দাউদকান্দি : মহাসড়কের দুই পাশে বর্জ্যরে স্তূপ -সংবাদ
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পৌরসদর এলাকায় ৩নং এবং ৭নং ওয়ার্ড তালতলী-গাজীপুর এলাকাস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডিভাইডার ও দুই পাশেই বর্জ্য স্তুপ করে ফেলে রাখেন পৌর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা। সড়কের কয়েকটি স্থান যেন মরা পশু-হাঁস-মুরগি আর ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড় হয়ে উঠেছে। বর্জ্য পরিশোধনাগার ব্যবস্থা না থাকায় মারাত্মক পরিবেশ দূষণসহ জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ময়লার এই অব্যবস্থাপনার কারণে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্ভেক প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, বর্জ্য পদার্থের আধুনিক ও নিরাপদ অপসারণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা বাংলাদেশের অন্যতম পরিবেশগত সমস্যা। পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে বর্ধিত জনসংখ্যার সাথে সমানতালে বেড়ে চলেছে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যাও। এ ছাড়া অপরিকল্পিত নগরায়ন প্রক্রিয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে উঠা ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকার ফলে গৃহস্থালি বর্জ্য প্রতিদিন যত্রতত্র নিক্ষিপ্ত হচ্ছে।মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দাউদকান্দিতে মহাসড়কের দুই পাশে কাঁচাবাজারের ময়লা-আবর্জনা ও বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ফেলার কারণে স্তুব তৈরি হয়েছে। বাজারের অধিকাংশ হোটেল রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। মহাসড়কের এসব স্থান দিয়ে নাকে রুমাল চেপে চলতে হয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেরও বর্জ্য বা অপদ্রব্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বর্জ্য সংরক্ষণ, নিষ্ক্রিয়করণ অথবা প্রক্রিয়াজাতকরণ করে ব্যবহারের উপযোগী বিভিন্ন নতুন জিনিস বানানো উচিত। দাউদকান্দির এক্সপিড সিএনজি পাম্পের একজন ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ ইনকিলাবকে জানান, আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি খুবই ব্যস্ততম যাত্রাবিরতি স্থল হিসেবে প্রতিদিনই অনেক লোকের সমাগম থাকে তাই এর সামনে থেকে ময়লা সরানোর জন্য ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হলেও কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। দাউদকান্দির সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম সংবাদ কে জানান, বর্জ্য অপসারন নিয়ে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। ভূমি অধিগ্রহণ ও বাজেট সংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত থাকায় তাতক্ষণিক কোন সমাধানে যাওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব না হলেও দাউদকান্দি পৌরসভা কর্তৃক অতি দ্রুত আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রুকল্প গ্রহণ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। এবিষয়ে স্থানীয় সুশীল সমাজের সকলের মতামত ও অভিব্যক্তিকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
দাউদকান্দি : মহাসড়কের দুই পাশে বর্জ্যরে স্তূপ -সংবাদ
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পৌরসদর এলাকায় ৩নং এবং ৭নং ওয়ার্ড তালতলী-গাজীপুর এলাকাস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডিভাইডার ও দুই পাশেই বর্জ্য স্তুপ করে ফেলে রাখেন পৌর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা। সড়কের কয়েকটি স্থান যেন মরা পশু-হাঁস-মুরগি আর ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড় হয়ে উঠেছে। বর্জ্য পরিশোধনাগার ব্যবস্থা না থাকায় মারাত্মক পরিবেশ দূষণসহ জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ময়লার এই অব্যবস্থাপনার কারণে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্ভেক প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, বর্জ্য পদার্থের আধুনিক ও নিরাপদ অপসারণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা বাংলাদেশের অন্যতম পরিবেশগত সমস্যা। পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে বর্ধিত জনসংখ্যার সাথে সমানতালে বেড়ে চলেছে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যাও। এ ছাড়া অপরিকল্পিত নগরায়ন প্রক্রিয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে উঠা ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকার ফলে গৃহস্থালি বর্জ্য প্রতিদিন যত্রতত্র নিক্ষিপ্ত হচ্ছে।মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দাউদকান্দিতে মহাসড়কের দুই পাশে কাঁচাবাজারের ময়লা-আবর্জনা ও বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ফেলার কারণে স্তুব তৈরি হয়েছে। বাজারের অধিকাংশ হোটেল রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। মহাসড়কের এসব স্থান দিয়ে নাকে রুমাল চেপে চলতে হয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেরও বর্জ্য বা অপদ্রব্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বর্জ্য সংরক্ষণ, নিষ্ক্রিয়করণ অথবা প্রক্রিয়াজাতকরণ করে ব্যবহারের উপযোগী বিভিন্ন নতুন জিনিস বানানো উচিত। দাউদকান্দির এক্সপিড সিএনজি পাম্পের একজন ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ ইনকিলাবকে জানান, আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি খুবই ব্যস্ততম যাত্রাবিরতি স্থল হিসেবে প্রতিদিনই অনেক লোকের সমাগম থাকে তাই এর সামনে থেকে ময়লা সরানোর জন্য ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হলেও কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। দাউদকান্দির সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম সংবাদ কে জানান, বর্জ্য অপসারন নিয়ে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। ভূমি অধিগ্রহণ ও বাজেট সংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত থাকায় তাতক্ষণিক কোন সমাধানে যাওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব না হলেও দাউদকান্দি পৌরসভা কর্তৃক অতি দ্রুত আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রুকল্প গ্রহণ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। এবিষয়ে স্থানীয় সুশীল সমাজের সকলের মতামত ও অভিব্যক্তিকে প্রাধান্য দেয়া হবে।