বকশীগঞ্জ (জামালপুর) : মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে নদীর পানি -সংবাদ
দশানী নদী ও ব্রম্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে আতংকিত হয়ে পড়েছে বকশীগঞ্জ উপজেলার নদীপাড়ের বাসিন্দারা। সর্তক বার্তা ছাড়া প্রশাসনিকভাবে ভাঙন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
জানা যায়, ভৌগলিকভাবে বকশীগঞ্জ উপজেলা ব্রম্মপুত্র নদ ও দশানী নদী বেষ্টিত। বকশীগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে মেরুরচর, সাধুরপাড়া, বগারচর ও নীলাক্ষিয়া ইউনিয়ন ব্রম্মপুত্র নদ ও দশানী নদীর কুল ঘেষে অবস্থিত। সারা বছর ৪টি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত গ্রামবাসী নদী ভাঙনের শিকার হয়। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাড়িঘর, আবাদী জমি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙনের কবলে পড়ে। তবে বর্ষাকালে এর তীব্রতা বাড়ে। ১৫ মে থেকে ভারত থেকে নেমে আসা প্রবল ঢলে বকশীগঞ্জ উপজেলার ব্রম্মপুত্র নদ ও দশানী নদীর পানি হুহু করে বাড়ছে। পানির স্রোতের গতিও তীব্র। তাই নদী ভাঙন মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১০টি পরিবারের বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। শত শত একর ফসলী জমি নদী গ্রাস করেছে। বন্যার পানি বাড়ার সাতে সাথে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা যাতায়াতের একমাত্র বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ সড়ক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ব্রম্মপুত্র নদ ও দশানী নদীর উপর নির্মিত ৪টি ব্রিজও ঝুকির মধ্যে রয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
এব্যাপারে মেরুরচর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু জানান, নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ। বিষয়টি আমি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেছি। কিন্তু সরকারি বরাদ্ধ না পাওয়ায় তাদের পাশে দাড়াঁনো সম্ভব হচ্ছেনা।
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সুমন জানান, নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি প্রশাসনিক নজরে আছে। সতর্ক বার্তা প্রচার করা হয়েছে। তবে আপাতত ক্ষতি গ্রস্ত বা ভাঙ্গন প্রতিরোধে সরকারি কোন বরাদ্ধ নেই। বরাদ্ধ পেলেই সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানার মতামত জানার জন্য তার মোবাইলে বার বার কল ও ক্ষুদেবার্তা দিয়েও কল না ধরায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানার কোন মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) : মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে নদীর পানি -সংবাদ
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
দশানী নদী ও ব্রম্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে আতংকিত হয়ে পড়েছে বকশীগঞ্জ উপজেলার নদীপাড়ের বাসিন্দারা। সর্তক বার্তা ছাড়া প্রশাসনিকভাবে ভাঙন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
জানা যায়, ভৌগলিকভাবে বকশীগঞ্জ উপজেলা ব্রম্মপুত্র নদ ও দশানী নদী বেষ্টিত। বকশীগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে মেরুরচর, সাধুরপাড়া, বগারচর ও নীলাক্ষিয়া ইউনিয়ন ব্রম্মপুত্র নদ ও দশানী নদীর কুল ঘেষে অবস্থিত। সারা বছর ৪টি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত গ্রামবাসী নদী ভাঙনের শিকার হয়। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাড়িঘর, আবাদী জমি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙনের কবলে পড়ে। তবে বর্ষাকালে এর তীব্রতা বাড়ে। ১৫ মে থেকে ভারত থেকে নেমে আসা প্রবল ঢলে বকশীগঞ্জ উপজেলার ব্রম্মপুত্র নদ ও দশানী নদীর পানি হুহু করে বাড়ছে। পানির স্রোতের গতিও তীব্র। তাই নদী ভাঙন মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১০টি পরিবারের বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। শত শত একর ফসলী জমি নদী গ্রাস করেছে। বন্যার পানি বাড়ার সাতে সাথে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা যাতায়াতের একমাত্র বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ সড়ক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ব্রম্মপুত্র নদ ও দশানী নদীর উপর নির্মিত ৪টি ব্রিজও ঝুকির মধ্যে রয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
এব্যাপারে মেরুরচর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু জানান, নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ। বিষয়টি আমি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেছি। কিন্তু সরকারি বরাদ্ধ না পাওয়ায় তাদের পাশে দাড়াঁনো সম্ভব হচ্ছেনা।
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সুমন জানান, নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি প্রশাসনিক নজরে আছে। সতর্ক বার্তা প্রচার করা হয়েছে। তবে আপাতত ক্ষতি গ্রস্ত বা ভাঙ্গন প্রতিরোধে সরকারি কোন বরাদ্ধ নেই। বরাদ্ধ পেলেই সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানার মতামত জানার জন্য তার মোবাইলে বার বার কল ও ক্ষুদেবার্তা দিয়েও কল না ধরায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানার কোন মতামত জানা সম্ভব হয়নি।