কুমিল্লার লালমাই উপজেলা প্রতিষ্ঠার ৮ বছরেও গড়ে উঠেনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ভাড়া জায়গায় কিছুসংখ্যক জনবল নিয়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। এছাড়াও ২০ শয্যা একটি হাসপাতাল থাকলেও নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল। যার কারণে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে লাখো মানুষ।
২০১৭ সালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা থেকে ৮টি ইউনিয়ন ও লাকসাম উপজেলা থেকে একটি ইউনিয়ন নিয়ে লালমাই উপজেলা প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এই উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ আর তাই তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এখনো পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোনো প্রকার সুব্যবস্থা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন না থাকায় জরুরি সেবা থেকে শুরু করে যাবতীয় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার মানুষ।
২০ শয্যা হাসপাতালের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যার কারণে এখানে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদেরও ভোগান্তির শেষ নেই বল্লেই চলে। এদিকে বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের মঞ্জুরিকৃত জনবল অনুযায়ী ডাক্তার থেকে শুরু করে ওয়ার্ড বয় পর্যন্ত ২৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও সেখানে রয়েছে ১২ জন। তার মধ্যে আরএমও ডা. সায়েমা কুমিল্লা সদর হাসপাতাল, ল্যাভ এটেনডেন্ট সুইটি আক্তার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ও ওয়ার্ড বয় আওলাদ হোসেনসহ ৬ জনই বেতন ভাতাদি বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতাল থেকে নিলেও কর্মরত রয়েছেন বিভিন্ন স্থানে।
লালমাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবলের তালিকা অনুযায়ী ৩৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও অস্থায়ী স্থানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ৯ জন সেবা দিয়ে আসছেন। তাদের মধ্যে ডা. অরূপ কুমার বেতন ভাতাবি এখান থেকে নিলেও নিয়মিত কাজ করে আসছেন কুমিল্লা সদর হাসপাতালের আইসিও বিভাগে। নাফিজ ইমতিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ কুমিল্লা সদর হসপিটাল, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. উম্মে সালমা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মেডিকেল অফিসার ইনানী ডা. বদরুদ্দোজা মানিকগঞ্জ সদর হসপিটাল কর্মরত রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাক্তার এনামুল হক বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবনের জন্য আমরা কয়েকবার লিখিত পাঠিয়েছি। যাতে করে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পেতে পারি। এছাড়া আমাদের জনবলও যথেষ্ট পরিমাণ সংকট রয়েছে।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডাক্তার আলী নুর মোহাম্মদ বশির আহমেদ বলেন, বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের মধ্যেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালিত হচ্ছে। এখানে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ কয়েকজন ডাক্তার রয়েছে। এছাড়া, ২০ শয্যা হাসপাতালের মধ্যেই যাতে ৫০ শয্যা হাসপাতাল চালু করা যেতে পারে সেজন্য আমরা মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত পাঠিয়েছি। এ সময়- ২০ শয্যা হাসপাতালের আরএমও সহ অনেক ডাক্তার লালমাই কর্মস্থল হলেও কেন তারা অন্য জায়গায় সেবা দিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এইটা সরকারের একতিয়ার অর্থাৎ এই রকম নিয়ম রয়েছে তাই কর্মস্থল এখানে থাকলেও তারা অন্যত্র সেবা দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে লালমাইবাসী কি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না প্রশ্নে তিনি বলেন, না লালমাইবাসীর জন্য এমনিতেই কয়েকজন ডাক্তার রয়েছেন।
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
কুমিল্লার লালমাই উপজেলা প্রতিষ্ঠার ৮ বছরেও গড়ে উঠেনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ভাড়া জায়গায় কিছুসংখ্যক জনবল নিয়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। এছাড়াও ২০ শয্যা একটি হাসপাতাল থাকলেও নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল। যার কারণে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে লাখো মানুষ।
২০১৭ সালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা থেকে ৮টি ইউনিয়ন ও লাকসাম উপজেলা থেকে একটি ইউনিয়ন নিয়ে লালমাই উপজেলা প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এই উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ আর তাই তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এখনো পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোনো প্রকার সুব্যবস্থা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন না থাকায় জরুরি সেবা থেকে শুরু করে যাবতীয় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার মানুষ।
২০ শয্যা হাসপাতালের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যার কারণে এখানে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদেরও ভোগান্তির শেষ নেই বল্লেই চলে। এদিকে বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের মঞ্জুরিকৃত জনবল অনুযায়ী ডাক্তার থেকে শুরু করে ওয়ার্ড বয় পর্যন্ত ২৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও সেখানে রয়েছে ১২ জন। তার মধ্যে আরএমও ডা. সায়েমা কুমিল্লা সদর হাসপাতাল, ল্যাভ এটেনডেন্ট সুইটি আক্তার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ও ওয়ার্ড বয় আওলাদ হোসেনসহ ৬ জনই বেতন ভাতাদি বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতাল থেকে নিলেও কর্মরত রয়েছেন বিভিন্ন স্থানে।
লালমাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবলের তালিকা অনুযায়ী ৩৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও অস্থায়ী স্থানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ৯ জন সেবা দিয়ে আসছেন। তাদের মধ্যে ডা. অরূপ কুমার বেতন ভাতাবি এখান থেকে নিলেও নিয়মিত কাজ করে আসছেন কুমিল্লা সদর হাসপাতালের আইসিও বিভাগে। নাফিজ ইমতিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ কুমিল্লা সদর হসপিটাল, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. উম্মে সালমা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মেডিকেল অফিসার ইনানী ডা. বদরুদ্দোজা মানিকগঞ্জ সদর হসপিটাল কর্মরত রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাক্তার এনামুল হক বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবনের জন্য আমরা কয়েকবার লিখিত পাঠিয়েছি। যাতে করে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পেতে পারি। এছাড়া আমাদের জনবলও যথেষ্ট পরিমাণ সংকট রয়েছে।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডাক্তার আলী নুর মোহাম্মদ বশির আহমেদ বলেন, বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের মধ্যেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালিত হচ্ছে। এখানে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ কয়েকজন ডাক্তার রয়েছে। এছাড়া, ২০ শয্যা হাসপাতালের মধ্যেই যাতে ৫০ শয্যা হাসপাতাল চালু করা যেতে পারে সেজন্য আমরা মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত পাঠিয়েছি। এ সময়- ২০ শয্যা হাসপাতালের আরএমও সহ অনেক ডাক্তার লালমাই কর্মস্থল হলেও কেন তারা অন্য জায়গায় সেবা দিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এইটা সরকারের একতিয়ার অর্থাৎ এই রকম নিয়ম রয়েছে তাই কর্মস্থল এখানে থাকলেও তারা অন্যত্র সেবা দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে লালমাইবাসী কি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না প্রশ্নে তিনি বলেন, না লালমাইবাসীর জন্য এমনিতেই কয়েকজন ডাক্তার রয়েছেন।