বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ শহর সান্তাহার পৌরসভা। শহরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু উপজেলায় একটি রেলওয়ে হাসপাতাল ও ২০ শয্য বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকলেও সেগুলোর পুর্নাঙ্গ কার্যক্রম না থাকায় শহরের মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সান্তাহার পৌর শহরে একমাত্র ২০ শয্যা হাসপাতাল পুর্নাঙ্গভাবে চালু হচ্ছে না প্রায় দেড় যুগেও। একজন ফার্মসিস্ট দিয়ে কোনমত চলছে এই হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। শহরের মানুষকে চিকিৎসা সেবার জন্য যেতে হয় প্রায় ছয় কিলোমিটার দুরে আদমদীঘি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নতুবা নওগাঁ সদর হাসপাতালে।
শহরে একটি রেলওয়ে হাসপাতাল থাকলেও সেখানে নেই কোন চিকিৎসক, এটির ও কার্যক্রম চলে মাত্র একজন ফার্মাসিষ্ট দিয়ে। এই শহরে ৩/৪টি বেসরকারি ক্লিনিকে রোগিরা কোন রকম স্বাস্থ্যসেবা নিলেও সেসব ক্লিনিকে নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। সব ক্লিনিকে আবার নেই এমবিবিএস চিকিৎসক, অপারেশন কার্যক্রম। রাত্রী কালিন কোন চিকিৎসা সেবা ও জরুরী ওষুধ প্রয়োজন হলে রোগিদের নওগাঁ শহরে যেতে হয় অথবা ৫০ কিলোমিটার দুরে বগুড়া শহরে যেতে হয়। যদিও শহরে নেই কোন সরকারি-বেসরকারি এ্যম্বুলেন্স। আর এসব সমস্যা নিয়ে বসবাস করছে শহরের ভুক্তভোগী হাজার হাজার মানুষ। রেলকেন্দ্রিক শহর হওয়ার কারনে সান্তাহার জংশন ষ্টেশনে একটি পূর্নাঙ্গ রেলওয়ে থানা রয়েছে। এই থানা এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটে ট্রেন যাত্রীদের নানা দুর্ঘটনা । কোন যাত্রী দুর্ঘটনায় পড়লে অথবা মৃত্যু বরণ করলে পুলিশ দ্রুত সে সকল যাত্রীদের রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে। মৃত রোগীদের ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় নওগাঁ সদর হাসপাতালে । কিন্তু আহত যাত্রীদের জন্য নেই কোন চিকিৎসা সেবা । যাত্রীদের নিয়ে যেতে হয় নওগাঁ অথবা বগুড়া শহরের কোন হাসপাতালে । সান্তাহার পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম মোরশেদ বলেন,সান্তাহার শহরে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ বাস করে কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবৎ এ সব মানুষ চিকিৎসা সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত । এক সময় শহরের রেলওয়ে হাসপাতালটি সচল থাকলেও সেটি এখন অচল । সান্তাহার ২০ শয্যা হাসপাতালটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও সেটি আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি । বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার দাবি দাওয়া জানালেও এটি পূর্নাঙ্গ ভাবে চাল করা সম্ভব হয়নি । তিনি দ্রুত রেলওয়ে হাসপাতালসহ সান্তাহার ২০ শয্যা হাসপাতালটি চালু করার দাবি জানান ।
সান্তাহার প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হলেও এখানে নেই কোন দিবা-রাত্রী ওষুধের দোকান। রাত ১১ টার পর প্রায় সব ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। যদিও নিয়ম না মেনে অনেক মুদী দোকানাদার তাদের দোকানে ওষুধ বিক্রি করে। এ বিষয়ে সান্তাহার পাক মেডিকেল ওষুধের দোকানের স্বত্বাধীকারি ও উপজেলা ওষুধ বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. মুকুল জানান, শহরে হাসপাতালটি পুর্নাঙ্গভাবে চালু হলে দিবারাত্রী ওষুধের দোকান চালু হবে বলে আশা রাখি।
এসব বিষয়ে বগুড়া সিভিল সার্জন এ,কে,এম মোফাখখারুল ইসলাম জানান, সান্তাহারের ২০ শয্যা হাসপাতালটি চালুর বিষয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে তবে অল্প দিনের মধ্যে এটি পূর্নাঙ্গভাবে চালু করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ শহর সান্তাহার পৌরসভা। শহরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু উপজেলায় একটি রেলওয়ে হাসপাতাল ও ২০ শয্য বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকলেও সেগুলোর পুর্নাঙ্গ কার্যক্রম না থাকায় শহরের মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সান্তাহার পৌর শহরে একমাত্র ২০ শয্যা হাসপাতাল পুর্নাঙ্গভাবে চালু হচ্ছে না প্রায় দেড় যুগেও। একজন ফার্মসিস্ট দিয়ে কোনমত চলছে এই হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। শহরের মানুষকে চিকিৎসা সেবার জন্য যেতে হয় প্রায় ছয় কিলোমিটার দুরে আদমদীঘি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নতুবা নওগাঁ সদর হাসপাতালে।
শহরে একটি রেলওয়ে হাসপাতাল থাকলেও সেখানে নেই কোন চিকিৎসক, এটির ও কার্যক্রম চলে মাত্র একজন ফার্মাসিষ্ট দিয়ে। এই শহরে ৩/৪টি বেসরকারি ক্লিনিকে রোগিরা কোন রকম স্বাস্থ্যসেবা নিলেও সেসব ক্লিনিকে নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। সব ক্লিনিকে আবার নেই এমবিবিএস চিকিৎসক, অপারেশন কার্যক্রম। রাত্রী কালিন কোন চিকিৎসা সেবা ও জরুরী ওষুধ প্রয়োজন হলে রোগিদের নওগাঁ শহরে যেতে হয় অথবা ৫০ কিলোমিটার দুরে বগুড়া শহরে যেতে হয়। যদিও শহরে নেই কোন সরকারি-বেসরকারি এ্যম্বুলেন্স। আর এসব সমস্যা নিয়ে বসবাস করছে শহরের ভুক্তভোগী হাজার হাজার মানুষ। রেলকেন্দ্রিক শহর হওয়ার কারনে সান্তাহার জংশন ষ্টেশনে একটি পূর্নাঙ্গ রেলওয়ে থানা রয়েছে। এই থানা এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটে ট্রেন যাত্রীদের নানা দুর্ঘটনা । কোন যাত্রী দুর্ঘটনায় পড়লে অথবা মৃত্যু বরণ করলে পুলিশ দ্রুত সে সকল যাত্রীদের রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে। মৃত রোগীদের ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় নওগাঁ সদর হাসপাতালে । কিন্তু আহত যাত্রীদের জন্য নেই কোন চিকিৎসা সেবা । যাত্রীদের নিয়ে যেতে হয় নওগাঁ অথবা বগুড়া শহরের কোন হাসপাতালে । সান্তাহার পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম মোরশেদ বলেন,সান্তাহার শহরে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ বাস করে কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবৎ এ সব মানুষ চিকিৎসা সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত । এক সময় শহরের রেলওয়ে হাসপাতালটি সচল থাকলেও সেটি এখন অচল । সান্তাহার ২০ শয্যা হাসপাতালটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও সেটি আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি । বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার দাবি দাওয়া জানালেও এটি পূর্নাঙ্গ ভাবে চাল করা সম্ভব হয়নি । তিনি দ্রুত রেলওয়ে হাসপাতালসহ সান্তাহার ২০ শয্যা হাসপাতালটি চালু করার দাবি জানান ।
সান্তাহার প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হলেও এখানে নেই কোন দিবা-রাত্রী ওষুধের দোকান। রাত ১১ টার পর প্রায় সব ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। যদিও নিয়ম না মেনে অনেক মুদী দোকানাদার তাদের দোকানে ওষুধ বিক্রি করে। এ বিষয়ে সান্তাহার পাক মেডিকেল ওষুধের দোকানের স্বত্বাধীকারি ও উপজেলা ওষুধ বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. মুকুল জানান, শহরে হাসপাতালটি পুর্নাঙ্গভাবে চালু হলে দিবারাত্রী ওষুধের দোকান চালু হবে বলে আশা রাখি।
এসব বিষয়ে বগুড়া সিভিল সার্জন এ,কে,এম মোফাখখারুল ইসলাম জানান, সান্তাহারের ২০ শয্যা হাসপাতালটি চালুর বিষয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে তবে অল্প দিনের মধ্যে এটি পূর্নাঙ্গভাবে চালু করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।