ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : কালবৈশাখী ঝড়ে নুয়ে পড়া বোরো ধান -সংবাদ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে টানা তিনদিনের কালবৈশাখী ঝড় ও ভারি বৃষ্টিতে বোরো ধানের মাঠে নেমে এসেছে বিপর্যয়। পাকা ও আধাপাকা ধানের গাছ পানিতে শুয়ে পড়েছে, অনেক ক্ষেত জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজারো কৃষক, যাদের কষ্টার্জিত ফসল এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
গত রোববার রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত গত মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফুলবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় মাঠের ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও ধান গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে, আবার কোথাও কাটার পর মাঠে রেখে দেওয়া ধান ভিজে গেছে বৃষ্টিতে।
পানিকাটা গ্রামের কৃষক সামাদ মন্ডল বলেন, “আমার দুই বিঘা জমির ধান পানির নিচে শুয়ে গেছে। দ্রুত কাটতে না পারলে ধান গজিয়ে যাবে। অনেক কষ্টে ফলিয়েছি। এখন যদি ক্ষতি হয়, তাহলে ঘর চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।”
চাষিদের অভিযোগ, কাটা ধান এখন মাঠে শুকাতে দেওয়া যাচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে ধানের মান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ধানের দানা চিটে পরিণত হতে পারে, এমনকি গজিয়েও যেতে পারে। যা পুরো ফসলই অকেজো করে দেবে।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্র জানায়, এ মৌসুমে ফুলবাড়ীতে ১৪ হাজার ১৮৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ ধান ইতোমধ্যে কর্তন সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মো. শাহানুর রহমান বলেন, “বাকি ৩০ শতাংশ জমিতে এখনো ধান কর্তন হয়নি। এসব জমিতে বিআর-২৯ ও বিআর-৮৯ জাতের ধান রয়েছে। কিছু এলাকায় গাছ শুয়ে পড়েছে ঠিকই, তবে জমির পানি দ্রুত নামলে এবং ধান কাটতে পারলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।”
আবহাওয়া অফিস বলছে, গত তিনদিনে বৃষ্টির মাত্রা ছিল উল্লেখযোগ্য। দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬৩ মি.মি., গতকাল সোমবার ৪২ মি.মি. এবং গত রোববার ৫৮ মি.মি.। ঘূর্ণিঝড়েরও পূর্বাভাস রয়েছে।
এ অবস্থায় সময়মতো ধান কাটতে না পারলে অনেক কৃষকের পুরো মৌসুমের স্বপ্ন ভেঙে যেতে পারে। চাষিরা চাইছেন দ্রুত আবহাওয়া উন্নতি হোক, এবং ক্ষেত থেকে পানি নেমে গিয়ে আবার যেন তারা ঘরে তুলতে পারেন তাদের সোনালি ফসল।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : কালবৈশাখী ঝড়ে নুয়ে পড়া বোরো ধান -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে টানা তিনদিনের কালবৈশাখী ঝড় ও ভারি বৃষ্টিতে বোরো ধানের মাঠে নেমে এসেছে বিপর্যয়। পাকা ও আধাপাকা ধানের গাছ পানিতে শুয়ে পড়েছে, অনেক ক্ষেত জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজারো কৃষক, যাদের কষ্টার্জিত ফসল এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
গত রোববার রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত গত মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফুলবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় মাঠের ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও ধান গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে, আবার কোথাও কাটার পর মাঠে রেখে দেওয়া ধান ভিজে গেছে বৃষ্টিতে।
পানিকাটা গ্রামের কৃষক সামাদ মন্ডল বলেন, “আমার দুই বিঘা জমির ধান পানির নিচে শুয়ে গেছে। দ্রুত কাটতে না পারলে ধান গজিয়ে যাবে। অনেক কষ্টে ফলিয়েছি। এখন যদি ক্ষতি হয়, তাহলে ঘর চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।”
চাষিদের অভিযোগ, কাটা ধান এখন মাঠে শুকাতে দেওয়া যাচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে ধানের মান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ধানের দানা চিটে পরিণত হতে পারে, এমনকি গজিয়েও যেতে পারে। যা পুরো ফসলই অকেজো করে দেবে।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্র জানায়, এ মৌসুমে ফুলবাড়ীতে ১৪ হাজার ১৮৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৫ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ ধান ইতোমধ্যে কর্তন সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মো. শাহানুর রহমান বলেন, “বাকি ৩০ শতাংশ জমিতে এখনো ধান কর্তন হয়নি। এসব জমিতে বিআর-২৯ ও বিআর-৮৯ জাতের ধান রয়েছে। কিছু এলাকায় গাছ শুয়ে পড়েছে ঠিকই, তবে জমির পানি দ্রুত নামলে এবং ধান কাটতে পারলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।”
আবহাওয়া অফিস বলছে, গত তিনদিনে বৃষ্টির মাত্রা ছিল উল্লেখযোগ্য। দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬৩ মি.মি., গতকাল সোমবার ৪২ মি.মি. এবং গত রোববার ৫৮ মি.মি.। ঘূর্ণিঝড়েরও পূর্বাভাস রয়েছে।
এ অবস্থায় সময়মতো ধান কাটতে না পারলে অনেক কৃষকের পুরো মৌসুমের স্বপ্ন ভেঙে যেতে পারে। চাষিরা চাইছেন দ্রুত আবহাওয়া উন্নতি হোক, এবং ক্ষেত থেকে পানি নেমে গিয়ে আবার যেন তারা ঘরে তুলতে পারেন তাদের সোনালি ফসল।