মেহেরপুর : আমের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতা -সংবাদ
বাজারে আসতে শুরু করেছে মেহেরপুরের আম। জেলায় জেলা প্রশাসন থেকে বেঁধে দেয়া তারিখ অনুযায়ী ১৫ মে বাগান থেকে প্রথম আম পাড়ার পর বাজারে তোলা হয়েছে। স্থানীয় বাগানের আঁটি, গুটি ও বোম্বাই আম তোলা হলেও পাইকারি আড়ত ও খুচরা দোকানগুলোতে এখনো অন্যান্য জেলার আম বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গাংনী উপজেলা শহর ও বড় ব্যবসা কেন্দ্র বামন্দী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুমের প্রথমে আড়ত ও খুচরা বাজারে যে দরে আম বিক্রি হচ্ছে তা ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। গত বছর মৌসুমের প্রথম দিনে আড়তগুলোতে জাতভেদে প্রতি কেজি আম ৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা এবং খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও এবার পাইকারি ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা স্থানীয় আড়ত থেকে আম সংগ্রহ করে গাংনী শহর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমের বড় চালানগুলো বাগান থেকে ট্রাকভর্তি হয়ে সরাসরি দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া আমের মৌসুম ঘিরে গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী কিছু বাজার। এ জন্য পাইকারি বাজার জমে উঠতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। আর গ্রামের লোকজন স্বল্প দামেও হাতের নাগালে আম পাচ্ছেন। দেখে শুনে টাটকা আম কিনতে পারছেন তারা।
গাংনী বাজারের মালেক ফল ভান্ডারের প্রোপ্রাইটর আব্দুল মালেক বলেন, জেলায় এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে। আমের চাপ বেশি হওয়ায় দাম কম। ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে দাম। গত বছর শুরুর দিকে বোম্বাই আম প্রতি মণ ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এবার ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আঁটি আমের দাম আরও কম।
তাছাড়া দাম কম হওয়ায় এবার বেচাকেনা সন্তোষজনক। দেশি আঁটির আম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বোম্বাই ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ও অন্যান্য গাছ পাকা কিছু আম প্রতি কেজি হিমসাগর ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গতবার সেটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৬০ টাকা। সেটি এখন ১১০ টাকা কেজি। বাইরের জেলার বিভিন্ন জাতের আম আগে থেকেই বাজারে এসেছে। তারপরও এলাকার আমের চাহিদা একটু বেশি বলে জানালেন রফিক ফল ভান্ডারের মালিক।
হেমায়েতপুরের খুচরা ফল বিক্রেতা রাজু মিয়া বাজারে সড়কের পাশে টং দোকানে সারা বছর ফল বিক্রি করেন। তার দোকানে বিভিন্ন জাতের আম সাজিয়ে বিক্রি করতে দেখা গেল। রাজু মিয়া বলেন, ‘কদিন আগেও মানুষ এক-দুই কেজি করে কিনলিউ একন দাম কম হওয়ায় অনেকিই ৫ থেকে ১০ কেজি করেও কেনছে। চেষ্টা করছি অরজিনাল গাছপাকা আম বিক্রি করার। এতে লাভও ভালো হবেনে।’
জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলায় গত ১৫ মে থেকে মেহেরপুর জেলায় বোম্বাই এবং স্থানীয় জাতের আম সংগ্রহ ও বাজারজাত শুরু হয়েছে। হিমসাগর সংগ্রহ শুরু হবে ২২ মে থেকে। এ ছাড়া ল্যাংড়া ৭ জুন, মল্লিকা ১০ জুন, আম্রপালি ১৭ জুন ও ফজলি ২৩ জুন সংগ্রহ এবং বাজারজাত করতে হবে বলে জেলা প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছেন। গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার এমরান হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে ৯৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। ১৪ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে।
মেহেরপুর : আমের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতা -সংবাদ
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
বাজারে আসতে শুরু করেছে মেহেরপুরের আম। জেলায় জেলা প্রশাসন থেকে বেঁধে দেয়া তারিখ অনুযায়ী ১৫ মে বাগান থেকে প্রথম আম পাড়ার পর বাজারে তোলা হয়েছে। স্থানীয় বাগানের আঁটি, গুটি ও বোম্বাই আম তোলা হলেও পাইকারি আড়ত ও খুচরা দোকানগুলোতে এখনো অন্যান্য জেলার আম বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গাংনী উপজেলা শহর ও বড় ব্যবসা কেন্দ্র বামন্দী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুমের প্রথমে আড়ত ও খুচরা বাজারে যে দরে আম বিক্রি হচ্ছে তা ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। গত বছর মৌসুমের প্রথম দিনে আড়তগুলোতে জাতভেদে প্রতি কেজি আম ৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা এবং খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও এবার পাইকারি ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা স্থানীয় আড়ত থেকে আম সংগ্রহ করে গাংনী শহর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমের বড় চালানগুলো বাগান থেকে ট্রাকভর্তি হয়ে সরাসরি দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া আমের মৌসুম ঘিরে গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী কিছু বাজার। এ জন্য পাইকারি বাজার জমে উঠতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। আর গ্রামের লোকজন স্বল্প দামেও হাতের নাগালে আম পাচ্ছেন। দেখে শুনে টাটকা আম কিনতে পারছেন তারা।
গাংনী বাজারের মালেক ফল ভান্ডারের প্রোপ্রাইটর আব্দুল মালেক বলেন, জেলায় এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে। আমের চাপ বেশি হওয়ায় দাম কম। ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে দাম। গত বছর শুরুর দিকে বোম্বাই আম প্রতি মণ ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এবার ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আঁটি আমের দাম আরও কম।
তাছাড়া দাম কম হওয়ায় এবার বেচাকেনা সন্তোষজনক। দেশি আঁটির আম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বোম্বাই ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ও অন্যান্য গাছ পাকা কিছু আম প্রতি কেজি হিমসাগর ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গতবার সেটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৬০ টাকা। সেটি এখন ১১০ টাকা কেজি। বাইরের জেলার বিভিন্ন জাতের আম আগে থেকেই বাজারে এসেছে। তারপরও এলাকার আমের চাহিদা একটু বেশি বলে জানালেন রফিক ফল ভান্ডারের মালিক।
হেমায়েতপুরের খুচরা ফল বিক্রেতা রাজু মিয়া বাজারে সড়কের পাশে টং দোকানে সারা বছর ফল বিক্রি করেন। তার দোকানে বিভিন্ন জাতের আম সাজিয়ে বিক্রি করতে দেখা গেল। রাজু মিয়া বলেন, ‘কদিন আগেও মানুষ এক-দুই কেজি করে কিনলিউ একন দাম কম হওয়ায় অনেকিই ৫ থেকে ১০ কেজি করেও কেনছে। চেষ্টা করছি অরজিনাল গাছপাকা আম বিক্রি করার। এতে লাভও ভালো হবেনে।’
জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলায় গত ১৫ মে থেকে মেহেরপুর জেলায় বোম্বাই এবং স্থানীয় জাতের আম সংগ্রহ ও বাজারজাত শুরু হয়েছে। হিমসাগর সংগ্রহ শুরু হবে ২২ মে থেকে। এ ছাড়া ল্যাংড়া ৭ জুন, মল্লিকা ১০ জুন, আম্রপালি ১৭ জুন ও ফজলি ২৩ জুন সংগ্রহ এবং বাজারজাত করতে হবে বলে জেলা প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছেন। গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার এমরান হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে ৯৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। ১৪ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে।