বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নতুন প্রজাতের জিংক কলা চাষে ভাগ্য বদলে গেছে চাষি পারভেজ খানের। ভালো ফলন পেয়ে তার মুখে হাসি ফুটেছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে চাষিরা আসছেন তার জিংক কলার ক্ষেত দেখতে ।
উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রামের এই কৃষক গত ১৫ বছর ধরে কৃষি কাজ করেন। এ বছরে তিনি ১০ কাঠা জমিতে নতুন প্রজাতির জি-৯ কলা চাষ করেন। প্রথমে তিনি রংপুর থেকে প্রতি পিচ ৬০ টাকা ক্রয় করে ২ শতাধিক জি-৯ এ কলার চারা তার ক্ষেতে রোপন করেছে। চারা রোপনের ৭ মাসের মধ্যেই ফলন। নবম মাসে কলার ছড়া কেটে এখন বাজারে বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি গাছে একটি করে ছড়া ঝুলছে। স্বাভাবিক দেশীয় কলার চেয়ে ছড়া অনেক লম্বা। এ সুস্বাদু জি-৯ কলা প্রতিটি ছড়ায় ৩শ’ থেকে ৪শ’ ফলন হয়েছে। বাজারে এর চাহিদা বেশি, দামও দ্বিগুণ।
এ ক্ষেতে অন্যসব বছরে দেশি কলা তার বিক্রি হতো ৫০ হাজার টাকা। এবারে সেখানে তিনি বিক্রি করেছে ১ লাখ টাকা। এ কলা চাষ করতে শ্রমিকসহ ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার টাকা। পাশাপাশি কলা চারা বিক্রি করছেন প্রতি পিচ ১০০ টাকা করে। এ কলা খেতে পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক দেলোয়ার শিকদার বলেন, এর পূর্বে এত বড় কলার ছড়া কখনও দেখিনি। গাছের প্রতিটি ছড়ায় কলা ঝুলছে। এ যেনো এক অপরুপ দৃশ্য। বেশি আনন্দ লাগছে অন্য চাষিরা যখন এসে ভিড় জমাচ্ছে। নানা প্রশ্ন করছেন, কিভাবে এতো ভালো ফলন ফলিয়েছেন ?
সফল চাষী পারভেজ খান বলেন, এ বছরে নতুন করে জি-৯ কলা চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছি। প্রতিদিন কলা ক্ষেতে দেখতে আসছেন পার্শ্ববর্তী অনেক গ্রামের চাষিরা। তিনি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রনোদনার আর্থিক সহায়তার দাবি জানান। এ ভালো ফলন দেখে চাষিরা কলা চারা কিনছেন। তিনি ১০ কাটা জমি থেকে কলা বিক্রি করে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ ও সংসারের ব্যয় মিটিয়ে কিছুটা সঞ্চয় করতে পারছেন।
এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ বলইবুনিয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. মশিউর রহমান বলেন, আলতিবুরুজবাড়িয়া গ্রামের পারভেজ খান এবারে নতুন প্রজাতির জি-৯ কলা চাষ করে বেশ সাড়া ফেলেছেন। প্রতিদিন এ উপজেলাসহ পাশর্^বর্তী উপজেলার অনেক চাষিরা এসে ধারণা নিচ্ছেন। স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান, ভালো ফলন হওয়ার কারণে আগামী বছরে এ কলা চাষাবাদ আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন এ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় জি-৯ কলা চাষ এ বছরেই প্রথম হয়েছে। ইতোপূর্বে কোনো চাষি করেননি। অঞ্চল ভিত্তিক আবহাওয়ার সঙ্গে স্যুট করলে এ চাষাবাদে দিনদিন চাষিরা আরও বৃদ্ধি পাবে। এ কলা খুবই সুস্বাদু, কলায় থাকে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম। যা আমাদের হাটকে ভালো রাখার জন্য অন্যতম উপাদান।
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নতুন প্রজাতের জিংক কলা চাষে ভাগ্য বদলে গেছে চাষি পারভেজ খানের। ভালো ফলন পেয়ে তার মুখে হাসি ফুটেছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে চাষিরা আসছেন তার জিংক কলার ক্ষেত দেখতে ।
উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রামের এই কৃষক গত ১৫ বছর ধরে কৃষি কাজ করেন। এ বছরে তিনি ১০ কাঠা জমিতে নতুন প্রজাতির জি-৯ কলা চাষ করেন। প্রথমে তিনি রংপুর থেকে প্রতি পিচ ৬০ টাকা ক্রয় করে ২ শতাধিক জি-৯ এ কলার চারা তার ক্ষেতে রোপন করেছে। চারা রোপনের ৭ মাসের মধ্যেই ফলন। নবম মাসে কলার ছড়া কেটে এখন বাজারে বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি গাছে একটি করে ছড়া ঝুলছে। স্বাভাবিক দেশীয় কলার চেয়ে ছড়া অনেক লম্বা। এ সুস্বাদু জি-৯ কলা প্রতিটি ছড়ায় ৩শ’ থেকে ৪শ’ ফলন হয়েছে। বাজারে এর চাহিদা বেশি, দামও দ্বিগুণ।
এ ক্ষেতে অন্যসব বছরে দেশি কলা তার বিক্রি হতো ৫০ হাজার টাকা। এবারে সেখানে তিনি বিক্রি করেছে ১ লাখ টাকা। এ কলা চাষ করতে শ্রমিকসহ ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার টাকা। পাশাপাশি কলা চারা বিক্রি করছেন প্রতি পিচ ১০০ টাকা করে। এ কলা খেতে পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক দেলোয়ার শিকদার বলেন, এর পূর্বে এত বড় কলার ছড়া কখনও দেখিনি। গাছের প্রতিটি ছড়ায় কলা ঝুলছে। এ যেনো এক অপরুপ দৃশ্য। বেশি আনন্দ লাগছে অন্য চাষিরা যখন এসে ভিড় জমাচ্ছে। নানা প্রশ্ন করছেন, কিভাবে এতো ভালো ফলন ফলিয়েছেন ?
সফল চাষী পারভেজ খান বলেন, এ বছরে নতুন করে জি-৯ কলা চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছি। প্রতিদিন কলা ক্ষেতে দেখতে আসছেন পার্শ্ববর্তী অনেক গ্রামের চাষিরা। তিনি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রনোদনার আর্থিক সহায়তার দাবি জানান। এ ভালো ফলন দেখে চাষিরা কলা চারা কিনছেন। তিনি ১০ কাটা জমি থেকে কলা বিক্রি করে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ ও সংসারের ব্যয় মিটিয়ে কিছুটা সঞ্চয় করতে পারছেন।
এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ বলইবুনিয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. মশিউর রহমান বলেন, আলতিবুরুজবাড়িয়া গ্রামের পারভেজ খান এবারে নতুন প্রজাতির জি-৯ কলা চাষ করে বেশ সাড়া ফেলেছেন। প্রতিদিন এ উপজেলাসহ পাশর্^বর্তী উপজেলার অনেক চাষিরা এসে ধারণা নিচ্ছেন। স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান, ভালো ফলন হওয়ার কারণে আগামী বছরে এ কলা চাষাবাদ আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন এ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় জি-৯ কলা চাষ এ বছরেই প্রথম হয়েছে। ইতোপূর্বে কোনো চাষি করেননি। অঞ্চল ভিত্তিক আবহাওয়ার সঙ্গে স্যুট করলে এ চাষাবাদে দিনদিন চাষিরা আরও বৃদ্ধি পাবে। এ কলা খুবই সুস্বাদু, কলায় থাকে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম। যা আমাদের হাটকে ভালো রাখার জন্য অন্যতম উপাদান।