alt

সারাদেশ

অসময়ে তিস্তায় ভাঙন, ফসলি জমি বিলীন

প্রতিনিধি, গঙ্গাচড়া (রংপুর) : সোমবার, ১২ মে ২০২৫

রংপুর : অসময়ে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। ছবিটি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ থেকে তোলা -সংবাদ

শুকনো মৌসুমে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দেখা দিয়েছে তিস্তার ভাঙন। নদীতে নেই তেমন পানিপ্রবাহ। তবে উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত দুই মাসে নদীতে বিলীন হয়েছে অন্তত ৫০ একর ফসলি জমি।

গত শনিবার সরেজমিন ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শংকরদহ গ্রামে অব্যাহত ভাঙনে একের পর এক বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। গত দুই মাসে উঠতি ফসল ভুট্টা, গম ও মিষ্টি কুমড়াসহ অন্তত ৫০ একর ফসলি জমি ও ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে।

উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, হামার আর কিছু নাই বাহে, আগেরবার বাড়ি ভাঙি গেইছে। মাইনেষর জমিত বাড়ি করি আছি। এবার হামার আবাদি জমি কোনাও ভাঙি গেলো। ভুট্টা গাড়ছেনো (রোপন) সে ভুট্টাও নাই পুরাট (পরিপক্ক) হইতে নদীত ভাঙি যাওয়া শুরু হইছে।

কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, প্রায় ২ মাস থাকি ভাঙেচোল বাবা এগলা দেখার হামার কায়ো নাই। কি আর করমো হামার কপালোত দুঃখ লেখি রাখছে। হামার নদী বান্দীও কায়ো দেয় না। হামার শীত বর্ষা কি সউগ সময় নদী ভাঙে।

ইউপি সদস্য রমজান আলী জানান, শংকরদহ গ্রামে প্রায় ৪৫০ পরিবারের বাস ছিল। কয়েক বছরে বন্যাসহ তিস্তার ভাঙনে সব হারিয়ে পবিারগুলো এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাকি ছিল প্রায় ৮০ পরিবার, অসময়ে নদীভাঙনে গত দুই মাসে প্রায় ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। চোখের সামনে প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে ফসলের ক্ষেত।

লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, অব্যাহত ভাঙনে শংকরদহ গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। ভাঙন এসে ঠেকেছে রংপুর-কাকিনা সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার দূরে। এখনি ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিয়ে আসন্ন বর্ষায় হুমকিতে পড়বে সড়কটি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, সরেজমিনে দেখার পর ভাঙন রোধের ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি দ্রুতই ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, গঙ্গাচড়ার শংকরদহ এলাকায় অসময়ে তিস্তার ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে ভাঙনরোধের কাজ করা হবে।

মায়ানমারে স্কুলে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা, ১৭ ছাত্র নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১৪ জন আটক

রাজারহাটে ৩ জুয়াড়ি আটক

দুই জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু

হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার

কলারোয়া সীমান্তে ওষুধ-শাড়ি উদ্ধার

দুই জেলায় সড়কে ঝরল ২ গ্যারেজ শ্রমিকের প্রাণ

ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে পাঁচ জনের মৃত্যু

দুই জেলায় সড়কে ঝরল ২ গ্যারেজ শ্রমিকের প্রাণ

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, গর্ভপাতে নবজাতকের মৃত্যু

ছবি

সরকারি রাস্তা থেকে লক্ষাধিক টাকার গাছ কাটার অভিযোগ

তালগাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

কবরস্থানের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১

ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

ছবি

ছুটির পরেও বিদ্যালয়ে উড়ছে জাতীয় পতাকা!

এক সপ্তাহে ৭ গরু চুরি বেড়েছে অন্য চুরিও

তাড়াশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে গরু বিতরণে অনিয়ম

ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি

ছবি

টাঙ্গাইল পৌরসভায় ১৩৮ বছরেও হয়নি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে বেহাল সড়কে দুর্ভোগ

ঝালকাঠির নথুল্লাবাদে খাল পুনঃখননে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ

সিংড়ায় বিএনপির অফিস থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

সিরাজগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬ লক্ষাধিক পশু

সুনামগঞ্জের উন্নয়ন ও সমস্যা নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী ও জেলা প্রশাসনের মতবিনিময়

কেশবপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময়

নোয়াখালী শহর আ’লীগের সভাপতি পিন্টুর বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ

হত্যার প্রতিশোধ নিতে গুলি করে হত্যাচেষ্টা

ছবি

চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সিএনজি চালকদের সড়কে অবরোধ

কলাপাড়ায় খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

ফেইসবুকে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করায় যুবক গ্রেপ্তার

সখীপুরে নারী ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পিস্কিন রোগ

ছবি

মাগুরায় জিআই সনদ পাওয়ার পরও অবহেলার শিকার লিচু চাষিরা

ছবি

শাঁখা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আধুনিকায়ন চান কারিগররা

তেঁতুলিয়ায় বৃষ্টিতে স্বস্তি

পোরশায় বিষপানে মাদ্রাসাছাত্রের আত্মহত্যা

tab

সারাদেশ

অসময়ে তিস্তায় ভাঙন, ফসলি জমি বিলীন

প্রতিনিধি, গঙ্গাচড়া (রংপুর)

রংপুর : অসময়ে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। ছবিটি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ থেকে তোলা -সংবাদ

সোমবার, ১২ মে ২০২৫

শুকনো মৌসুমে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দেখা দিয়েছে তিস্তার ভাঙন। নদীতে নেই তেমন পানিপ্রবাহ। তবে উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত দুই মাসে নদীতে বিলীন হয়েছে অন্তত ৫০ একর ফসলি জমি।

গত শনিবার সরেজমিন ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শংকরদহ গ্রামে অব্যাহত ভাঙনে একের পর এক বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। গত দুই মাসে উঠতি ফসল ভুট্টা, গম ও মিষ্টি কুমড়াসহ অন্তত ৫০ একর ফসলি জমি ও ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে।

উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, হামার আর কিছু নাই বাহে, আগেরবার বাড়ি ভাঙি গেইছে। মাইনেষর জমিত বাড়ি করি আছি। এবার হামার আবাদি জমি কোনাও ভাঙি গেলো। ভুট্টা গাড়ছেনো (রোপন) সে ভুট্টাও নাই পুরাট (পরিপক্ক) হইতে নদীত ভাঙি যাওয়া শুরু হইছে।

কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, প্রায় ২ মাস থাকি ভাঙেচোল বাবা এগলা দেখার হামার কায়ো নাই। কি আর করমো হামার কপালোত দুঃখ লেখি রাখছে। হামার নদী বান্দীও কায়ো দেয় না। হামার শীত বর্ষা কি সউগ সময় নদী ভাঙে।

ইউপি সদস্য রমজান আলী জানান, শংকরদহ গ্রামে প্রায় ৪৫০ পরিবারের বাস ছিল। কয়েক বছরে বন্যাসহ তিস্তার ভাঙনে সব হারিয়ে পবিারগুলো এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাকি ছিল প্রায় ৮০ পরিবার, অসময়ে নদীভাঙনে গত দুই মাসে প্রায় ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। চোখের সামনে প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে ফসলের ক্ষেত।

লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, অব্যাহত ভাঙনে শংকরদহ গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। ভাঙন এসে ঠেকেছে রংপুর-কাকিনা সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার দূরে। এখনি ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিয়ে আসন্ন বর্ষায় হুমকিতে পড়বে সড়কটি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, সরেজমিনে দেখার পর ভাঙন রোধের ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি দ্রুতই ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, গঙ্গাচড়ার শংকরদহ এলাকায় অসময়ে তিস্তার ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে ভাঙনরোধের কাজ করা হবে।

back to top