alt

সারাদেশ

পলাশে দৃষ্টিনন্দন জারুল ফুল হাতছানি দেয় পথচারীকে

সমির দেবনাথ, পলাশ (নরসিংদী) : বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ষড়ঋতুর এই দেশে ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন সজ্জায় সাজে প্রকৃতি। বর্তমানে গ্রীষ্মের এই ঋতুতে ফল-ফুলের ব্যাপক সমারোহ পলাশে। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মের এই ঋতুতে প্রকৃতির নজরকাড়া আরেক সৌন্দর্য জারুল ফুল। প্রকৃতির এমনই এক সৌন্দর্য ধারণ করে নরসিংদীর পলাশের আনাচে কানাচে রয়েছে জারুল গাছ। যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে পথচারীদের।

জারুল গাছ এখন বেগুনি রংয়ের ফুলে প্রকৃতিকে এক অপার সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলেছে। ফুলটির ইংরেজি নাম: এরধহঃ Giant Crape-myrtle বৈজ্ঞানিক নাম: Lagerstroemia Speciosa গাছটির আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায়। ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ জারুল। তবে বাংলাদেশসহ চীন, মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে এই বৃক্ষের দেখা মিলে।

গ্রীষ্মের শুরু থেকে এই ফুল শরৎ পর্যন্ত দেখা যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয় ও বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে। এই গাছ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু হয়। গাছটির নানা ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে। তবে নানা কারণে প্রকৃতি থেকে বিলীন হওয়ার পথে এই গাছ।

প্রকৃতির এমনই এক সৌন্দর্য ধারণ করে উপজেলার টেঙ্গরপাড়া, পাইকসা, দলাদিয়া, ক্ষুদ্রাবন, দিগদা, রাবান, ভরারটেক, ছয়দরিয়া, সানেরবাড়ি, পলাশতলী ও লেবুপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় জারুল ফুল। যার বেগুনি ফুলের সৌন্দর্য প্রতিটি পথচারীর নজর কাড়ে। তবে গাছটি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার এমনটিও জানিয়েছেন অনেকেই।

পলাশ সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যাপক মো. মেজবাহ্ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে পলাশের গ্রামে গ্রামে ফুটন্ত জারুলফুল অনন্য শোভা যেকোন মানুষকে বিমোহিত করবেই। বর্তমানে এই জারুল বৃক্ষটি ব্যাপকহারে কর্তনের ফলে আগের মতো আর চোখে পড়েনা।

অথচ এই জারুল ফুল আবহমান বাংলার এক অপরূপের সাজের মনিহার ছিলো। ছোটবেলায় জারুল ফুল ছিলো শিশু কিশোরদের খেলার উপকরণ। সারাদিন যেন জরুলের সাথে ছিলো মিতালী। জারুল বৃক্ষটি সংরক্ষণে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বাসিন্দা পরিবেশ ও গণমাধ্যম কর্মী মাহবুব সৈয়দ বলেন, বৈশাখ মাসে গ্রামগঞ্জসহ রাস্তার ধারে জারুল গাছ এখন বেগুনি রংয়ের ফুলেল প্রকৃতিকে এক অপার সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলছে।

চমৎকার এই ফুল সবারই নজর কাড়ছে প্রতিনিয়ত। জারুল গাছের বেগুনি রঙের ফুলে মনোমুগ্ধকর এক আবেশ তৈরি হয়। প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য দেখতে খুবই ভালো লাগে, যদিও বর্তমানে জারুল গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তাই সড়কের দুই পাশসহ বিভিন্ন স্থানে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এই গাছটি বেশি করে রোপণ করা খুবই জরুরি।

এই বৃক্ষটি বর্ষা মৌসুমের আগে গ্রীস্মের এক নান্দনিক প্রকৃতির উপহার। গ্রামবাংলার নান্দনিকতা অরূপ শোভা । এটি একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছও। নয়নাভিরাম এই গাছের বিস্তৃতি আমাদের দেশকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তোলে।

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু

ছবি

পাবনায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৮

ছবি

সিলেটে পাথর কোয়ারী দখলে সবার স্বপ্ন এক

ছবি

মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ-ভিডিও কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও একজন 

সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে ন্যাড়া করল কর্মীরা

সৌদি আরবে দালালের হাতে জিম্মি সিলেটি যুবকের মৃত্যু

ছবি

ডেটা ক্লাসিফিকেশন থাকছে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনে : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি

সাইবার সিকিউরিটি সল্যুশনস নিয়ে মাস্টারকার্ডের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ব্যক্তি স্বার্থের দ্বন্দ্বের সময় বোয়ালমারীর একান্নবর্তী পাল পরিবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

ছবি

বোয়ালখালীতে বস্তায় আদা চাষ বাড়ছে

ছবি

কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে লাইট হাউস

সংস্কৃতি ক্ষরায় শৈলজারঞ্জন সংস্কৃতি কেন্দ্র

ছবি

শালিকের কিচিরমিচিরে মুখরিত বেতাগী বাসস্ট্যান্ড

খোলা ট্রাক, পিকআপ ও ডাম্পারে ধুলাবালু বহন, জনদুর্ভোগ

তানোরে রাসেল ভাইপারের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

সরিষাবাড়ীতে যমুনা নদীর ভাঙন রোধে মানববন্ধন

নরসিংদীতে সেলাই মেশিন বিতরণ

‘দেশবাসী এখনও খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব আশা করে’

কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র গ্রেপ্তার

শরণখোলায় ৭ ফুট লম্বা দাড়াস সাপ উদ্ধার

ছবি

মধ্যপাড়া খনি শ্রমিকদের ধর্মঘট, উৎপাদন বন্ধ

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে জুস রপ্তানি

চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত বাবা-ছেলে

ছবি

হবিগঞ্জ-সুজাতপুর সড়ক ভেঙে বেহাল, জনদুর্ভোগ

রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাকে ধরতে ভবনে তল্লাশি, ফোনে বললেন ‘খুঁজে লাভ নেই’

ধনবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি

ছবি

মাতামুহুরীর ভাঙন ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে জিওব্যাগ ডাম্পিং

ছবি

মোরেলগঞ্জে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের কৃষকরা পেলেন কৃষি উপকরণ

বরিশালে বোরো মৌসুমেও চালের দাম বাড়ছে

দুমকিতে কৃষি উপকরণ বিতরণ

বাগেরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু

সিংড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদান

পাকুন্দিয়ায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ

পোরশা সীমান্তে বাংলাদেশি রাখালকে হত্যা করেছে বিএসএফ

চালককে অচেতন করে ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

মৌলভীবাজারের দুই উপজেলা দিয়ে ৭১ জনকে পুশইন

tab

সারাদেশ

পলাশে দৃষ্টিনন্দন জারুল ফুল হাতছানি দেয় পথচারীকে

সমির দেবনাথ, পলাশ (নরসিংদী)

বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ষড়ঋতুর এই দেশে ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন সজ্জায় সাজে প্রকৃতি। বর্তমানে গ্রীষ্মের এই ঋতুতে ফল-ফুলের ব্যাপক সমারোহ পলাশে। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মের এই ঋতুতে প্রকৃতির নজরকাড়া আরেক সৌন্দর্য জারুল ফুল। প্রকৃতির এমনই এক সৌন্দর্য ধারণ করে নরসিংদীর পলাশের আনাচে কানাচে রয়েছে জারুল গাছ। যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে পথচারীদের।

জারুল গাছ এখন বেগুনি রংয়ের ফুলে প্রকৃতিকে এক অপার সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলেছে। ফুলটির ইংরেজি নাম: এরধহঃ Giant Crape-myrtle বৈজ্ঞানিক নাম: Lagerstroemia Speciosa গাছটির আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায়। ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ জারুল। তবে বাংলাদেশসহ চীন, মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে এই বৃক্ষের দেখা মিলে।

গ্রীষ্মের শুরু থেকে এই ফুল শরৎ পর্যন্ত দেখা যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয় ও বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে। এই গাছ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু হয়। গাছটির নানা ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে। তবে নানা কারণে প্রকৃতি থেকে বিলীন হওয়ার পথে এই গাছ।

প্রকৃতির এমনই এক সৌন্দর্য ধারণ করে উপজেলার টেঙ্গরপাড়া, পাইকসা, দলাদিয়া, ক্ষুদ্রাবন, দিগদা, রাবান, ভরারটেক, ছয়দরিয়া, সানেরবাড়ি, পলাশতলী ও লেবুপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় জারুল ফুল। যার বেগুনি ফুলের সৌন্দর্য প্রতিটি পথচারীর নজর কাড়ে। তবে গাছটি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার এমনটিও জানিয়েছেন অনেকেই।

পলাশ সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যাপক মো. মেজবাহ্ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে পলাশের গ্রামে গ্রামে ফুটন্ত জারুলফুল অনন্য শোভা যেকোন মানুষকে বিমোহিত করবেই। বর্তমানে এই জারুল বৃক্ষটি ব্যাপকহারে কর্তনের ফলে আগের মতো আর চোখে পড়েনা।

অথচ এই জারুল ফুল আবহমান বাংলার এক অপরূপের সাজের মনিহার ছিলো। ছোটবেলায় জারুল ফুল ছিলো শিশু কিশোরদের খেলার উপকরণ। সারাদিন যেন জরুলের সাথে ছিলো মিতালী। জারুল বৃক্ষটি সংরক্ষণে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বাসিন্দা পরিবেশ ও গণমাধ্যম কর্মী মাহবুব সৈয়দ বলেন, বৈশাখ মাসে গ্রামগঞ্জসহ রাস্তার ধারে জারুল গাছ এখন বেগুনি রংয়ের ফুলেল প্রকৃতিকে এক অপার সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলছে।

চমৎকার এই ফুল সবারই নজর কাড়ছে প্রতিনিয়ত। জারুল গাছের বেগুনি রঙের ফুলে মনোমুগ্ধকর এক আবেশ তৈরি হয়। প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য দেখতে খুবই ভালো লাগে, যদিও বর্তমানে জারুল গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তাই সড়কের দুই পাশসহ বিভিন্ন স্থানে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এই গাছটি বেশি করে রোপণ করা খুবই জরুরি।

এই বৃক্ষটি বর্ষা মৌসুমের আগে গ্রীস্মের এক নান্দনিক প্রকৃতির উপহার। গ্রামবাংলার নান্দনিকতা অরূপ শোভা । এটি একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছও। নয়নাভিরাম এই গাছের বিস্তৃতি আমাদের দেশকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তোলে।

back to top