alt

সারাদেশ

তালের শাঁসের বিক্রি বেড়েছে মধুপুরে

প্রতিনিধি,ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল): : বুধবার, ২১ মে ২০২৫

এখন চলছে মধুমাস। এই মধু মাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হরেক রকম ফলের সমাহার। ফলের তালিকায় রয়েছে কাঁঠাল, আম, জাম, লিচু । এছাড়াও অন্যতম আরেকটি ফল তাল। তালের ভেতরের অংশ খুবই সুস্বাদু। গ্রাম্য ভাষায় এটি তালের শাঁস নামেই বেশী পরিচিত। প্রচ- গরমে তালের এই শাঁসটি শহর কিংবা গ্রামের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়।

বর্তমান সময়ে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন অলিগলি, পাড়া-মহল্লাতে এই মৌসুমী ফল তালের শাস বিক্রি বেড়েছে। অনেক মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা তাল গাছ থেকে অপরিপক্ক তাল ফল পাইকারী কিনে এনে তা কেটে কেটে বিভিন্ন দামে বিক্রি করে থাকে। তাবে নরম অবস্থায় তাল শাঁসের দাম অনেক বেশি।

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী ও ভ্রাম্যমান তালের শাঁস বিক্রি বেড়ে গেছে। গরমের মধ্যে তৈলাক্ত খাবারের চেয়ে তালের শাঁস অনেক উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে অনেক গুণাগুণ।

জানা গেছে, এ উপজেলার গৃহস্থদের গাছের তাল ফলের চাহিদা শেষে পাশর্^বর্তী গাজীপুরের কালিয়াকৈর, জামালপুর, শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলা থেকে সরবারহ করা হয়। সব বয়সী লোকের মধ্যে এই তালের শাঁসের কদর দিন দিন বেড়েই চলছে।

মধুপুর পৌরশহরের তালের শাঁস বিক্রেতা সোহেল রানা জানান, প্রতি বছরই এ সময়ে তাল শাঁস বিক্রি করে বাড়তি আয় করেন। অন্য অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তাল গাছ ক্রয় করে গাছ থেকে সংগ্রহ করে এনে বিক্রি করেন। তবে, গাছে উঠে পাড়া সবচেয়ে কষ্টকর। বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠের অর্ধেক পর্যন্ত এ দেড় মাস চলবে তালের শাঁস বিক্রির কাজ। প্রতিদিন প্রায় ৪শ থেকে ৫শ তালের শাঁস বিক্রি করা যায়। প্রতিটি শাঁস ৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা বিক্রি হয়। এরমধ্যে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা লাভ হয়।

মধুপুরের আউশনারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সালমা আক্তার হ্যাপী বলেন, তালের শাঁস খুবই সুস্বাদু ফল। গরম থেকে এসে তালের শাঁস খেতে ভালই লাগে মনটা জুড়িয়ে যায়। ফলে এর কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে, “তালের গাছ এক পায়ে দাড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উকি মারে আকাশে” কবির সে কবিতার মতো সারি সারি তাল গাছ রাস্তার দুই ধারে এমন দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। অনেক বাড়ির পাশে কিংবা রাস্তার ধারে তালের বীজ বপন করত। কিন্তু এখন আর তাও দেখা মেলে না। তবে, সরকারিভাবে মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার পাশে তাল বীজ বপন করা হতো। এটি খুবই ভালো উদ্যোগ ছিলো। এ কার্যক্রম যেন আবারো চালু হয় বলেও তিনি দাবি করেন।

ছবি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণে ইউএস মেরিন

সাদুল্লাপুরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল যুবকের

নাতিকে বস্তাবন্দি দাদাকে হত্যা করে গরু ডাকাতি

ছবি

গোয়ালন্দে সমলয় পদ্ধতিতে ধান কর্তন উদ্বোধন

ছবি

পলাশে গাছেগাছে শোভা পাচ্ছে রসালো ফল কাঁঠাল

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ

ছবি

আনোয়ারায় জমজমাট তৈলারদ্বীপ পশুর হাট

দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ নিহত ১, আহত ১০

ছবি

টাঙ্গাইলে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক সেচ-সংকটে পুড়ছে ধান

দোহারে গৃহবধূর আত্মহত্যা

আমগাছ থেকে পড়ে গ্রিল মিস্ত্রির মৃত্যু

শেষ বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারেনি ৪০০ শিক্ষার্থী বরিশাল নার্সিং কলেজ

সমুদ্রসৈকতে প্যারাসেইলিং থেকে ছিটকে পড়লেন পর্যটক দম্পতি

তিন জেলায় সড়কে ও রেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ চারজন নিহত

টর্চলাইট চার্জ দিতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

ছবি

সরকারি জমির অর্ধশতবর্ষী বটগাছ কেটে ফেললেন বিএনপি নেতা

কুমিল্লায় ডোবায় ডুবে মামা-ভাগনের মৃত্যু

মশার কয়েলের আগুনে পুড়ে মারা গেল কোরবানির ৩ গরু

ছবি

চাঁদপুরে সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ দুর্ভোগে শতাধিক পরিবার

মোরেলগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জনবল সংকট, কার্যক্রম ব্যাহত

৮ বছরেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি লালমাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরং

ছবি

খানাখন্দে ভরা ফখরুদ্দিন রোড সংস্কারে দায়িত্ব নিতে চায় না কেউ

ডোমারে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা

পাকুন্দিয়ায় কৃষক প্রশিক্ষণ

পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, এক মাস পর মামলা

বরগুনা কক্ষের অভাবে এজলাস ভাগাভাগি করে চলছে বিচার কাজ, বাড়ছে মামলা জট

কোরবানির জন্য ৬৮ হাজার পশু প্রস্তুত বাগাতিপাড়ায়

ছবি

যমুনার পাড়ে ৪২ কোটি টাকার বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প ৭ বছরেও চালু হয়নি

ছবি

টাঙ্গাইলে রংপুরগামী বাসে ডাকাতদল লুটপাট চালিয়ে পালিয়েছে

চুনারুঘাটে গাড়িচাপায় হনুমান শাবকের মৃত্যু, আহত মায়ের নীরব কান্না

চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদলের ৪ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

ভাঙনকবলে আতংকিত নদীপাড়ের মানুষ

ছবি

ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযানে ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু

ড্রাম ট্রাক চাপায় পিকআপচালক নিহত

ছবি

সাটুরিয়ার যমুনা ব্রিকসের কার্যক্রম বন্ধ, কৃষকের ক্ষতিপুরণের নির্দেশ

tab

সারাদেশ

তালের শাঁসের বিক্রি বেড়েছে মধুপুরে

প্রতিনিধি,ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল):

বুধবার, ২১ মে ২০২৫

এখন চলছে মধুমাস। এই মধু মাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হরেক রকম ফলের সমাহার। ফলের তালিকায় রয়েছে কাঁঠাল, আম, জাম, লিচু । এছাড়াও অন্যতম আরেকটি ফল তাল। তালের ভেতরের অংশ খুবই সুস্বাদু। গ্রাম্য ভাষায় এটি তালের শাঁস নামেই বেশী পরিচিত। প্রচ- গরমে তালের এই শাঁসটি শহর কিংবা গ্রামের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়।

বর্তমান সময়ে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন অলিগলি, পাড়া-মহল্লাতে এই মৌসুমী ফল তালের শাস বিক্রি বেড়েছে। অনেক মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা তাল গাছ থেকে অপরিপক্ক তাল ফল পাইকারী কিনে এনে তা কেটে কেটে বিভিন্ন দামে বিক্রি করে থাকে। তাবে নরম অবস্থায় তাল শাঁসের দাম অনেক বেশি।

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী ও ভ্রাম্যমান তালের শাঁস বিক্রি বেড়ে গেছে। গরমের মধ্যে তৈলাক্ত খাবারের চেয়ে তালের শাঁস অনেক উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে অনেক গুণাগুণ।

জানা গেছে, এ উপজেলার গৃহস্থদের গাছের তাল ফলের চাহিদা শেষে পাশর্^বর্তী গাজীপুরের কালিয়াকৈর, জামালপুর, শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলা থেকে সরবারহ করা হয়। সব বয়সী লোকের মধ্যে এই তালের শাঁসের কদর দিন দিন বেড়েই চলছে।

মধুপুর পৌরশহরের তালের শাঁস বিক্রেতা সোহেল রানা জানান, প্রতি বছরই এ সময়ে তাল শাঁস বিক্রি করে বাড়তি আয় করেন। অন্য অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তাল গাছ ক্রয় করে গাছ থেকে সংগ্রহ করে এনে বিক্রি করেন। তবে, গাছে উঠে পাড়া সবচেয়ে কষ্টকর। বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠের অর্ধেক পর্যন্ত এ দেড় মাস চলবে তালের শাঁস বিক্রির কাজ। প্রতিদিন প্রায় ৪শ থেকে ৫শ তালের শাঁস বিক্রি করা যায়। প্রতিটি শাঁস ৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা বিক্রি হয়। এরমধ্যে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা লাভ হয়।

মধুপুরের আউশনারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সালমা আক্তার হ্যাপী বলেন, তালের শাঁস খুবই সুস্বাদু ফল। গরম থেকে এসে তালের শাঁস খেতে ভালই লাগে মনটা জুড়িয়ে যায়। ফলে এর কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে, “তালের গাছ এক পায়ে দাড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উকি মারে আকাশে” কবির সে কবিতার মতো সারি সারি তাল গাছ রাস্তার দুই ধারে এমন দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। অনেক বাড়ির পাশে কিংবা রাস্তার ধারে তালের বীজ বপন করত। কিন্তু এখন আর তাও দেখা মেলে না। তবে, সরকারিভাবে মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার পাশে তাল বীজ বপন করা হতো। এটি খুবই ভালো উদ্যোগ ছিলো। এ কার্যক্রম যেন আবারো চালু হয় বলেও তিনি দাবি করেন।

back to top