কোরবানি ঈদের এখনও ঢের সময় থাকলেও বগুড়ায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে খামারিরা কোরবানি পশুর হাটে তাদের খামারের পশু বিক্রির প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। খামারিরা সারা বছর পশু পালন করে কোরবানির হাটের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। এর সঙ্গে তাদের থাকে অনেক প্রত্যাশা আর স্বপ্ন। আর ২-৩ সপ্তাহ পরেই কোরবানির হাটগুলো পশু কেনা বেচায় সরব হয়ে উঠবে বলে খামারি ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এবার বগুড়ায় প্রান্তিক থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের খামারে ৭ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি গরু ছাগল, ভেড়া ও মহিষ কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে গত বছরের তুলনায় এবার বগুড়ায় খামার ও কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যাও বেড়েছে। তাদের তথ্যানুযায়ী জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্ধৃত্ত থাকবে ৩৮ হাজারের বেশি কোরবানির পশু।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে বগুড়ায় গত বছরের তুলনায় পশু খামারের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর জেলায় গরু ছাগল ভেড়া ও মহিষ পালনের খামার ছিল ৪৮ হাজার। এবার তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫১ হাজারে। একই সঙ্গে এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা গত বছরের সঙ্গে বেড়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্ত ড. মো. আনিছুর রহমান জানান, গত বছর জেলায় কোরবানিযোগ্য পশু ছিল প্রায় ৭ লাখ ৩৪ হাজার। এ বছর এই সংখ্যা ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪২টি আর জেলার চাহিদা রয়েছে ৭ লাখ ৯ হাজার ১০টি। এবার উদ্ধৃত্ত থাকবে ৩৮ হাজার ৪৩২টি বিভিন্ন ধরনের কোরবানিযোগ্য পশু। তিনি আরও জানান, সাধারণত নির্ধারিত চাহিদার অনেক কম সংখ্যক পশু কোরবানি হয়। গত বছর জেলায় কোরবানি দেয়া পশুর সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। তবে কোরবানি উপলক্ষে খামারে পালন বা প্রস্তত করা পশু সারা বছর জেলার চাহিদা যেমন মেটায় তেমনি কোরবানির সময় এখানকার হাটগুলো থেকে গরু ছাগল ও ভোড়া দেশের বিভিন্ন এলাকার হাটগুলোতে নিয়ে যায় ব্যাপারীরা।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ কোরবানি উপলক্ষে খামারিদের নিরাপদভাবে পশুপালনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এবারও তারা উঠোন বৈঠক থেকে নানা সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে খামারিরা স্টেরয়েড জাতীয় কোনো কিছু গরু মোটাতাজাকরণে ব্যবহার না করেন।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছেন জেলার ১২ উপজেলায় বড় খামারের সঙ্গে প্রান্তিক ও মাঝারি পর্যায়ের খামার রয়েছে। কোন খামারে ২-৪টি বা এর বেশি পশু রয়েছে। আবার অনেক খামারে ১৫-২০টি থেকে শুরু করে অর্ধশতাধিক পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করে হয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে এবার জেলায় ৮৭ কোরবানির হাটে পশু কেনাবেচা হবে। কোরবানির পশু কেনা বেচার সময় তাদের ৫৭টি মেডিকেলটিম পশু খামারিদের সহায়তা করবেন। বগুড়ার খামারগুলোতে দেশি জাতের গরু ছাড়া বিদেশি জাতের শাহিওয়াল, গিরহলস্টেইন ফ্রিজিয়ান ও ব্রাহামা জাতের গুরু পালেন খামারিরা। একারণে জেলার কোরবানির হাট গুলোও হয়ে ওঠে বৈচিত্রময়।
জেলার গাবতলির রামেশ্বরপুর এলাকার ক্ষুদ্র খামারি ওমর জাকিয়া নুরী জানান, তিনি কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য ৫টি গরু প্রস্তুত করছেন। ভালো দাম পেলে তিনি খামারে পশুর সংখ্যা বাড়াতে চান। একই উপজেলার তেলিহাটা গ্রামের স্বচ্ছল কৃষক শহিদুল জানান, বাড়িতে ছোট ধরনের পশুর খামার রয়েছে। গত বছর ৮লাখ টাকায় কোরবানির ৫টি গরু বিক্রি করেছিলেন। এবার ৪টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তত করেছেন। পাইকাররা এসে দাম করে যাচ্ছেন। গরু বিক্রিতে লাভ হলে কিছু জমি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে তার। কাহালু উপজেলার খামার জাহিদ এন্ড সন্স এ্যাগ্রো ফার্মের সুপারভাইজার হেলাল উদ্দিন জানান তাদের খামারে কোরবানিযোগ্য ৭০-৮০টি গরুর মধ্যে ৪টি গরু বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
কোরবানি ঈদের এখনও ঢের সময় থাকলেও বগুড়ায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে খামারিরা কোরবানি পশুর হাটে তাদের খামারের পশু বিক্রির প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। খামারিরা সারা বছর পশু পালন করে কোরবানির হাটের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। এর সঙ্গে তাদের থাকে অনেক প্রত্যাশা আর স্বপ্ন। আর ২-৩ সপ্তাহ পরেই কোরবানির হাটগুলো পশু কেনা বেচায় সরব হয়ে উঠবে বলে খামারি ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এবার বগুড়ায় প্রান্তিক থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের খামারে ৭ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি গরু ছাগল, ভেড়া ও মহিষ কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে গত বছরের তুলনায় এবার বগুড়ায় খামার ও কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যাও বেড়েছে। তাদের তথ্যানুযায়ী জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্ধৃত্ত থাকবে ৩৮ হাজারের বেশি কোরবানির পশু।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে বগুড়ায় গত বছরের তুলনায় পশু খামারের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর জেলায় গরু ছাগল ভেড়া ও মহিষ পালনের খামার ছিল ৪৮ হাজার। এবার তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫১ হাজারে। একই সঙ্গে এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা গত বছরের সঙ্গে বেড়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্ত ড. মো. আনিছুর রহমান জানান, গত বছর জেলায় কোরবানিযোগ্য পশু ছিল প্রায় ৭ লাখ ৩৪ হাজার। এ বছর এই সংখ্যা ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪২টি আর জেলার চাহিদা রয়েছে ৭ লাখ ৯ হাজার ১০টি। এবার উদ্ধৃত্ত থাকবে ৩৮ হাজার ৪৩২টি বিভিন্ন ধরনের কোরবানিযোগ্য পশু। তিনি আরও জানান, সাধারণত নির্ধারিত চাহিদার অনেক কম সংখ্যক পশু কোরবানি হয়। গত বছর জেলায় কোরবানি দেয়া পশুর সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। তবে কোরবানি উপলক্ষে খামারে পালন বা প্রস্তত করা পশু সারা বছর জেলার চাহিদা যেমন মেটায় তেমনি কোরবানির সময় এখানকার হাটগুলো থেকে গরু ছাগল ও ভোড়া দেশের বিভিন্ন এলাকার হাটগুলোতে নিয়ে যায় ব্যাপারীরা।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ কোরবানি উপলক্ষে খামারিদের নিরাপদভাবে পশুপালনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এবারও তারা উঠোন বৈঠক থেকে নানা সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে খামারিরা স্টেরয়েড জাতীয় কোনো কিছু গরু মোটাতাজাকরণে ব্যবহার না করেন।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছেন জেলার ১২ উপজেলায় বড় খামারের সঙ্গে প্রান্তিক ও মাঝারি পর্যায়ের খামার রয়েছে। কোন খামারে ২-৪টি বা এর বেশি পশু রয়েছে। আবার অনেক খামারে ১৫-২০টি থেকে শুরু করে অর্ধশতাধিক পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করে হয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে এবার জেলায় ৮৭ কোরবানির হাটে পশু কেনাবেচা হবে। কোরবানির পশু কেনা বেচার সময় তাদের ৫৭টি মেডিকেলটিম পশু খামারিদের সহায়তা করবেন। বগুড়ার খামারগুলোতে দেশি জাতের গরু ছাড়া বিদেশি জাতের শাহিওয়াল, গিরহলস্টেইন ফ্রিজিয়ান ও ব্রাহামা জাতের গুরু পালেন খামারিরা। একারণে জেলার কোরবানির হাট গুলোও হয়ে ওঠে বৈচিত্রময়।
জেলার গাবতলির রামেশ্বরপুর এলাকার ক্ষুদ্র খামারি ওমর জাকিয়া নুরী জানান, তিনি কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য ৫টি গরু প্রস্তুত করছেন। ভালো দাম পেলে তিনি খামারে পশুর সংখ্যা বাড়াতে চান। একই উপজেলার তেলিহাটা গ্রামের স্বচ্ছল কৃষক শহিদুল জানান, বাড়িতে ছোট ধরনের পশুর খামার রয়েছে। গত বছর ৮লাখ টাকায় কোরবানির ৫টি গরু বিক্রি করেছিলেন। এবার ৪টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তত করেছেন। পাইকাররা এসে দাম করে যাচ্ছেন। গরু বিক্রিতে লাভ হলে কিছু জমি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে তার। কাহালু উপজেলার খামার জাহিদ এন্ড সন্স এ্যাগ্রো ফার্মের সুপারভাইজার হেলাল উদ্দিন জানান তাদের খামারে কোরবানিযোগ্য ৭০-৮০টি গরুর মধ্যে ৪টি গরু বিক্রি হয়েছে।