরিরামপুর সিংগাইর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঅঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫ হাজার চাষি অন্যান্য ফসলের সাথে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করে তাদের সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। অল্প পুজি খাটিয়ে তারা তিনগুন টাকা লাভ করছে।
ফলে মানিকগঞ্জে কৃষকদের চোখেমুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার পাশাপাশি আলু, বাঁধাকপি, বেগুন, ফুলকপি, পেয়াজ কাঁচামরিচ,আবাদ করে চাষি সফল হয়েছে। একই জমিতে মাসের মাঝামাঝি সময়ে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ বীজ বপন করে। চৈত্র মাস থেকে জ্যৈষ্ট মাস পর্যন্ত মিষ্টি কুমড়ার ফলন ব্যাপকভাবে হয়। অন্যান্য ফসলের সঙ্গে কুমড়ার আবাদ কররে এতে কৃষকদের আলাদা কোন খরচ করতে হয়না।
ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া, চঙ্গশিমুলিয়া, বৈলট, মাইলাগী, সিধুনগর, বড়বিলা, বাইলজুরী, কুষ্টিয়া, এলাকায় উল্লেখ্যযোগ্য হারে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়। এখানকার উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া মানিকগঞ্জ কাঁচা বাজার, আড়ত, আশুলিয়ার বাইপাইল সবজি আড়ত ও রাজধানীর কাওরান বাজারে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন কৃষকেরা।
গত কয়েক বছর ধরে ব্যাপক ভাবে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ বেড়ে গেছে। বালিয়াখোড়া গ্রামের মইজুদ্দিন ২ বিঘা, সিধুনগর গ্রামের ২ বিঘা এবং চঙ্গশিমুলিয়া গ্রামের আজাহার ৩ বিঘা জমিতে মিষ্টি লাউ আবাদ করেন। ২ বিঘা জমিতে আগাছা দমন, বীচ বপন সার দিয়ে প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার টাকার মিষ্টি কুমরা বিক্রি করেছেন। আরো প্রায় ২০/২২ হাজার টাকার কুমড়া জমিতে আছে। গড়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাভ হবে। তবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে মিষ্টি কুমড়া খরচ অনেক কম হয়। কাজেই এলাকার কৃষকেদের কুমড়া চাষে আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে।
পয়লা গ্রামের কৃষক হেলাল জানান, এক বিঘা জমিতে সবোচ্চ ১২শ’ থেকে ১৪’ কুমড়া পাওয়া যায়। প্রতিটি কুমড়া আকার ভেদে ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত পাইকারী ক্ষেত থেকেই বিক্রি হয়। তাদের বাড়তি ঝামেলা বা অন্যান্য খরচও নেই। পাইকারী ক্রেতা মজনু জানান, অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখানকার মিষ্টি লাউ অনেক মিষ্টি এবং অনেক সুস্বাধু। এছাড়া আকারও অনেক বড় বলে ঢাকার পাইকারী বাজারে চাহিদা। এ পর্যন্ত মজনু প্রায় ৩ লাখ টাকার কুমড়া বিক্রি করেছে।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (খামারবাড়ি) ড. রবীআহ নূর আহম্মেদ জানান, মানিকগঞ্জ জেলার ৭টি উপজেলাতে মিষ্টি লাউয়ের আবাদ হয়। চলতি মৌসুমে পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মিষ্টি লাউয়ের আবাদ ভালো হয়েছে। কম খরচে ভালো লাভ পাচ্ছে সাধারন কৃষকরা।
তাই কুমড়া আবাদে মানিকগঞ্জের কৃষকেরা মিষ্টি কুমড়া আবাদে ঝুঁকে পরেছে। তবে আমরা সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছি। এবং কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। তবে আগামীতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ আরো বেড়ে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।