জামালপুরের মাদারগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর নেতাসহ দুইজনকে গণপিটুনি দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন সমবায় সমিতির বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। গত শনিবার রাতে উপজেলার বালিজুড়ী বাজার থেকে জামালপুর শহর জামায়াতের আমির মোকাদ্দেস হোসেন এবং তার সহযোগী মিজানুর রহমান সুমনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গতকাল রোববার বিকালে তাদেরকে জামালপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, গত শনিবার মাদারগঞ্জ পৌর শহরের বালিজুড়ী বাজারে আল আকাবা সমবায় সমিতির কার্যালয়ের নীচতলায় সমিতি পরিচালিত আল ওয়ান-এ নামে একটি তৈরি পোষাকের দোকান থেকে মোকাদ্দেস হোসেন এবং মিজানুর রহমান গোপনে কয়েক লাখ টাকার মালামাল সরানোর চেষ্টা করেন। এমন সংবাদ পেয়ে সমিতির গ্রাহকরা তাদেরকে মালামালসহ আটক করে ওই দোকানেই বেঁধে রাখেন এবং গণপিটুনি দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। মোকাদ্দেস হোসেন জামালপুর শহর জামায়াতে ইসলামীর আমীর এবং মিজানুর রহমান সুমন জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক। মোকাদ্দেস হোসেন দাবি করেন, ওই দোকানে তার অংশিদারিত্ব রয়েছে। অপরদিকে, আল আকাবা সমবায় সমিতির গ্রাহক আজহারুল ইসলাম জানান, ওই সমিতির কয়েক হাজার গ্রাহকের ৭শ কোটি টাকা আমানত আত্মসাৎ করে পালিয়েছেন সমিতির পরিচালকরা। তারা উচ্চ হারে সুদের লোভ দেখিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে ১ বছর আগে অফিস বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন।
জামালপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল বলেন, জামালপুর শহর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোকাদ্দেস আল ওয়ান-এ নামে একটি তৈরি পোষাকের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের মাদারগঞ্জ শাখায় মালামাল আনতে গেলে সমবায় সমিতির গ্রাহকরা তাকে আটক করেন। তাদের সাথে যা করা হয়েছে, সেটি অন্যায়। কাউকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অধিকার কারো নেই। আর ওই সমিতির আর্থিক কেলেঙ্কারির সাথেও জামায়াতে ইসলামী জড়িত নয়। যারা ওই জামায়াত নেতাদের সাথে অন্যায় আচরন করেছেন, তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। তাদের প্রত্যকের বিরুদ্ধেই যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. হাসান আল মামুন বলেন, গত শনিবার রাতে সমবায় সমিতির গ্রাহকরা দুই জামায়া নেতাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার তাদেরকে জামালপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
জামালপুরের মাদারগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর নেতাসহ দুইজনকে গণপিটুনি দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন সমবায় সমিতির বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। গত শনিবার রাতে উপজেলার বালিজুড়ী বাজার থেকে জামালপুর শহর জামায়াতের আমির মোকাদ্দেস হোসেন এবং তার সহযোগী মিজানুর রহমান সুমনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গতকাল রোববার বিকালে তাদেরকে জামালপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, গত শনিবার মাদারগঞ্জ পৌর শহরের বালিজুড়ী বাজারে আল আকাবা সমবায় সমিতির কার্যালয়ের নীচতলায় সমিতি পরিচালিত আল ওয়ান-এ নামে একটি তৈরি পোষাকের দোকান থেকে মোকাদ্দেস হোসেন এবং মিজানুর রহমান গোপনে কয়েক লাখ টাকার মালামাল সরানোর চেষ্টা করেন। এমন সংবাদ পেয়ে সমিতির গ্রাহকরা তাদেরকে মালামালসহ আটক করে ওই দোকানেই বেঁধে রাখেন এবং গণপিটুনি দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। মোকাদ্দেস হোসেন জামালপুর শহর জামায়াতে ইসলামীর আমীর এবং মিজানুর রহমান সুমন জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক। মোকাদ্দেস হোসেন দাবি করেন, ওই দোকানে তার অংশিদারিত্ব রয়েছে। অপরদিকে, আল আকাবা সমবায় সমিতির গ্রাহক আজহারুল ইসলাম জানান, ওই সমিতির কয়েক হাজার গ্রাহকের ৭শ কোটি টাকা আমানত আত্মসাৎ করে পালিয়েছেন সমিতির পরিচালকরা। তারা উচ্চ হারে সুদের লোভ দেখিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে ১ বছর আগে অফিস বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন।
জামালপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল বলেন, জামালপুর শহর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোকাদ্দেস আল ওয়ান-এ নামে একটি তৈরি পোষাকের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের মাদারগঞ্জ শাখায় মালামাল আনতে গেলে সমবায় সমিতির গ্রাহকরা তাকে আটক করেন। তাদের সাথে যা করা হয়েছে, সেটি অন্যায়। কাউকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অধিকার কারো নেই। আর ওই সমিতির আর্থিক কেলেঙ্কারির সাথেও জামায়াতে ইসলামী জড়িত নয়। যারা ওই জামায়াত নেতাদের সাথে অন্যায় আচরন করেছেন, তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। তাদের প্রত্যকের বিরুদ্ধেই যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. হাসান আল মামুন বলেন, গত শনিবার রাতে সমবায় সমিতির গ্রাহকরা দুই জামায়া নেতাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার তাদেরকে জামালপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।