সাতক্ষীরা : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণসামগ্রী -সংবাদ
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ওফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে পাকা রাস্তার কাাপেটিং কাজের সরমঞ্জম রাখার অভিযোগ উঠেছে। এতে স্কুল ছেলে মেয়েদের স্কুল বিরতির সময় এবং বিকালে স্থানীয় যুবকদের খেলাধুলা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া পাথর পিচ মিশানোর সময় আগুনের ধোয়ায় ওই এলাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং বসবাস করা অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার ১২ নং যুগিখালী ইউনিয়ন ও ১ নং জয়নগর ইউনিয়নের কেন্দ্রবিন্দু ওফাপুর ও গাজনা মোড়ে ওফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি অত্যন্ত সুনামের সহিত প্রতিষ্ঠানটি চলে আসছে। বিগত সরকারের আমল থেকে এই এলাকায় কোন রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার আগেই স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজনকে ম্যানেজ করে ঠিকাদাররা ওই স্কুল মাঠে মালামাল রাখা এবং রাস্তার কাজ সম্পন্ন করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় ঠিক একইভাবে স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজনকে ম্যানেজ করে ঠিকাদার আবারও ওই স্কুল মাঠে পাকা রাস্তার কার্পেটিং করার জন্য বালু, পাথর, ব্যারেল ভর্তি বিটুবিন, পিচ, জ্বালানি, খালি ব্যারেল, মেশিন রাখা হয়। এসব মালামালগুলো কাজ শুরু করার ১৫ দিন রাখা হয়েছে। আর যতদিন পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলবে ততদিন পর্যন্ত এসব মালামাল রাখা হবে।
এলাকাবাসি আরও অভিযোগ করে বলেন, কাজ শেষ হওয়ার পর ঠিকাদারের লোকজন তাদের পিচ মিশানো মেশিনসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যায়। কিন্তু মাঠে পড়ে থাকা বালু, পাথর পিচ কোন পরিষ্কার হয় না। এতে সারাবছর স্কুলের ছেলে মেয়েদের ও স্থানীয় যুবকদের খেলার সময় ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এমনি খেলার সময় মাঠে পড়ে গিয়ে হাঁটুসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত সৃস্টি হয়।
ওফাপুর গ্রামের আবু বকর নামে এ ভ্যান চালক জানান, সরসকাটি-টু-কলারোয়া সড়কের পাশে অবস্থিত এই স্কুল মাঠে যখন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পিচ পাথর মিশানো হয়, তখন আমরা এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান চালাতে পারিনা। এমনকি এই স্কুল মাঠসংলগ্ন আমার বাড়ি। আমিসহ আমার প্রতিবেশীরা মেশিনের শব্দ ও ধোঁয়ায় বসবাস করতে পারি না। ভেবেছিলাম এই সরকারের আমলে আর কেউ রাস্তা নির্মাণের মালামাল এই মাঠে রাখবে না। কিন্তু এখনও দেখছি একই রকম। আমাদেরতো অসুবিধা হচ্ছে। পাশাপাশি স্কুলের ছেলে মেয়েদের ও স্থানীয় যুবকদের সারা বছর খেলাধুলার সময় অসুবিধা ভোগ করতে হবে।
পাশ্ববর্তী গাজনা গ্রামের আব্দুর রহিম ইসলাম জানান, রাস্তার মালামাল এই মাঠে রাখলে স্কুল শিক্ষার্থীসহ এলাকার যুবকদের খেলাধুলার সময় ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই আগামীতে যেন আর কোন ঠিকাদার রাস্তার নির্মাণের জন্য স্কুল মাঠ দখল করে মালামাল না রাখতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
ঠিকাদার আরিফ হোসেন জানান, কার্পেটিং চলা রাস্তার আশেপাশে ভালো কোন খালি জায়গা পাওয়া যায়নি। ওই মাঠে আগেও রাস্তা নির্মাণের মালামাল রেখে কাজ করেছি। তাই ভাবলাম এবারও রাখি। কিন্তু এখন দেখছি ভুল হয়েছে। আর দুই-তিন দিন কাজ করলে শেষ হয়ে যেত কিন্তু বর্ষা হওয়ার কারণে ৩-৪ দিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আকাশ ভালো থাকলে ৪-৫ দিন কাজ করলে শেষ হয়ে যাবে।
উপজেলা প্রকৌশলী ইমরান হোসেন জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মালামাল ফেলানো হয়েছে। স্থানীয়রা কেউ আমার কাছে অভিযোগ দেয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নেয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহরুল ইসলাম জানান, আমি এ বিষয়ে জানিনা। আপনার মাধ্যমে জানলাম। বিষয়টি আমি দেখছি।
সাতক্ষীরা : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণসামগ্রী -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ওফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে পাকা রাস্তার কাাপেটিং কাজের সরমঞ্জম রাখার অভিযোগ উঠেছে। এতে স্কুল ছেলে মেয়েদের স্কুল বিরতির সময় এবং বিকালে স্থানীয় যুবকদের খেলাধুলা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া পাথর পিচ মিশানোর সময় আগুনের ধোয়ায় ওই এলাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং বসবাস করা অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার ১২ নং যুগিখালী ইউনিয়ন ও ১ নং জয়নগর ইউনিয়নের কেন্দ্রবিন্দু ওফাপুর ও গাজনা মোড়ে ওফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি অত্যন্ত সুনামের সহিত প্রতিষ্ঠানটি চলে আসছে। বিগত সরকারের আমল থেকে এই এলাকায় কোন রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার আগেই স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজনকে ম্যানেজ করে ঠিকাদাররা ওই স্কুল মাঠে মালামাল রাখা এবং রাস্তার কাজ সম্পন্ন করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় ঠিক একইভাবে স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজনকে ম্যানেজ করে ঠিকাদার আবারও ওই স্কুল মাঠে পাকা রাস্তার কার্পেটিং করার জন্য বালু, পাথর, ব্যারেল ভর্তি বিটুবিন, পিচ, জ্বালানি, খালি ব্যারেল, মেশিন রাখা হয়। এসব মালামালগুলো কাজ শুরু করার ১৫ দিন রাখা হয়েছে। আর যতদিন পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলবে ততদিন পর্যন্ত এসব মালামাল রাখা হবে।
এলাকাবাসি আরও অভিযোগ করে বলেন, কাজ শেষ হওয়ার পর ঠিকাদারের লোকজন তাদের পিচ মিশানো মেশিনসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যায়। কিন্তু মাঠে পড়ে থাকা বালু, পাথর পিচ কোন পরিষ্কার হয় না। এতে সারাবছর স্কুলের ছেলে মেয়েদের ও স্থানীয় যুবকদের খেলার সময় ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এমনি খেলার সময় মাঠে পড়ে গিয়ে হাঁটুসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত সৃস্টি হয়।
ওফাপুর গ্রামের আবু বকর নামে এ ভ্যান চালক জানান, সরসকাটি-টু-কলারোয়া সড়কের পাশে অবস্থিত এই স্কুল মাঠে যখন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পিচ পাথর মিশানো হয়, তখন আমরা এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান চালাতে পারিনা। এমনকি এই স্কুল মাঠসংলগ্ন আমার বাড়ি। আমিসহ আমার প্রতিবেশীরা মেশিনের শব্দ ও ধোঁয়ায় বসবাস করতে পারি না। ভেবেছিলাম এই সরকারের আমলে আর কেউ রাস্তা নির্মাণের মালামাল এই মাঠে রাখবে না। কিন্তু এখনও দেখছি একই রকম। আমাদেরতো অসুবিধা হচ্ছে। পাশাপাশি স্কুলের ছেলে মেয়েদের ও স্থানীয় যুবকদের সারা বছর খেলাধুলার সময় অসুবিধা ভোগ করতে হবে।
পাশ্ববর্তী গাজনা গ্রামের আব্দুর রহিম ইসলাম জানান, রাস্তার মালামাল এই মাঠে রাখলে স্কুল শিক্ষার্থীসহ এলাকার যুবকদের খেলাধুলার সময় ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই আগামীতে যেন আর কোন ঠিকাদার রাস্তার নির্মাণের জন্য স্কুল মাঠ দখল করে মালামাল না রাখতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
ঠিকাদার আরিফ হোসেন জানান, কার্পেটিং চলা রাস্তার আশেপাশে ভালো কোন খালি জায়গা পাওয়া যায়নি। ওই মাঠে আগেও রাস্তা নির্মাণের মালামাল রেখে কাজ করেছি। তাই ভাবলাম এবারও রাখি। কিন্তু এখন দেখছি ভুল হয়েছে। আর দুই-তিন দিন কাজ করলে শেষ হয়ে যেত কিন্তু বর্ষা হওয়ার কারণে ৩-৪ দিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আকাশ ভালো থাকলে ৪-৫ দিন কাজ করলে শেষ হয়ে যাবে।
উপজেলা প্রকৌশলী ইমরান হোসেন জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মালামাল ফেলানো হয়েছে। স্থানীয়রা কেউ আমার কাছে অভিযোগ দেয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নেয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহরুল ইসলাম জানান, আমি এ বিষয়ে জানিনা। আপনার মাধ্যমে জানলাম। বিষয়টি আমি দেখছি।