ভূমি ধস ঝুঁকিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রাচীন লাওয়ে জাদি বা প্যাগোডা -সংবাদ
ভূমি ধস ঝুঁকিতে রয়েছে কক্সবাজারের রামু উপজেলার পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রাচীন লাওয়ে জাদি বা প্যাগোডা। জাদিটি রক্ষায় জরুরিভাবে উদ্যোগ না নিলে যেকোনো সময়ই এটি ধসে পড়তে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনাও।
নতুন করে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান রামু বৌদ্ধ পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু। তিনি জানান , বিভিন্ন সময় ভূমি ধসের কারনে পাহাড়ের চারপাশে গাইড ওয়াল না থাকায় বর্তমানে জাদির উত্তর ও দক্ষিণ পাশে পাহাড়ের মাটি সরে গিয়ে জাদির গোড়া ছুঁয়েছে। তিনি আরও জানান, ডিজিটাল ভূমি সার্ভের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি চিহ্ন করে ফাইল তৈরী করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেয়া হবে।
চলতি বর্ষায় ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ফলে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে যেকোনো সময় এই পুরাকীর্তি ধসে পড়তে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনাও। ‘২০১২ ও ২০১৩ সালে ভারি বর্ষণের সময় পাহাড় ধসের কারণে জাদির সীমানাপ্রাচীর ধসে পড়ে। কিন্তু প্রায় বার বছর পার হলেও প্রাচীন এ পুরাকীর্তিটি রক্ষায় কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ’
৩৩০ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে ৩ শত বছরের প্রাচীন স্থাপত্য রামুর লাউয়ে জাদী। প্রাচীনকাল থেকে বুদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা বিশেষ এই প্যাগোডায় প্রার্থনা পূজা অর্চনা করে আসলেও ১৯৫০ সালের পর এটি পড়ে আছে অযন্ত অবহেলায়। কক্সবাজারের রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক হয়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পূর্বে গেলেই কাউয়ারখোপ পাহাড়ের ওপরে চোখে পড়বে বিশেষ দৃষ্টিন্দন এই প্রাচীন প্যাগোডা। ইতিহাস থেকে জানা গেছে আরকানের প্রধান সেনাপতি লাউ মুরং এর নামে নামকরণ হয় লাউয়ে পাড়া নামে গ্রাম। আর ধারণা করা হচ্ছে আনুমানিক ১৭৯৫ খ্রিষ্টাব্দে সেনাপতি লাউ মরং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য বিশেষ এই জাদি বা প্যাগোডাটি নির্মাণ করেন। বিভিন্ন সময় ভূমি ধসের কারণে জাদীর সীমানা প্রাচীরের অধিকাংশ অংশ ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে এই প্রাচীন স্থাপনাটি পড়ে আছে অযন্তে অবহেলায় স্থানীয়রা সংস্কার ও প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানান ।
তবে এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রামু উপজেলা মো. রাশেদুল ইসলাম জানান প্রাচীন স্থাপনা নতুন করে সংস্কার ও সংরক্ষনের আস্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন আরও বিশেষ একটি প্রকল্প নিয়ে হলেও এটি তারা সংস্কার ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
ভূমি ধস ঝুঁকিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রাচীন লাওয়ে জাদি বা প্যাগোডা -সংবাদ
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
ভূমি ধস ঝুঁকিতে রয়েছে কক্সবাজারের রামু উপজেলার পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রাচীন লাওয়ে জাদি বা প্যাগোডা। জাদিটি রক্ষায় জরুরিভাবে উদ্যোগ না নিলে যেকোনো সময়ই এটি ধসে পড়তে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনাও।
নতুন করে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান রামু বৌদ্ধ পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু। তিনি জানান , বিভিন্ন সময় ভূমি ধসের কারনে পাহাড়ের চারপাশে গাইড ওয়াল না থাকায় বর্তমানে জাদির উত্তর ও দক্ষিণ পাশে পাহাড়ের মাটি সরে গিয়ে জাদির গোড়া ছুঁয়েছে। তিনি আরও জানান, ডিজিটাল ভূমি সার্ভের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি চিহ্ন করে ফাইল তৈরী করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেয়া হবে।
চলতি বর্ষায় ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ফলে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে যেকোনো সময় এই পুরাকীর্তি ধসে পড়তে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনাও। ‘২০১২ ও ২০১৩ সালে ভারি বর্ষণের সময় পাহাড় ধসের কারণে জাদির সীমানাপ্রাচীর ধসে পড়ে। কিন্তু প্রায় বার বছর পার হলেও প্রাচীন এ পুরাকীর্তিটি রক্ষায় কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ’
৩৩০ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে ৩ শত বছরের প্রাচীন স্থাপত্য রামুর লাউয়ে জাদী। প্রাচীনকাল থেকে বুদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা বিশেষ এই প্যাগোডায় প্রার্থনা পূজা অর্চনা করে আসলেও ১৯৫০ সালের পর এটি পড়ে আছে অযন্ত অবহেলায়। কক্সবাজারের রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক হয়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পূর্বে গেলেই কাউয়ারখোপ পাহাড়ের ওপরে চোখে পড়বে বিশেষ দৃষ্টিন্দন এই প্রাচীন প্যাগোডা। ইতিহাস থেকে জানা গেছে আরকানের প্রধান সেনাপতি লাউ মুরং এর নামে নামকরণ হয় লাউয়ে পাড়া নামে গ্রাম। আর ধারণা করা হচ্ছে আনুমানিক ১৭৯৫ খ্রিষ্টাব্দে সেনাপতি লাউ মরং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য বিশেষ এই জাদি বা প্যাগোডাটি নির্মাণ করেন। বিভিন্ন সময় ভূমি ধসের কারণে জাদীর সীমানা প্রাচীরের অধিকাংশ অংশ ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে এই প্রাচীন স্থাপনাটি পড়ে আছে অযন্তে অবহেলায় স্থানীয়রা সংস্কার ও প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানান ।
তবে এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রামু উপজেলা মো. রাশেদুল ইসলাম জানান প্রাচীন স্থাপনা নতুন করে সংস্কার ও সংরক্ষনের আস্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন আরও বিশেষ একটি প্রকল্প নিয়ে হলেও এটি তারা সংস্কার ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।