নবীগঞ্জ পৌর শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিতব্য ড্রেন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকা থেকে আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৮০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ড্রেন নির্মাণে বরাদ্দ রয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৩৯৫ টাকা। কাগজে-কলমে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকার উত্তরার ‘এস এম এন্টারপ্রাইজ’-এর নাম থাকলেও, বাস্তবে কাজটি পরিচালনা করছে স্থানীয় কিছু শ্রমিক এবং ব্যক্তি।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায়, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে মাটি মেশানো নিম্নমানের পাথর, বালু, ছোট আকারের রড এবং নিম্নমানের সিমেন্ট। রাতের আঁধারে ওসমানী রোড এলাকায় চলে ঢালাইয়ের কাজ। সেখানে দেখা গেছে বিকৃঙ্খলভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে নির্মাণসামগ্রী। পাথরের স্তূপ পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাতে প্রচুর পরিমাণে মাটি মেশানো। জিজ্ঞাসাবাদে শ্রমিকরা স্বীকার করেন, পাথর ধোয়া হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ফাহিম ইসলাম প্রথমে দোষ চাপান পাথর সরবরাহকারীর ওপর, তবে তিনি জানান, ভবিষ্যতে এমন পাথর আর ব্যবহার করা হবে না। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংবাদ’কে জানান, এভাবে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করলে, ড্রেন টেকসই হবে না। বর্ষায় পানির চাপে ধসে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। নির্মাণে ব্যবহারের কথা ছিল ২০ মিমি. ডায়ার বোল্ডার ভাঙা পাথর ও মানসম্মত সারি বালু। কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই ব্যবহার হচ্ছে না। এ ছাড়া শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেই কোনো হেলমেট বা বুট জুতা, এমনকি সতর্কীকরণ সাইনবোর্ডও দেখা যায়নি সাইটে।
নবীগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী আমাদের নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। ঠিকাদারকে সাইট থেকে এসব সামগ্রী সরিয়ে নিতে এবং মানসম্মত উপকরণ না আসা পর্যন্ত কাজ স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
নবীগঞ্জ পৌর শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিতব্য ড্রেন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকা থেকে আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৮০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ড্রেন নির্মাণে বরাদ্দ রয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৩৯৫ টাকা। কাগজে-কলমে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকার উত্তরার ‘এস এম এন্টারপ্রাইজ’-এর নাম থাকলেও, বাস্তবে কাজটি পরিচালনা করছে স্থানীয় কিছু শ্রমিক এবং ব্যক্তি।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায়, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে মাটি মেশানো নিম্নমানের পাথর, বালু, ছোট আকারের রড এবং নিম্নমানের সিমেন্ট। রাতের আঁধারে ওসমানী রোড এলাকায় চলে ঢালাইয়ের কাজ। সেখানে দেখা গেছে বিকৃঙ্খলভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে নির্মাণসামগ্রী। পাথরের স্তূপ পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাতে প্রচুর পরিমাণে মাটি মেশানো। জিজ্ঞাসাবাদে শ্রমিকরা স্বীকার করেন, পাথর ধোয়া হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ফাহিম ইসলাম প্রথমে দোষ চাপান পাথর সরবরাহকারীর ওপর, তবে তিনি জানান, ভবিষ্যতে এমন পাথর আর ব্যবহার করা হবে না। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংবাদ’কে জানান, এভাবে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করলে, ড্রেন টেকসই হবে না। বর্ষায় পানির চাপে ধসে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। নির্মাণে ব্যবহারের কথা ছিল ২০ মিমি. ডায়ার বোল্ডার ভাঙা পাথর ও মানসম্মত সারি বালু। কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই ব্যবহার হচ্ছে না। এ ছাড়া শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেই কোনো হেলমেট বা বুট জুতা, এমনকি সতর্কীকরণ সাইনবোর্ডও দেখা যায়নি সাইটে।
নবীগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী আমাদের নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। ঠিকাদারকে সাইট থেকে এসব সামগ্রী সরিয়ে নিতে এবং মানসম্মত উপকরণ না আসা পর্যন্ত কাজ স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।