কালিহাতী (টাঙ্গাইল) : দিমুখা কালীবাড়ী বাজারসংলগ্ন লাঙ্গলীয়া নদীর উপরে সেতুটি দিয়ে স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন -সংবাদ
সেতুর মাঝখানে একাধিক স্থানে ভেঙে গেছে, যে কোনো সময় পুরো সেতুর মাঝখান দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা বেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম। টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এই সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন।
কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের দিমুখা কালিবাড়ী বাজার সংলগ্ন লাঙ্গলীয়া নদীর উপরে সেতুটি দিয়ে গত ৫ বছর ধরে স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সেতুটি যে কোনো সময় মাঝখানে ধসে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা মিলে একটি ভ্যান গাড়ি সেতু উঠে গর্ত পড়ে গেলে স্কুল পড়ুয়া ছেলেরা ভ্যানটিকে ঢেলে উঠিয়ে দিচ্ছে। এসময় অটোরিকশা এবং সিএনজি চালকরা বলেন, সেতুর উপর দিয়ে ভয়ে ভয়ে পার হতে হয়,কখন যেন বেঙ্গে নিচে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
সেতুর পাশে দোকান করা এ আই টেকনিশিয়ান বাবর আলী গাজী বলেন, আমি নিজেই ভুক্তভোগ ‘সেতুটির এমন দশা যে এর ওপর দিয়ে পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করতে পারছে না। শুধু হালকা যানবাহন চলাচল করছে। ট্রাক বা পিকআপ ভ্যানে পণ্য পরিবহন করতে না পারায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন। ‘আমরা যখন সেতুর ওপর উঠি তখন ভয়ে থাকি। সেতুটি যে কোনো সময় মাঝখান বরাবর পুরোপুরি ধসে যেতে পারে,’ তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রকৌশলী কে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন অতি দ্রুত সেতুটি সংস্কার করার।
সহদেবপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম এবং কামাল বলেন, এই সেতুর উপর দিয়ে এলেঙ্গা-কালিবাড়ী- মহিষজোড়া হয়ে কালিহাতী পর্যন্ত সড়কটি চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই সড়কে সেতুর এমন বেহাল দশা হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। সেতুর পাশেই রয়েছে দ্বিমুখা কালিবাড়ী শহীদ জামাল উচ্চ বিদ্যালয় এখানে ৭-৮ শত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য অনেকটা কষ্ট হয়ে দাড়িয়েছে। এই সেতুটিতে বিগতদিনে এক জায়গায় বেঙ্গে পড়ে যাওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়। এলজিইডি কর্তৃপক্ষক এই সেতুর কোনো সংস্কার কাজ করেনি। সেতুটি সম্পূর্ণ ধসে গেলে স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে। এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার পথচারী চলাচল করেন। আগে পণ্যবাহী ট্রাক আসত, কিন্তু এখন আর আসতে পারে না।’
স্থানীয় টেরকী গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ এর সময় সেতুটি আনুমানিক ১৯৯৪ সালে নির্মাণ করা হয়। সে হিসাবে সেতুর বয়স ৩১ বছর চলছে।
একারণে সেতুর টেম্পার অনেকটাই কমে গেছে। গত ৫বছর আগেও ফুটো হয়ে যাওয়ার পরে স্থানীয় সকলে মিলে মেরামত করে দেওয়া হয়। এখন আবার ডানে-বামে দুই পাশে বড় আকারে বেঙ্গে রড বের হয়ে গেছে। নতুন করে সেতু নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের জন্য অনেক বার এলজিইডি কর্তৃপক্ষ মেপে নিয়েছে। তিনি আরো জানান, উপজেলা প্রকৌশলীকে কয়েকবার সেতুটির বিষয়ে অবগত করা হলে তিনি শুধু এপর্যন্ত দেখে ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলে গেছেন।
কালিহাতী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সেতুটি পরিদর্শন করে নির্বাহী অফিসার এর সাথে কথা বলেছি তিনি জানিয়েছে আগামী এক সাপ্তাহের মধ্যে একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া আশ্বস্ত করেন। তিনি আরো জানান, এর আগে নতুন সেতু নির্মাণে জমির অধিগ্রহণ জন্য প্রকল্প টেন্ডার হয়। সে প্রকল্প টেন্ডারে টাকা না থাকায় অধিগ্রহণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। জমির অধিগ্রহণের নতুন বরাদ্দ পেলেই
সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। ‘আশা করছি চলতি অর্থবছরে নতুন সেতু নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম এবিষয়ে জানান, সেতুটি দেখে যে ভাবে জনসাধারণের চলো চলের জন্য সুবিধা হয় অতি দ্রুত ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
কালিহাতী (টাঙ্গাইল) : দিমুখা কালীবাড়ী বাজারসংলগ্ন লাঙ্গলীয়া নদীর উপরে সেতুটি দিয়ে স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন -সংবাদ
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
সেতুর মাঝখানে একাধিক স্থানে ভেঙে গেছে, যে কোনো সময় পুরো সেতুর মাঝখান দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা বেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম। টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এই সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন।
কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের দিমুখা কালিবাড়ী বাজার সংলগ্ন লাঙ্গলীয়া নদীর উপরে সেতুটি দিয়ে গত ৫ বছর ধরে স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সেতুটি যে কোনো সময় মাঝখানে ধসে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা মিলে একটি ভ্যান গাড়ি সেতু উঠে গর্ত পড়ে গেলে স্কুল পড়ুয়া ছেলেরা ভ্যানটিকে ঢেলে উঠিয়ে দিচ্ছে। এসময় অটোরিকশা এবং সিএনজি চালকরা বলেন, সেতুর উপর দিয়ে ভয়ে ভয়ে পার হতে হয়,কখন যেন বেঙ্গে নিচে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
সেতুর পাশে দোকান করা এ আই টেকনিশিয়ান বাবর আলী গাজী বলেন, আমি নিজেই ভুক্তভোগ ‘সেতুটির এমন দশা যে এর ওপর দিয়ে পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করতে পারছে না। শুধু হালকা যানবাহন চলাচল করছে। ট্রাক বা পিকআপ ভ্যানে পণ্য পরিবহন করতে না পারায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন। ‘আমরা যখন সেতুর ওপর উঠি তখন ভয়ে থাকি। সেতুটি যে কোনো সময় মাঝখান বরাবর পুরোপুরি ধসে যেতে পারে,’ তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রকৌশলী কে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন অতি দ্রুত সেতুটি সংস্কার করার।
সহদেবপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম এবং কামাল বলেন, এই সেতুর উপর দিয়ে এলেঙ্গা-কালিবাড়ী- মহিষজোড়া হয়ে কালিহাতী পর্যন্ত সড়কটি চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই সড়কে সেতুর এমন বেহাল দশা হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। সেতুর পাশেই রয়েছে দ্বিমুখা কালিবাড়ী শহীদ জামাল উচ্চ বিদ্যালয় এখানে ৭-৮ শত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য অনেকটা কষ্ট হয়ে দাড়িয়েছে। এই সেতুটিতে বিগতদিনে এক জায়গায় বেঙ্গে পড়ে যাওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়। এলজিইডি কর্তৃপক্ষক এই সেতুর কোনো সংস্কার কাজ করেনি। সেতুটি সম্পূর্ণ ধসে গেলে স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে। এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার পথচারী চলাচল করেন। আগে পণ্যবাহী ট্রাক আসত, কিন্তু এখন আর আসতে পারে না।’
স্থানীয় টেরকী গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ এর সময় সেতুটি আনুমানিক ১৯৯৪ সালে নির্মাণ করা হয়। সে হিসাবে সেতুর বয়স ৩১ বছর চলছে।
একারণে সেতুর টেম্পার অনেকটাই কমে গেছে। গত ৫বছর আগেও ফুটো হয়ে যাওয়ার পরে স্থানীয় সকলে মিলে মেরামত করে দেওয়া হয়। এখন আবার ডানে-বামে দুই পাশে বড় আকারে বেঙ্গে রড বের হয়ে গেছে। নতুন করে সেতু নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের জন্য অনেক বার এলজিইডি কর্তৃপক্ষ মেপে নিয়েছে। তিনি আরো জানান, উপজেলা প্রকৌশলীকে কয়েকবার সেতুটির বিষয়ে অবগত করা হলে তিনি শুধু এপর্যন্ত দেখে ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলে গেছেন।
কালিহাতী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সেতুটি পরিদর্শন করে নির্বাহী অফিসার এর সাথে কথা বলেছি তিনি জানিয়েছে আগামী এক সাপ্তাহের মধ্যে একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া আশ্বস্ত করেন। তিনি আরো জানান, এর আগে নতুন সেতু নির্মাণে জমির অধিগ্রহণ জন্য প্রকল্প টেন্ডার হয়। সে প্রকল্প টেন্ডারে টাকা না থাকায় অধিগ্রহণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। জমির অধিগ্রহণের নতুন বরাদ্দ পেলেই
সেতু নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। ‘আশা করছি চলতি অর্থবছরে নতুন সেতু নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম এবিষয়ে জানান, সেতুটি দেখে যে ভাবে জনসাধারণের চলো চলের জন্য সুবিধা হয় অতি দ্রুত ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।