বৃষ্টি আসতে না আসতে সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মশার কামড়ে ১০১ জন আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে ৩,৬৩৭ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মারা গেছে ২৩ জন। মশার কামড়ে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে। এই সংখ্যা ১৩ জন। এই ভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েই চলছে।
হাসপাতালের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৬ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৯ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভি-১৯ হাসপাতালে ১২ জন ভর্তি আছে। এ নিয়ে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ৮৯ জন ভর্তি আছে। এ নিয়ে দেশের হাসপাতাল গুলোতে এখন ভর্তি আছে ৩১৮ জন। বৃষ্টির কারণে এখন প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি ও কন্ট্রোরের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪২ জন, চট্রগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, ঢাকা বিভাগে ৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১০ জন, ঢাকা দক্ষিণে ২৪ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহে ১ জন, রংপুরে ১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞ কবিরুল বাশার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর মারাত্বক চাপ সৃষ্টি করে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০০০ সালে।
তবে সম্প্রতিক বছর গুলোতে এর প্রকৌপ আশঙ্কা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০১৯ ও ২০২৩ সালে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নেয় এবং মৃত্যুহারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। বর্তমানে ডেঙ্গু শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ নেই। বরং সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
কীটতত্ব বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমান আবহাওয়ায় ডিম থেকে পূর্ণবয়স্ক মশা হয়ে উঠতে কম সময় লাগে। ফলে মশার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এডিস মশা সাধারণত পরিস্কার ও জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। যেমন- ফুলের টব, পরিত্যাক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের পাত্র, ফ্রিজের ট্রে, এসির পানির জমানো স্থানে ডিম পাড়ে।
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
বৃষ্টি আসতে না আসতে সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মশার কামড়ে ১০১ জন আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে ৩,৬৩৭ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মারা গেছে ২৩ জন। মশার কামড়ে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে। এই সংখ্যা ১৩ জন। এই ভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েই চলছে।
হাসপাতালের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৬ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৯ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভি-১৯ হাসপাতালে ১২ জন ভর্তি আছে। এ নিয়ে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ৮৯ জন ভর্তি আছে। এ নিয়ে দেশের হাসপাতাল গুলোতে এখন ভর্তি আছে ৩১৮ জন। বৃষ্টির কারণে এখন প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি ও কন্ট্রোরের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪২ জন, চট্রগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, ঢাকা বিভাগে ৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১০ জন, ঢাকা দক্ষিণে ২৪ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহে ১ জন, রংপুরে ১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞ কবিরুল বাশার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর মারাত্বক চাপ সৃষ্টি করে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০০০ সালে।
তবে সম্প্রতিক বছর গুলোতে এর প্রকৌপ আশঙ্কা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০১৯ ও ২০২৩ সালে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নেয় এবং মৃত্যুহারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। বর্তমানে ডেঙ্গু শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ নেই। বরং সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
কীটতত্ব বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমান আবহাওয়ায় ডিম থেকে পূর্ণবয়স্ক মশা হয়ে উঠতে কম সময় লাগে। ফলে মশার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এডিস মশা সাধারণত পরিস্কার ও জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। যেমন- ফুলের টব, পরিত্যাক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের পাত্র, ফ্রিজের ট্রে, এসির পানির জমানো স্থানে ডিম পাড়ে।