বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ৭টি পদই জনবল না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমে এর প্রভাব পড়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, অনলাইন কার্যক্রম, শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষক ম-লীরা। এ অফিসে এখন একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। কাগজে-কলমে ১৬ মার্চ থেকে জেলার একজন শিক্ষা কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকলেও তিনি এ কর্মস্থলে এসেছেন মাত্র ২ দিন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মাদ্রাসা, কলেজ শিক্ষা কার্যক্রমে ৬৫টি বিদ্যালয়, ১০টি কলেজ, ৪টি কারিগরি কলেজ এবং ৬৩টি মাদ্রাসায় শিক্ষা কার্যক্রম চলে আসছে। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৬শ’ শিক্ষকদের অফিসিয়াল কার্যক্রম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিবছর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, বেতনভাতা, টাইম স্কেল, বিএড স্কেল, নাম সংশোধন, একাউন্স সংশোধন, অনলাইন আবেদন নিষ্পত্তিসহ অনলাইনে সকল কাজ এ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে করতে হয় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। এ ছাড়াও উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম করেন এ অফিসের মাধ্যমে, বর্তমানে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের শিক্ষা কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ৬টি পদই শূন্য রয়েছে। সর্বশেষ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম সাইফুল আলম চলতি বছরের ১৭ মার্চ অন্যত্র বদলি হয়েছেন। পরবর্তীতে এ পদে বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম মোর্শেদ এ কর্মস্থলে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকলেও তিনি এসেছেন মাত্র ২ দিন।
সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদটি ১৯৯৪ সাল থেকে শূন্য রয়েছে। অফিস সহকারীর পদটি ২০২০ সাল থেকে শূন্য, একাডেমিক সুপারভাইজার পদে মো. বাকি বিল্লাহ জানুয়ারি মাসে অন্যত্র বদলি হওয়ায় এ পদটিও শূন্য হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র গোটা অফিসে এখন ভরসা হিসাবরক্ষণ পদে মো. মনিরুজ্জামান, ২ জন চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী কাওসার আলী ও মো. নজরুল ইসলাম চালাচ্ছেন এ অফিস। হিসাবরক্ষণ মনিরুজ্জামান এ উপজেলায় ২০০৭ সাল থেকে ইতোপূর্বে অফিস সহকারীর পদে থেকে পদায়ন হয়ে হিসাবরক্ষণ পদে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি প্রায় ২ যুগ ধরে চাকরির অর্ধেকের বেশি সময় পার করছেন এ কর্মস্থ’লে। কর্মকর্তার শূন্যতায় এ উপজেলায় শিক্ষা কার্যক্রমের প্রভাব পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান অনেকেই বলছেন, কর্মকর্তা না থাকায় অনেক সময় অফিসিয়াল কাগজপত্র স্বাক্ষর করতে তাদের যেতে হচ্ছে জেলা শহর বাগেরহাটে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুছ আলী আকন বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কর্মকর্তা না থাকায় অফিসিয়াল কাজে অনলাইনে সমস্যা বিষয়ও তিনি উপ-পরিচালক খুলনা এবং মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুস ছালম বলেন, তিনি তার প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল কাজের স্বাক্ষর করাতে ৩ দিন ধরে অফিসে ঘুরেও সমাধান হয়নি। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা থাকছেন জেলা শহরে। তার এ কাজটি সমাধানের জন্য তাকে জেলায় যেতে হবে। তিনি অফিসের শূন্যপদগুলোতে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি।
মাধ্যমিক শিক্ষ অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শিক্ষা অফিসার এস এম মোর্শেদ বলেন, তিনি এ উপজেলায় ১৬ই মার্চ থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ২ দিন এ কর্মস্থলে এসেছেন। শিক্ষকদের অনলাইনে ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। উপবৃত্তির সংক্রান্ত আবেদন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে করে থাকে। অফিসিয়াল কোনো কাজ নেই। শূন্যপদ কর্মকর্তার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক পদে জনবল শূন্য থাকার বিষয়ে তিনি ডিসিকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। এ সমস্যা সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় চেষ্টা করছেন।
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ৭টি পদই জনবল না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমে এর প্রভাব পড়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, অনলাইন কার্যক্রম, শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষক ম-লীরা। এ অফিসে এখন একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। কাগজে-কলমে ১৬ মার্চ থেকে জেলার একজন শিক্ষা কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকলেও তিনি এ কর্মস্থলে এসেছেন মাত্র ২ দিন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মাদ্রাসা, কলেজ শিক্ষা কার্যক্রমে ৬৫টি বিদ্যালয়, ১০টি কলেজ, ৪টি কারিগরি কলেজ এবং ৬৩টি মাদ্রাসায় শিক্ষা কার্যক্রম চলে আসছে। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৬শ’ শিক্ষকদের অফিসিয়াল কার্যক্রম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিবছর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, বেতনভাতা, টাইম স্কেল, বিএড স্কেল, নাম সংশোধন, একাউন্স সংশোধন, অনলাইন আবেদন নিষ্পত্তিসহ অনলাইনে সকল কাজ এ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে করতে হয় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। এ ছাড়াও উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম করেন এ অফিসের মাধ্যমে, বর্তমানে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের শিক্ষা কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ৬টি পদই শূন্য রয়েছে। সর্বশেষ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম সাইফুল আলম চলতি বছরের ১৭ মার্চ অন্যত্র বদলি হয়েছেন। পরবর্তীতে এ পদে বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম মোর্শেদ এ কর্মস্থলে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকলেও তিনি এসেছেন মাত্র ২ দিন।
সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদটি ১৯৯৪ সাল থেকে শূন্য রয়েছে। অফিস সহকারীর পদটি ২০২০ সাল থেকে শূন্য, একাডেমিক সুপারভাইজার পদে মো. বাকি বিল্লাহ জানুয়ারি মাসে অন্যত্র বদলি হওয়ায় এ পদটিও শূন্য হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র গোটা অফিসে এখন ভরসা হিসাবরক্ষণ পদে মো. মনিরুজ্জামান, ২ জন চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী কাওসার আলী ও মো. নজরুল ইসলাম চালাচ্ছেন এ অফিস। হিসাবরক্ষণ মনিরুজ্জামান এ উপজেলায় ২০০৭ সাল থেকে ইতোপূর্বে অফিস সহকারীর পদে থেকে পদায়ন হয়ে হিসাবরক্ষণ পদে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি প্রায় ২ যুগ ধরে চাকরির অর্ধেকের বেশি সময় পার করছেন এ কর্মস্থ’লে। কর্মকর্তার শূন্যতায় এ উপজেলায় শিক্ষা কার্যক্রমের প্রভাব পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান অনেকেই বলছেন, কর্মকর্তা না থাকায় অনেক সময় অফিসিয়াল কাগজপত্র স্বাক্ষর করতে তাদের যেতে হচ্ছে জেলা শহর বাগেরহাটে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুছ আলী আকন বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কর্মকর্তা না থাকায় অফিসিয়াল কাজে অনলাইনে সমস্যা বিষয়ও তিনি উপ-পরিচালক খুলনা এবং মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুস ছালম বলেন, তিনি তার প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল কাজের স্বাক্ষর করাতে ৩ দিন ধরে অফিসে ঘুরেও সমাধান হয়নি। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা থাকছেন জেলা শহরে। তার এ কাজটি সমাধানের জন্য তাকে জেলায় যেতে হবে। তিনি অফিসের শূন্যপদগুলোতে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি।
মাধ্যমিক শিক্ষ অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শিক্ষা অফিসার এস এম মোর্শেদ বলেন, তিনি এ উপজেলায় ১৬ই মার্চ থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ২ দিন এ কর্মস্থলে এসেছেন। শিক্ষকদের অনলাইনে ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। উপবৃত্তির সংক্রান্ত আবেদন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে করে থাকে। অফিসিয়াল কোনো কাজ নেই। শূন্যপদ কর্মকর্তার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক পদে জনবল শূন্য থাকার বিষয়ে তিনি ডিসিকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। এ সমস্যা সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় চেষ্টা করছেন।