রামু (কক্সবাজার) : পশুহীন পশুর হাট -সংবাদ
রামু উপজেলা প্রশাসন সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে আলোচিত গর্জনিয়া গরু বাজার। সোমবার গর্জনিয়া গরু বাজারে বেচাবিক্রি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে ক্রেতা-বিক্রিতা। এছাড়া স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বেপারিরা গর্জনিয়া গরু বাজার এসে অস্বাভাবিকভাবে ফাঁকা দেখে ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, গরু মহিষ ও ছাগলে টইটম্বুর বাজার পশু শুন্য। ক’দিন আগেও যেখানে শতশত গরুর হাঁকডাক, বেচাকেনা আর মানুষের ভিড়ে মুখর ছিল গোটা এলাকা, আজ সেখানে নিরবতা। ফাঁকা মাঠ, খালি বাঁশের ঘের, একটি গরুর চিহ্ন নেই।
দির্ঘদিন যাবৎ গরুর খামার করে আসছেন তিতার পাড়া গ্রামের মো. বেলাল উদ্দিন ও ফাক্রিকাটা গ্রামের জসিম উদ্দিন, তারা জানান, কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে কিছুটা লাভের আশায় ব্যবসায়ীকভাবে গরু পালন করে আসছেন তাদের মত আরো অনেক খামারী ঋণ নিয়ে গরু পালন করছেন। এসব খামারে বিক্রি উপযোগী পশু রয়েছে দুই হাজারেও বেশি। গরু বিক্রি করেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে তাদেরকে। কিন্তু আকষ্মিক গর্জনিয়া বাজার বন্ধ করার কারনে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে খামারিদের পথে বসা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না বলে জানান।
সীমান্ত দিয়ে অগনিত গরু মহিশ অনুপ্রবেশের কারণে বছরজুড়ে আলোচনার শীর্ষে থাকে মায়ানমার সীমান্তে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত গর্জনিয়া গরুর বাজার । জেলার সর্বোচ্চ ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে গর্জনিয়া গরু বাজার । চলতি ২০২৫ অর্থবছরে রামুর গর্জনিয়া বাজারের ইজারা মুল্য এক লাফে ১০ গুন বেড়ে ২৬ কোটিতে দাড়ায়। যা পুরো দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়।
পরবর্তীতে আইনি জটিলতায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাজারের ইজারা কার্যক্রম রাখা হয়। এরপর গর্জনিয়া গরু বাজার থেকে খাস কালেকশনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের সিদ্ধান্ত নেন রামু উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে খাস কালেকশনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়কে ঘিরে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে । এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা অনলাইনে গর্জনিয়া গরুর বাজারের খাস কালেশনে অনিয়মের সংবাদ প্রচার হলে টনক নড়ে উপজেলা প্রশাসনের। এরপর সোমবার মায়ানমার থেকে চোরাই গরু অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে প্রশাসন সক্রিয় হয়ে গর্জনিয়া গরু বাজারটি বন্ধ রেখেছে বলে জানা গেছে। তবে সীমান্ত দিয়ে গরু মহিষ অনুপ্রবেশ থামেনি এবং চোরাচালান চলছে গোপনে। জনগণের প্রশ্ন গর্জনিয়া গরুর বাজার বন্ধ করে কি আদৌ চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে?
এদিকে গর্জনিয়া গরুর বাজার বন্ধ রাখার বিষয় নিশ্চিত করে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান, গর্জনিয়া গরু বাজারটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে চূড়ান্তভাবে বাজারটি বন্ধ রাখার বিষয় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।
রামু (কক্সবাজার) : পশুহীন পশুর হাট -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
রামু উপজেলা প্রশাসন সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে আলোচিত গর্জনিয়া গরু বাজার। সোমবার গর্জনিয়া গরু বাজারে বেচাবিক্রি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে ক্রেতা-বিক্রিতা। এছাড়া স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বেপারিরা গর্জনিয়া গরু বাজার এসে অস্বাভাবিকভাবে ফাঁকা দেখে ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, গরু মহিষ ও ছাগলে টইটম্বুর বাজার পশু শুন্য। ক’দিন আগেও যেখানে শতশত গরুর হাঁকডাক, বেচাকেনা আর মানুষের ভিড়ে মুখর ছিল গোটা এলাকা, আজ সেখানে নিরবতা। ফাঁকা মাঠ, খালি বাঁশের ঘের, একটি গরুর চিহ্ন নেই।
দির্ঘদিন যাবৎ গরুর খামার করে আসছেন তিতার পাড়া গ্রামের মো. বেলাল উদ্দিন ও ফাক্রিকাটা গ্রামের জসিম উদ্দিন, তারা জানান, কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে কিছুটা লাভের আশায় ব্যবসায়ীকভাবে গরু পালন করে আসছেন তাদের মত আরো অনেক খামারী ঋণ নিয়ে গরু পালন করছেন। এসব খামারে বিক্রি উপযোগী পশু রয়েছে দুই হাজারেও বেশি। গরু বিক্রি করেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে তাদেরকে। কিন্তু আকষ্মিক গর্জনিয়া বাজার বন্ধ করার কারনে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে খামারিদের পথে বসা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না বলে জানান।
সীমান্ত দিয়ে অগনিত গরু মহিশ অনুপ্রবেশের কারণে বছরজুড়ে আলোচনার শীর্ষে থাকে মায়ানমার সীমান্তে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত গর্জনিয়া গরুর বাজার । জেলার সর্বোচ্চ ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে গর্জনিয়া গরু বাজার । চলতি ২০২৫ অর্থবছরে রামুর গর্জনিয়া বাজারের ইজারা মুল্য এক লাফে ১০ গুন বেড়ে ২৬ কোটিতে দাড়ায়। যা পুরো দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়।
পরবর্তীতে আইনি জটিলতায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাজারের ইজারা কার্যক্রম রাখা হয়। এরপর গর্জনিয়া গরু বাজার থেকে খাস কালেকশনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের সিদ্ধান্ত নেন রামু উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে খাস কালেকশনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়কে ঘিরে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে । এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা অনলাইনে গর্জনিয়া গরুর বাজারের খাস কালেশনে অনিয়মের সংবাদ প্রচার হলে টনক নড়ে উপজেলা প্রশাসনের। এরপর সোমবার মায়ানমার থেকে চোরাই গরু অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে প্রশাসন সক্রিয় হয়ে গর্জনিয়া গরু বাজারটি বন্ধ রেখেছে বলে জানা গেছে। তবে সীমান্ত দিয়ে গরু মহিষ অনুপ্রবেশ থামেনি এবং চোরাচালান চলছে গোপনে। জনগণের প্রশ্ন গর্জনিয়া গরুর বাজার বন্ধ করে কি আদৌ চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে?
এদিকে গর্জনিয়া গরুর বাজার বন্ধ রাখার বিষয় নিশ্চিত করে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান, গর্জনিয়া গরু বাজারটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে চূড়ান্তভাবে বাজারটি বন্ধ রাখার বিষয় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।