লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) : দুই বছরেও পুনর্নির্মাণ করা হয়নি আধুনগর ইউনিয়নে ডলু খালের পাড় ভেঙে বিলীন হওয়া সড়কটি -সংবাদ
গত দুই বছরেও পুনর্নির্মাণ করা হয়নি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপরজেলার আধুনগর ইউনিয়নে ডলু খালের পাড় ভেঙে বিলিন হয়ে যাওয়া সড়কটি। যেই কারণে বর্তমানে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সড়কটি পুনর্নির্মাণ করা না হলে এ বছর ভারি বর্ষণে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বেশ-কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ। কেননা, মাত্র কয়েকদিন ভারি বর্ষণ হলেই এই খালের পানি খুব দ্রুত বেড়ে যায়। বর্ষা যত ঘনিয়ে আসছে ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছে খালের পাড়ে বসবাস করা বাসিন্দা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। সড়কটি ভেঙে যাওয়াতে গত দুই বছর ধরে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক হাজার মানুষের। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতেও বিকল্প পথ হিসেবে দূরের আরেকটি সড়ক ব্যবহার করছেন শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আধুনগর ইউনিয়নের সরদানী পাড়ার শেষপ্রান্তে গারাঙ্গিয়া-রশিদিয়া সড়কে গত দুই বছর আগে ডলু খালের পানি বৃদ্ধির কারণে ভেঙে যাওয়া সড়কের কাজ শুরু হয়নি এখন পর্যন্ত। ভেঙে যাওয়া সড়কের পাশেই বসবাস করে ৮টি পরিবার। তারা ইতোমধ্যে আতঙ্কে রয়েছে। এ ছাড়া ৩ একর জায়গাজুড়ে স্থানীয় কৃষকরা বুরো আমন ধানের চাষ করেছেন। ভারি বর্ষণ হলেই খালের পানি কৃষি জমিতে প্রবেশ করে সব ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয় দরিদ্র কৃষকরা।
বিগত তিন বছর ধরে ভাঙন দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। আদৌ এই সড়কটি পুনরায় আবার নির্মাণ করা হবে কিনা, এই প্রশ্ন এখন স্থানীয়দের। পাশাপাশি তারা আরও বলেন, এটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। সড়কটি পুনর্নির্মাণ না করার কারণে আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই সড়ক না থাকায় আমাদের ৫ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে ৩০ মিনিটেরও অধিক সময় লাগছে।
গত বছর ভাঙনের পর কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বিন্দু পরিমাণ কাজ করা হয়নি। কাজ করার জন্য কিছু সরঞ্জাম আনা হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লোকজন এসে সেসব সরঞ্জামাদি নিয়ে যান। আমাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বারবার অবহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তিনিও।
সড়কটি পুনর্নির্মাণ না হওয়ার কারণে গত দুই বছর ধরে স্থানীয় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, হাজী শামসুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয় এবং মছদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীর যাতায়াত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
সড়কটির বিষয়ে জানতে চাইলে আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি বেশ কয়েকবার ওই সড়কটি পুনর্নির্মাণ করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথ কথা বলেছি। ইতোমধ্যে সড়কটি পুনর্নির্মাণ করার জন্য প্রস্তাবণা প্রেরণ করা হয়েছে বলে জেনেছি আমি। গত বছর এই সড়কের কাজ হওয়ার কথা থাকলেও সরকার পতনের পর আর কাজ হয়নি।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইনামূল হাসান বলেন, গত সমন্বয়ক সভায় ওই সড়কটির ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কাজের প্রস্তাবনা প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সড়কটির পুনর্নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী ফরহাদ হোসেন বলেন, সেখান থেকে নির্মাণসরঞ্জামদি নিয়ে আসার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমি এখানে এসেছি মাত্র দুই মাস হয়েছে। এটি এখনও ডিসির প্রস্তাবনায় রয়েছে, পাশ হয়ে আসেনি। আমি ওই সড়কে কখনও যাইনি।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) : দুই বছরেও পুনর্নির্মাণ করা হয়নি আধুনগর ইউনিয়নে ডলু খালের পাড় ভেঙে বিলীন হওয়া সড়কটি -সংবাদ
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
গত দুই বছরেও পুনর্নির্মাণ করা হয়নি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপরজেলার আধুনগর ইউনিয়নে ডলু খালের পাড় ভেঙে বিলিন হয়ে যাওয়া সড়কটি। যেই কারণে বর্তমানে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সড়কটি পুনর্নির্মাণ করা না হলে এ বছর ভারি বর্ষণে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বেশ-কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ। কেননা, মাত্র কয়েকদিন ভারি বর্ষণ হলেই এই খালের পানি খুব দ্রুত বেড়ে যায়। বর্ষা যত ঘনিয়ে আসছে ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছে খালের পাড়ে বসবাস করা বাসিন্দা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। সড়কটি ভেঙে যাওয়াতে গত দুই বছর ধরে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক হাজার মানুষের। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতেও বিকল্প পথ হিসেবে দূরের আরেকটি সড়ক ব্যবহার করছেন শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আধুনগর ইউনিয়নের সরদানী পাড়ার শেষপ্রান্তে গারাঙ্গিয়া-রশিদিয়া সড়কে গত দুই বছর আগে ডলু খালের পানি বৃদ্ধির কারণে ভেঙে যাওয়া সড়কের কাজ শুরু হয়নি এখন পর্যন্ত। ভেঙে যাওয়া সড়কের পাশেই বসবাস করে ৮টি পরিবার। তারা ইতোমধ্যে আতঙ্কে রয়েছে। এ ছাড়া ৩ একর জায়গাজুড়ে স্থানীয় কৃষকরা বুরো আমন ধানের চাষ করেছেন। ভারি বর্ষণ হলেই খালের পানি কৃষি জমিতে প্রবেশ করে সব ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয় দরিদ্র কৃষকরা।
বিগত তিন বছর ধরে ভাঙন দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। আদৌ এই সড়কটি পুনরায় আবার নির্মাণ করা হবে কিনা, এই প্রশ্ন এখন স্থানীয়দের। পাশাপাশি তারা আরও বলেন, এটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। সড়কটি পুনর্নির্মাণ না করার কারণে আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই সড়ক না থাকায় আমাদের ৫ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে ৩০ মিনিটেরও অধিক সময় লাগছে।
গত বছর ভাঙনের পর কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বিন্দু পরিমাণ কাজ করা হয়নি। কাজ করার জন্য কিছু সরঞ্জাম আনা হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লোকজন এসে সেসব সরঞ্জামাদি নিয়ে যান। আমাদের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বারবার অবহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তিনিও।
সড়কটি পুনর্নির্মাণ না হওয়ার কারণে গত দুই বছর ধরে স্থানীয় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, হাজী শামসুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয় এবং মছদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীর যাতায়াত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
সড়কটির বিষয়ে জানতে চাইলে আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি বেশ কয়েকবার ওই সড়কটি পুনর্নির্মাণ করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথ কথা বলেছি। ইতোমধ্যে সড়কটি পুনর্নির্মাণ করার জন্য প্রস্তাবণা প্রেরণ করা হয়েছে বলে জেনেছি আমি। গত বছর এই সড়কের কাজ হওয়ার কথা থাকলেও সরকার পতনের পর আর কাজ হয়নি।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইনামূল হাসান বলেন, গত সমন্বয়ক সভায় ওই সড়কটির ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কাজের প্রস্তাবনা প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সড়কটির পুনর্নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী ফরহাদ হোসেন বলেন, সেখান থেকে নির্মাণসরঞ্জামদি নিয়ে আসার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমি এখানে এসেছি মাত্র দুই মাস হয়েছে। এটি এখনও ডিসির প্রস্তাবনায় রয়েছে, পাশ হয়ে আসেনি। আমি ওই সড়কে কখনও যাইনি।