আমতলী (বরগুনা) : হলদিয়ার বাজে সিন্ধুক খালের ভাঙা সেতু -সংবাদ
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর-কাঁঠালিয়া সড়কে বাজে সিন্ধুক খালের নরবড়ে লোহার সেতুটি ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়রা সেতুটির নরবড়ে অবস্থা দেখে গত ২৫ এপ্রিল স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুটির পাশে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। সেই বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ না হতেই ভেঙে পড়েছে সেতুটি। এতে বরগুনার আমতলী এবং পটুয়াখালীল কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১ লাখ লোকের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।
জানা গেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর-কাঁঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালে ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ কোটি টাকা ব্যয়ে এই লোহার সেতুটি নির্মাণ করে। তৎকালীন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলাম মৃধা এই সেতু নির্মাণ করেন। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার সেতু নির্মাণ করায় ৫ বছরের মাথায় বিম ভেঙে সেতু নরবড়ে হয়ে যায়। গত ১০ বছর ধরে এই নড়বড়ে সেতুটি দিয়ে বরগনার আমতলী এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১ লাখ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করেছে। বর্তমানে সেতুটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে মানুষ ও যানবাহনের দুভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে স্থানীয়রা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে গত ২৫ এপ্রিল স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর পাশের খালে বাঁধ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়। ১৫ দিন ধরে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ করেন স্থানীয়রা। কিন্তু সেই কাজ শেষ না হতেই ভেঙে পড়েছে সেতুটি।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু সালেহ বলেন, স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বাজে সিন্ধুক খালে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলাম আমরা। ১৫ দিন ধরে কাজ চলছে। কিন্তু বাঁধের কাজ শেষ হতে না হতেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে। এতে লক্ষ্যাধিক মানুষ ও যানবহানের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মৃধা বলেন, ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ২০১০ সালে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে এই লোহার সেতুটি নির্মাণ করেছেন। গত ৫ বছর আগে সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চিহিৃত করে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতো। সেতুটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যায়োয় গত ২৫ এপ্রিল থেকে ১৫ দিন ধরে এলাকাবাসী সেতুটির পাশে বাঁধ নির্মাণ করছিল। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ না হতেই সেতুটি ভেঙে পরেছে। ওই খালে একটি গাডার সেতু নির্মাণ করে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
সেতুটির ব্যাপারে জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, গাজীপুর-কাঁঠালিয়া সড়কে বাজে সিন্ধুক খালের লোহার সেতুটি ভেঙে পরার খবর পেয়েছি।
আমি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাব। অনেক আগে থেকেই ওই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। ওই খালে একটি গাডার সেতু নির্মাণ করার প্রস্তাব অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্প পাশ হলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
আমতলী (বরগুনা) : হলদিয়ার বাজে সিন্ধুক খালের ভাঙা সেতু -সংবাদ
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর-কাঁঠালিয়া সড়কে বাজে সিন্ধুক খালের নরবড়ে লোহার সেতুটি ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়রা সেতুটির নরবড়ে অবস্থা দেখে গত ২৫ এপ্রিল স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুটির পাশে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। সেই বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ না হতেই ভেঙে পড়েছে সেতুটি। এতে বরগুনার আমতলী এবং পটুয়াখালীল কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১ লাখ লোকের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।
জানা গেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর-কাঁঠালিয়া সড়কের বাজে সিন্ধুক খালে ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ কোটি টাকা ব্যয়ে এই লোহার সেতুটি নির্মাণ করে। তৎকালীন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলাম মৃধা এই সেতু নির্মাণ করেন। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার সেতু নির্মাণ করায় ৫ বছরের মাথায় বিম ভেঙে সেতু নরবড়ে হয়ে যায়। গত ১০ বছর ধরে এই নড়বড়ে সেতুটি দিয়ে বরগনার আমতলী এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও গলাচিপা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১ লাখ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করেছে। বর্তমানে সেতুটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে মানুষ ও যানবাহনের দুভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে স্থানীয়রা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে গত ২৫ এপ্রিল স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর পাশের খালে বাঁধ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়। ১৫ দিন ধরে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ করেন স্থানীয়রা। কিন্তু সেই কাজ শেষ না হতেই ভেঙে পড়েছে সেতুটি।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু সালেহ বলেন, স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বাজে সিন্ধুক খালে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলাম আমরা। ১৫ দিন ধরে কাজ চলছে। কিন্তু বাঁধের কাজ শেষ হতে না হতেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে। এতে লক্ষ্যাধিক মানুষ ও যানবহানের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মৃধা বলেন, ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ২০১০ সালে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে এই লোহার সেতুটি নির্মাণ করেছেন। গত ৫ বছর আগে সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চিহিৃত করে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতো। সেতুটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যায়োয় গত ২৫ এপ্রিল থেকে ১৫ দিন ধরে এলাকাবাসী সেতুটির পাশে বাঁধ নির্মাণ করছিল। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ না হতেই সেতুটি ভেঙে পরেছে। ওই খালে একটি গাডার সেতু নির্মাণ করে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
সেতুটির ব্যাপারে জানতে চাইলে আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, গাজীপুর-কাঁঠালিয়া সড়কে বাজে সিন্ধুক খালের লোহার সেতুটি ভেঙে পরার খবর পেয়েছি।
আমি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাব। অনেক আগে থেকেই ওই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। ওই খালে একটি গাডার সেতু নির্মাণ করার প্রস্তাব অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্প পাশ হলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।