পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে ‘সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস’-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘জুলাই–৩৬ ছাত্রীনিবাস’। একই সঙ্গে নাম বদলানো হয়েছে শেখ রাসেল ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামাঙ্কিত আরও দুটি হলেরও। এ নিয়ে স্থানীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও তীব্র প্রতিক্রিয়া।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল মিয়া নতুন নামফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এই নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। এ সময় উপাধ্যক্ষ আবদুল খালেক, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মরত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন নাম অনুযায়ী— ‘সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস’ এখন ‘জুলাই–৩৬ ছাত্রীনিবাস’, ‘শেখ রাসেল ছাত্রাবাস’ এখন ‘বিজয়–২৪ ছাত্রাবাস’ এবং ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস’ এখন ‘আয়শা সিদ্দিকা (রা.) ছাত্রীনিবাস’
সুচিত্রা সেনের নাম সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় ও প্রবাসী সংস্কৃতিকর্মীরা। কিংবদন্তি এই অভিনেত্রীর পৈতৃক ভিটা পাবনাতেই, সেখানেই তার নামে থাকা ছাত্রীনিবাসের নাম মুছে ফেলা অনেকের কাছে একধরনের অপমান হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে।
পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংস্কৃতিক সংগঠক গোপাল সান্যাল তাঁর ফেইসবুক পেজে লেখেন, ‘সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস-এর নাম পাল্টে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাবনার সংস্কৃতিপ্রেমী জনতা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করবে।’
সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তি। এই নাম পরিবর্তন সাধারণ সংস্কৃতির ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।’
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নরেশ মধু বলেন, ‘সুচিত্রা সেন আমাদের আবেগ, অনুভব আর অহংকারের প্রতীক। তাঁর নাম মুছে ফেলা মেনে নেওয়া যায় না।’
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল মিয়া জানান, ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে এ নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা জুলাই বিপ্লবের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে সততা, দেশপ্রেম ও দক্ষতা অর্জনে ব্রত হোক।’
পাবনা জেলা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের শৈশব কেটেছে। পরে দেশভাগের সময় ১৯৪৭ সালে তিনি চলে যান কলকাতায়। ২০১৪ সালে তার পৈতৃক বাড়িটি পুনরুদ্ধার করে সেখানে স্থাপন করা হয় ‘সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা’।
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে ‘সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস’-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘জুলাই–৩৬ ছাত্রীনিবাস’। একই সঙ্গে নাম বদলানো হয়েছে শেখ রাসেল ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামাঙ্কিত আরও দুটি হলেরও। এ নিয়ে স্থানীয় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও তীব্র প্রতিক্রিয়া।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল মিয়া নতুন নামফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এই নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। এ সময় উপাধ্যক্ষ আবদুল খালেক, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মরত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন নাম অনুযায়ী— ‘সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস’ এখন ‘জুলাই–৩৬ ছাত্রীনিবাস’, ‘শেখ রাসেল ছাত্রাবাস’ এখন ‘বিজয়–২৪ ছাত্রাবাস’ এবং ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস’ এখন ‘আয়শা সিদ্দিকা (রা.) ছাত্রীনিবাস’
সুচিত্রা সেনের নাম সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় ও প্রবাসী সংস্কৃতিকর্মীরা। কিংবদন্তি এই অভিনেত্রীর পৈতৃক ভিটা পাবনাতেই, সেখানেই তার নামে থাকা ছাত্রীনিবাসের নাম মুছে ফেলা অনেকের কাছে একধরনের অপমান হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে।
পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংস্কৃতিক সংগঠক গোপাল সান্যাল তাঁর ফেইসবুক পেজে লেখেন, ‘সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস-এর নাম পাল্টে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাবনার সংস্কৃতিপ্রেমী জনতা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করবে।’
সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তি। এই নাম পরিবর্তন সাধারণ সংস্কৃতির ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।’
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নরেশ মধু বলেন, ‘সুচিত্রা সেন আমাদের আবেগ, অনুভব আর অহংকারের প্রতীক। তাঁর নাম মুছে ফেলা মেনে নেওয়া যায় না।’
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল মিয়া জানান, ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে এ নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা জুলাই বিপ্লবের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে সততা, দেশপ্রেম ও দক্ষতা অর্জনে ব্রত হোক।’
পাবনা জেলা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের শৈশব কেটেছে। পরে দেশভাগের সময় ১৯৪৭ সালে তিনি চলে যান কলকাতায়। ২০১৪ সালে তার পৈতৃক বাড়িটি পুনরুদ্ধার করে সেখানে স্থাপন করা হয় ‘সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা’।