নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের বেজগাতী গ্রামে বিষ প্রয়োগে কৃষক সন্তোষ মিয়ার খামারের ১২০০ হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই কৃষকের অন্তত আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় কৃষক সন্তোষ মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী সন্তোষ মিয়া বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় প্রতিদিনের মতো হাঁসগুলো বিলে ছাড়ি। কিন্তু পানিতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই হাঁসের বাচ্চাগুলো মারা যেতে শুরু করে। আমার ধারণা, শত্রুতা করে কেউ বিলের পানিতে আগে থেকেই বিষ দিয়ে রেখেছিল।
সন্তোষ মিয়া আরও জানান, তিনি অন্যের জমিতে চাষাবাদ এবং হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত মাসে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ২১০০টি হাঁসের বাচ্চা কিনে খামার শুরু করেন। এরমধ্যে ১২০০ হাঁস মারা যাওয়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। এছাড়া খাদ্যের দোকানে এখনো ৪০ হাজার টাকা বাকি রয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাখাওয়াত হোসেন তারিক। তিনি জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় হাঁসগুলো ভাইরাসে নয়, বরং বিষ ক্রিয়ায় মারা গেছে বলে ধারণা করছি। আমরা মৃত হাঁসের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে সঠিক কারণ জানা যাবে।
এছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আর্থিক অনুদান বিষয়ে তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে সরাসরি অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। তবে জেলা পর্যায়ে আবেদন করলে তিনি সহযোগিতা পেতে পারেন। কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছি। সত্য উদঘাটনে আমরা বদ্ধপরিকর।
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের বেজগাতী গ্রামে বিষ প্রয়োগে কৃষক সন্তোষ মিয়ার খামারের ১২০০ হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই কৃষকের অন্তত আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় কৃষক সন্তোষ মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী সন্তোষ মিয়া বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় প্রতিদিনের মতো হাঁসগুলো বিলে ছাড়ি। কিন্তু পানিতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই হাঁসের বাচ্চাগুলো মারা যেতে শুরু করে। আমার ধারণা, শত্রুতা করে কেউ বিলের পানিতে আগে থেকেই বিষ দিয়ে রেখেছিল।
সন্তোষ মিয়া আরও জানান, তিনি অন্যের জমিতে চাষাবাদ এবং হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত মাসে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ২১০০টি হাঁসের বাচ্চা কিনে খামার শুরু করেন। এরমধ্যে ১২০০ হাঁস মারা যাওয়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। এছাড়া খাদ্যের দোকানে এখনো ৪০ হাজার টাকা বাকি রয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাখাওয়াত হোসেন তারিক। তিনি জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় হাঁসগুলো ভাইরাসে নয়, বরং বিষ ক্রিয়ায় মারা গেছে বলে ধারণা করছি। আমরা মৃত হাঁসের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে সঠিক কারণ জানা যাবে।
এছাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আর্থিক অনুদান বিষয়ে তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে সরাসরি অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। তবে জেলা পর্যায়ে আবেদন করলে তিনি সহযোগিতা পেতে পারেন। কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছি। সত্য উদঘাটনে আমরা বদ্ধপরিকর।