alt

সারাদেশ

পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, এক মাস পর মামলা

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : বুধবার, ২১ মে ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা দর্শনার ইমিগ্রেশন ভবন থেকে পুলিশ কনস্টেবল শামিম রেজা সাজুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সাত সহকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার একমাস পর নিহত পুলিশ সদস্যের বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার দর্শনা থানা আমলি আদালতে মামলাটি করেন।

আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দায়িত্ব দিয়েছেন। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হাসান লাভলু বলেন, বাদীর অভিযোগ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে তা তদন্তে সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

জানা গেছে, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাসেম আলী ফরাজীর ছেলে শামিম রেজা সাজু চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল সকালে চেকপোস্টের নতুন ভবনের দোতলার একটি কক্ষ থেকে শামিমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় দর্শনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছিল।

শামিমের লাশ উদ্ধারের এক মাসের বেশি সময় পর তার বাবা হাসেম আলী ফরাজী আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে, সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) তারেক মাহমুদ, লাভলুর রহমান, মিঠুন হোসেন, সহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মেহেদী হাসান, ইমিগ্রেশন বিভাগের ইনচার্জ সহকারী পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী ও কনস্টেবল সোহেল রানাকে।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তার ছেলে শামিম রেজা বিবাহিত এবং পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান আছে। পুত্রবধূ (শামিমের স্ত্রী) একমাত্র সন্তান নিয়ে তার বাড়িতে এবং ছেলে (শামিম রেজা) চেকপোস্টের নতুন ভবনের দোতলায় অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে থাকতেন। সংসার জীবনে কোনো অশান্তি ছিল না।

বাদীর অভিযোগ, দর্শনা ইমিগ্রেশনে বদলি হওয়ার পর থেকেই শামিম রেজা বৈষম্যের শিকার ছিলেন। বিভিন্ন খুঁটিনাটি কারণে ১ থেকে ৬ নম্বর আসামিরা তাকে (শামিম রেজা) মানসিক চাপে রাখতেন এবং কারণে-অকারণে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতেন। শামিম প্রতিবাদ করায় ওই ছয়জন তাকে খুন করার হুমকি দিতেন। এসব কারণে শামিম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।

মামলার এজাহারে দাবি করা হয়, ১৭ এপ্রিল ১-৫ নম্বর আসামিরা কনস্টেবল শামিমকে খুন করার হুমকি দিলে তিনি নিজ গ্রামের বাসিন্দা সহকর্মী (৭ নম্বর আসামি) সোহেল রানাকে হোয়াটসঅ্যাপে তা জানান। সোহেল রানা বিষয়টি শামিমের বাড়ির কাউকে না জানিয়ে অন্যদের (ছয় আসামি) তা জানিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় ১৭ এপ্রিল রাত পৌনে ১১টার পর যে কোনো সময় শামিমকে হত্যা করে কক্ষের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন।

ছবি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণে ইউএস মেরিন

সাদুল্লাপুরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল যুবকের

ছবি

তালের শাঁসের বিক্রি বেড়েছে মধুপুরে

নাতিকে বস্তাবন্দি দাদাকে হত্যা করে গরু ডাকাতি

ছবি

গোয়ালন্দে সমলয় পদ্ধতিতে ধান কর্তন উদ্বোধন

ছবি

পলাশে গাছেগাছে শোভা পাচ্ছে রসালো ফল কাঁঠাল

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ

ছবি

আনোয়ারায় জমজমাট তৈলারদ্বীপ পশুর হাট

দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ নিহত ১, আহত ১০

ছবি

টাঙ্গাইলে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক সেচ-সংকটে পুড়ছে ধান

দোহারে গৃহবধূর আত্মহত্যা

আমগাছ থেকে পড়ে গ্রিল মিস্ত্রির মৃত্যু

শেষ বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারেনি ৪০০ শিক্ষার্থী বরিশাল নার্সিং কলেজ

সমুদ্রসৈকতে প্যারাসেইলিং থেকে ছিটকে পড়লেন পর্যটক দম্পতি

তিন জেলায় সড়কে ও রেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ চারজন নিহত

টর্চলাইট চার্জ দিতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

ছবি

সরকারি জমির অর্ধশতবর্ষী বটগাছ কেটে ফেললেন বিএনপি নেতা

কুমিল্লায় ডোবায় ডুবে মামা-ভাগনের মৃত্যু

মশার কয়েলের আগুনে পুড়ে মারা গেল কোরবানির ৩ গরু

ছবি

চাঁদপুরে সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ দুর্ভোগে শতাধিক পরিবার

মোরেলগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জনবল সংকট, কার্যক্রম ব্যাহত

৮ বছরেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি লালমাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরং

ছবি

খানাখন্দে ভরা ফখরুদ্দিন রোড সংস্কারে দায়িত্ব নিতে চায় না কেউ

ডোমারে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা

পাকুন্দিয়ায় কৃষক প্রশিক্ষণ

বরগুনা কক্ষের অভাবে এজলাস ভাগাভাগি করে চলছে বিচার কাজ, বাড়ছে মামলা জট

কোরবানির জন্য ৬৮ হাজার পশু প্রস্তুত বাগাতিপাড়ায়

ছবি

যমুনার পাড়ে ৪২ কোটি টাকার বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প ৭ বছরেও চালু হয়নি

ছবি

টাঙ্গাইলে রংপুরগামী বাসে ডাকাতদল লুটপাট চালিয়ে পালিয়েছে

চুনারুঘাটে গাড়িচাপায় হনুমান শাবকের মৃত্যু, আহত মায়ের নীরব কান্না

চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদলের ৪ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

ভাঙনকবলে আতংকিত নদীপাড়ের মানুষ

ছবি

ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযানে ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু

ড্রাম ট্রাক চাপায় পিকআপচালক নিহত

ছবি

সাটুরিয়ার যমুনা ব্রিকসের কার্যক্রম বন্ধ, কৃষকের ক্ষতিপুরণের নির্দেশ

tab

সারাদেশ

পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, এক মাস পর মামলা

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

বুধবার, ২১ মে ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা দর্শনার ইমিগ্রেশন ভবন থেকে পুলিশ কনস্টেবল শামিম রেজা সাজুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সাত সহকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার একমাস পর নিহত পুলিশ সদস্যের বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার দর্শনা থানা আমলি আদালতে মামলাটি করেন।

আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দায়িত্ব দিয়েছেন। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হাসান লাভলু বলেন, বাদীর অভিযোগ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে তা তদন্তে সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

জানা গেছে, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাসেম আলী ফরাজীর ছেলে শামিম রেজা সাজু চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল সকালে চেকপোস্টের নতুন ভবনের দোতলার একটি কক্ষ থেকে শামিমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় দর্শনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছিল।

শামিমের লাশ উদ্ধারের এক মাসের বেশি সময় পর তার বাবা হাসেম আলী ফরাজী আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে, সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) তারেক মাহমুদ, লাভলুর রহমান, মিঠুন হোসেন, সহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মেহেদী হাসান, ইমিগ্রেশন বিভাগের ইনচার্জ সহকারী পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী ও কনস্টেবল সোহেল রানাকে।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তার ছেলে শামিম রেজা বিবাহিত এবং পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান আছে। পুত্রবধূ (শামিমের স্ত্রী) একমাত্র সন্তান নিয়ে তার বাড়িতে এবং ছেলে (শামিম রেজা) চেকপোস্টের নতুন ভবনের দোতলায় অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে থাকতেন। সংসার জীবনে কোনো অশান্তি ছিল না।

বাদীর অভিযোগ, দর্শনা ইমিগ্রেশনে বদলি হওয়ার পর থেকেই শামিম রেজা বৈষম্যের শিকার ছিলেন। বিভিন্ন খুঁটিনাটি কারণে ১ থেকে ৬ নম্বর আসামিরা তাকে (শামিম রেজা) মানসিক চাপে রাখতেন এবং কারণে-অকারণে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতেন। শামিম প্রতিবাদ করায় ওই ছয়জন তাকে খুন করার হুমকি দিতেন। এসব কারণে শামিম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।

মামলার এজাহারে দাবি করা হয়, ১৭ এপ্রিল ১-৫ নম্বর আসামিরা কনস্টেবল শামিমকে খুন করার হুমকি দিলে তিনি নিজ গ্রামের বাসিন্দা সহকর্মী (৭ নম্বর আসামি) সোহেল রানাকে হোয়াটসঅ্যাপে তা জানান। সোহেল রানা বিষয়টি শামিমের বাড়ির কাউকে না জানিয়ে অন্যদের (ছয় আসামি) তা জানিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় ১৭ এপ্রিল রাত পৌনে ১১টার পর যে কোনো সময় শামিমকে হত্যা করে কক্ষের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন।

back to top