বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া রোগীর ভিড়ের মধ্যে নতুন করে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি পরিস্থিতিকে ক্রমশ নাজুক করে তুলছে। বছরের প্রথম ৪ মাসেই বরিশালের সরকারি হাসপাতালেই ৩৫ হাজার ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি আশাতীতভাবে হ্রাস পেলেও চলচি বছরের এপ্রিল মাসের শুরু থেকে তা আবার বরিশালের ঘরে ঘরে কড়া নাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই শুধু সরকারি হাসপাতালেই গড়ে ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ইতোমধ্যে হাসাপাতালে মারা গেছেন ৩ জন। চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ২ শতাধিক ডেঙ্গু রোগী বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেনারেল হাসপাতালসহ এই অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা সাড়ে ৮শ অতিক্রম করেছে।
প্রতিদিনই সরকারি হাসপাতালগুলোতে এডিস মশা আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগে উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে। এমনকি ৯ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু ভর্তিসহ ৬৪ জনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে ২০২৪ সাল শেষ হয়। তবে বিশেষজ্ঞ চিকৎসকদের মতে, সরকারি হাসপাতালের বাইরে আরও ৩ গুণ ডেঙ্গুরোগী বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বারসহ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন- যার কোন পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই। এদিকে, মার্চ মাসের মধ্যভাগ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যভাগে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫শ ডায়রিয়া রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে এলেও এখন এই সংখ্যা সাড়ে ৩শ কাছে পিঠে থাকছে। গত এপ্রিল মাসে বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া আক্রান্ত ১০ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ভর্তিকৃত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও আড়াই হাজার। বছরের প্রথম ২ মাসে শীতকালীন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাড়ে ১০ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়ার পর মার্চ থেকে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের ওপরে উঠে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাগুলোতে রোগীর সংখ্যাও আশংকাজনক হাওে বাড়তে শুরু করে। শুধু মার্চে বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতেই ১১ হাজার ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এপ্রিলেও ভর্তিকৃত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার। সব মিলিয়ে বছরের প্রথমদিন থেকে চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩৬ হাজার ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন।
তবে এ বছর সরকারি হাসপাতালগুলোতে কোন ডায়রিয়া রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য। কিন্তু এক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোনো মানুষই শরীর ও মনের দূর্বল মুহূর্ত ছাড়া সরকারি হাসপাতালে যান না। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানের ৪ গুণ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন বরিশাল অঞ্চলে।
স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালকসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, বরিশাল মহানগরীর পাশাপাশি এই অঞ্চলজুড়ে পথ-খাবারের দোকান ডায়রিয়াসহ সব ধরনের পেটের পীড়ার অন্যতম্য প্রধান কারণ হয়ে উঠেছেÑ যা ক্রমে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি এসব রোগব্যাধি এই অঞ্চলে স্বাস্থ্যঝুঁকি উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি করলেও বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনসহ পৌরসভাগুলোর তেমন কোন হেলদোল নেই বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নতুনকরে বৃদ্ধির বিষয়েও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল থেকে এডিসসহ সব ধরনে মশা নিয়ন্ত্রণে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি এই অঞ্চলের পৌরসভাগুলোকে নিবিড় কর্মসূচি বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়া হয়েছে। নচেত এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি গত বছরের চেয়েও খারাপ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল। এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে গত সোমবার পর্যন্ত বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালসহ ভান্ডারে ১ হাজার সিসির ২৩ হাজার এবং ৫শ সিসির সাড়ে ৬ হাজার আইভি স্যালাইনসহ চাহিদানুযায়ী মেট্রোনিডাজল ট্যাবলেটসহ এন্টিবায়োটিক ক্যাপসুলের মজুদ রয়েছে।
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া রোগীর ভিড়ের মধ্যে নতুন করে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি পরিস্থিতিকে ক্রমশ নাজুক করে তুলছে। বছরের প্রথম ৪ মাসেই বরিশালের সরকারি হাসপাতালেই ৩৫ হাজার ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি আশাতীতভাবে হ্রাস পেলেও চলচি বছরের এপ্রিল মাসের শুরু থেকে তা আবার বরিশালের ঘরে ঘরে কড়া নাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই শুধু সরকারি হাসপাতালেই গড়ে ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ইতোমধ্যে হাসাপাতালে মারা গেছেন ৩ জন। চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ২ শতাধিক ডেঙ্গু রোগী বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেনারেল হাসপাতালসহ এই অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা সাড়ে ৮শ অতিক্রম করেছে।
প্রতিদিনই সরকারি হাসপাতালগুলোতে এডিস মশা আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগে উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে। এমনকি ৯ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু ভর্তিসহ ৬৪ জনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে ২০২৪ সাল শেষ হয়। তবে বিশেষজ্ঞ চিকৎসকদের মতে, সরকারি হাসপাতালের বাইরে আরও ৩ গুণ ডেঙ্গুরোগী বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বারসহ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন- যার কোন পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই। এদিকে, মার্চ মাসের মধ্যভাগ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যভাগে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫শ ডায়রিয়া রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে এলেও এখন এই সংখ্যা সাড়ে ৩শ কাছে পিঠে থাকছে। গত এপ্রিল মাসে বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া আক্রান্ত ১০ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ভর্তিকৃত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও আড়াই হাজার। বছরের প্রথম ২ মাসে শীতকালীন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাড়ে ১০ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়ার পর মার্চ থেকে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের ওপরে উঠে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাগুলোতে রোগীর সংখ্যাও আশংকাজনক হাওে বাড়তে শুরু করে। শুধু মার্চে বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতেই ১১ হাজার ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এপ্রিলেও ভর্তিকৃত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার। সব মিলিয়ে বছরের প্রথমদিন থেকে চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩৬ হাজার ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন।
তবে এ বছর সরকারি হাসপাতালগুলোতে কোন ডায়রিয়া রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য। কিন্তু এক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোনো মানুষই শরীর ও মনের দূর্বল মুহূর্ত ছাড়া সরকারি হাসপাতালে যান না। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানের ৪ গুণ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন বরিশাল অঞ্চলে।
স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালকসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, বরিশাল মহানগরীর পাশাপাশি এই অঞ্চলজুড়ে পথ-খাবারের দোকান ডায়রিয়াসহ সব ধরনের পেটের পীড়ার অন্যতম্য প্রধান কারণ হয়ে উঠেছেÑ যা ক্রমে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি এসব রোগব্যাধি এই অঞ্চলে স্বাস্থ্যঝুঁকি উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি করলেও বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনসহ পৌরসভাগুলোর তেমন কোন হেলদোল নেই বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নতুনকরে বৃদ্ধির বিষয়েও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল থেকে এডিসসহ সব ধরনে মশা নিয়ন্ত্রণে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি এই অঞ্চলের পৌরসভাগুলোকে নিবিড় কর্মসূচি বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়া হয়েছে। নচেত এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি গত বছরের চেয়েও খারাপ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল। এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে গত সোমবার পর্যন্ত বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালসহ ভান্ডারে ১ হাজার সিসির ২৩ হাজার এবং ৫শ সিসির সাড়ে ৬ হাজার আইভি স্যালাইনসহ চাহিদানুযায়ী মেট্রোনিডাজল ট্যাবলেটসহ এন্টিবায়োটিক ক্যাপসুলের মজুদ রয়েছে।