চাঁদপুর : প্রতাপসাহা এলাকার আলীম পাড়া-গাঙ্গুলী পাড়া সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী -সংবাদ
বন্ধ হয়ে গেলো প্রতাপসাহা এলাকার আলীম পাড়া-গাঙ্গুলী পাড়া নতুন সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ। এতে করে নিত্যদিনের যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার কয়েক শতাধিক পরিবার ও বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শহরের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানের এমন নতুন নির্মাণাধীন সড়কটির কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, খুব দ্রুত যেন সড়কটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। জানা যায়, গত ৪-৫ মাস পূর্বে চাঁদপুর পৌরসভার অর্থায়নে চাঁদপুর সিএসডি গোডাউনের রেলপথের প্রবেশ মুখ (লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের গেট) হতে ছায়াবাণী রেলগেট পর্যন্ত শহর বাসির যাতায়াতায়ের জন্য নতুন একটি সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। সড়কটি নির্মাণ হওয়ার স্বার্থে স্থানীয়রা যার যার নিজ খরচে তাদের বাউন্ডারি ভেঙ্গে চাপিয়ে নেন এবং বিভিন্ন গাছ-গাছালি কেটে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ভেঙে ফেলেন।
সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ৪-৫ মাস পূর্বে কাজ ধরা হলে নতুন সড়কটির ৬০ ভাগ ঢালাই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আর বাকি ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হলেই চাঁদপুর শহরের আলীম পাড়া-গাঙ্গুলী পাড়া নতুন এই সংযোগ সড়কটির কাজ সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা। স্থানীয়রা জানান, গত ২০-২৫ দিন পূর্বে দুই দফায় রেলওয়ের লোকজন গিয়ে সড়কের চলমান কাজটি বন্ধ করে দেন।
তাই তাদের মনে প্রশ্ন সড়কটির ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হলেও, এতদিন পরে এসে কেন রেলওয়ের লোকজন রহস্যজনকভাবে এই সড়কটির বাকি কাজ শেষ না হতেই সেটি বন্ধ করে দিলেন? এতে করে অনেকেই ধারনা করছেন, যেই সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেই সড়কটি ছায়াবাণী রেলক্রসিং গিয়ে হাজী মহসীন রোডের সঙ্গে যেখানে সংযুক্ত হবে। কেউ হয়তো কারো একক ব্যক্তিস্বার্থে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি না হওয়ার জন্য কোনো অভিযোগ করেছেন। তা না হলে কেন ৬০ ভাগ কাজ হওয়ার পর, এতদিন পরে এসে হঠাৎ রহস্যজনকভাবে নতুন এই সংযোগ সড়কটির কাজ বন্ধ করে দেয়া হলো।
প্রতাপসাহা এলাকার বাসিন্দা ফজলে মাহমুদ, মো. মাজহারুল ইসলাম দাদন, দেলোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট শিবলু আলম, শামীম, মোরশেদ আলম মন্টু, সুমন, হাসান এবং আহসান হাবিবসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সকাল-বিকেল আল-আমিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাত্রী শাখা, লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লেডি দেহলভী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয় এবং নতুন বাজার মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে।
এ ছাড়া এই সড়কটি দিয়ে আলীম পাড়া, পাল পাড়া, গাঙ্গুলী পাড়া, উকিল পাড়া এবং নতুন বাজারের অনেক বাসিন্দাও চলাচল করে থাকেন। সড়কটির নির্মাণকাজ কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে বর্তমানে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিনের পরিত্যাক্ত রেললাইনের পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে আমাদের অনেক দুর্ভোগে পড়তে হয়।
তাই আমরা আমাদের সুবিধার্থে এই সড়কটি নির্মাণ করার জন্য নিজ নিজ খরচে আমরা আমাদের নিজেদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছি। আমরা আমাদের বাউন্ডারি ভেঙে, গাছ-গাছালি কেটে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে সরিয়ে নিয়ে গেছি। আমরা চাই, শহরবাসি এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সড়কটির নির্মাণকাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হোক। তা না হলে আমরা যেই জায়গাগুলো ছেড়ে দিয়েছি সেই জায়গাগুলো যেন চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আবার আমাদেরকে ফিরিয়ে দেয়। কারো একক ব্যক্তি স্বার্থে যেন এই সড়কের চলমান নির্মাণকাজ একেবারে বন্ধ হয়ে না যায়, তার জন্য চাঁদপুর পৌর প্রশাসক এবং জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়ভুক্তভুগী মহল।
চাঁদপুর : প্রতাপসাহা এলাকার আলীম পাড়া-গাঙ্গুলী পাড়া সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী -সংবাদ
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
বন্ধ হয়ে গেলো প্রতাপসাহা এলাকার আলীম পাড়া-গাঙ্গুলী পাড়া নতুন সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ। এতে করে নিত্যদিনের যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার কয়েক শতাধিক পরিবার ও বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শহরের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানের এমন নতুন নির্মাণাধীন সড়কটির কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, খুব দ্রুত যেন সড়কটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। জানা যায়, গত ৪-৫ মাস পূর্বে চাঁদপুর পৌরসভার অর্থায়নে চাঁদপুর সিএসডি গোডাউনের রেলপথের প্রবেশ মুখ (লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের গেট) হতে ছায়াবাণী রেলগেট পর্যন্ত শহর বাসির যাতায়াতায়ের জন্য নতুন একটি সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। সড়কটি নির্মাণ হওয়ার স্বার্থে স্থানীয়রা যার যার নিজ খরচে তাদের বাউন্ডারি ভেঙ্গে চাপিয়ে নেন এবং বিভিন্ন গাছ-গাছালি কেটে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ভেঙে ফেলেন।
সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ৪-৫ মাস পূর্বে কাজ ধরা হলে নতুন সড়কটির ৬০ ভাগ ঢালাই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আর বাকি ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হলেই চাঁদপুর শহরের আলীম পাড়া-গাঙ্গুলী পাড়া নতুন এই সংযোগ সড়কটির কাজ সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা। স্থানীয়রা জানান, গত ২০-২৫ দিন পূর্বে দুই দফায় রেলওয়ের লোকজন গিয়ে সড়কের চলমান কাজটি বন্ধ করে দেন।
তাই তাদের মনে প্রশ্ন সড়কটির ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হলেও, এতদিন পরে এসে কেন রেলওয়ের লোকজন রহস্যজনকভাবে এই সড়কটির বাকি কাজ শেষ না হতেই সেটি বন্ধ করে দিলেন? এতে করে অনেকেই ধারনা করছেন, যেই সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেই সড়কটি ছায়াবাণী রেলক্রসিং গিয়ে হাজী মহসীন রোডের সঙ্গে যেখানে সংযুক্ত হবে। কেউ হয়তো কারো একক ব্যক্তিস্বার্থে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি না হওয়ার জন্য কোনো অভিযোগ করেছেন। তা না হলে কেন ৬০ ভাগ কাজ হওয়ার পর, এতদিন পরে এসে হঠাৎ রহস্যজনকভাবে নতুন এই সংযোগ সড়কটির কাজ বন্ধ করে দেয়া হলো।
প্রতাপসাহা এলাকার বাসিন্দা ফজলে মাহমুদ, মো. মাজহারুল ইসলাম দাদন, দেলোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট শিবলু আলম, শামীম, মোরশেদ আলম মন্টু, সুমন, হাসান এবং আহসান হাবিবসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সকাল-বিকেল আল-আমিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাত্রী শাখা, লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লেডি দেহলভী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয় এবং নতুন বাজার মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে।
এ ছাড়া এই সড়কটি দিয়ে আলীম পাড়া, পাল পাড়া, গাঙ্গুলী পাড়া, উকিল পাড়া এবং নতুন বাজারের অনেক বাসিন্দাও চলাচল করে থাকেন। সড়কটির নির্মাণকাজ কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে বর্তমানে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিনের পরিত্যাক্ত রেললাইনের পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে আমাদের অনেক দুর্ভোগে পড়তে হয়।
তাই আমরা আমাদের সুবিধার্থে এই সড়কটি নির্মাণ করার জন্য নিজ নিজ খরচে আমরা আমাদের নিজেদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছি। আমরা আমাদের বাউন্ডারি ভেঙে, গাছ-গাছালি কেটে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে সরিয়ে নিয়ে গেছি। আমরা চাই, শহরবাসি এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সড়কটির নির্মাণকাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হোক। তা না হলে আমরা যেই জায়গাগুলো ছেড়ে দিয়েছি সেই জায়গাগুলো যেন চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আবার আমাদেরকে ফিরিয়ে দেয়। কারো একক ব্যক্তি স্বার্থে যেন এই সড়কের চলমান নির্মাণকাজ একেবারে বন্ধ হয়ে না যায়, তার জন্য চাঁদপুর পৌর প্রশাসক এবং জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়ভুক্তভুগী মহল।