দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ আবাদি ও অনাবাদি জমিতে মরিচের ব্যাপক ফলন হয় -সংবাদ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ আবাদি ও অনাবাদি জমিতে এবার মরিচের ব্যাপক ফলন হয়। চাহিদার কথা বিবেচনা করে এবং লোকসান কাটিয়ে উঠতে কৃষকরা মরিচের চাষ শুরু করে। মাঠ জুড়ে মরিচ গাছ দেখে মনে হয় লাল-সবুজ গালিচা বিছানো। কাছে গেলেই অনেকের ভুল ভাঙ্গবে। বর্তমানে মাঠ জুড়ে মরিচের এমন খুশির ঝিলিক কৃষকের চোখে মুখে ভেসে উঠেছে। চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টিতে মরিচের ফলন যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি মরিচের ঝাল বেশি হবে বলে জানিয়েছেন মরিচ চাষীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে মিন্টু সুপার, লঙ্কা, হাইব্রীড-৬৫৩, বীজ প্লাস, সানী ও বিজলী প্লাসসহ নানা জাতের মরিচের আবাদ হয়। কৃষকের উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত হয়ে থাকে। ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে নারী-পুরুষ ও শিশুরা কয়েকদিন পরেই ব্যস্ত হয়ে পড়বে। দল বেধে গৃহবধূ ও শিশুরা গ্রামে মরিচ তোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। স্কুল বন্ধ থাকলে শিশুরার পরিবারের এই কাজে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া কৃষক পরিবারের বাইরেও নারী শ্রমিকরা মরিচ তোলার কাজে যুক্ত হয়। কৃষকদের তথ্য মতে, ক্ষেত থেকে যারা মরিচ তুলে আনেন তাদেরকে ৪ ভাগের ১ভাগ দিতে হয়। পানি সেচ, সার, ঔষধ, পরিচর্যা বাবদ অনেক টাকাই ব্যয় হয় সংশ্লিষ্ট কৃষকের।
উপজেলার রনগোপালদী গ্রামের মরিচ চাষী মো. শাহ আলম জানান, গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার মরিচের ফলন ভালো হবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষ হয়েছে দ্বিগুন। কৃষকরা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে মরিচের চাষাবাদ করছেন। বিগত বছর গুলোতে ভালো ফলন ও কাঙ্খিত দাম পাওয়ায় এবারে মরিচ চাষে ঝুঁকেছেন অনেক কৃষক। ভাগ্য ফেরানোর আশায় দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন তারা। মরিচ চাষী হাবিবের মতে, ধান ও গমের মত সরকার উৎপাদিত মরিচের মূল্য নির্ধারণ করে দিলে কৃষকরা লাভবান হতেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা ৭টি ইউনিয়নের ৫শত হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে কাঁচা অবস্থায় ১০/১২ টন আর পাকা ও শুকনো ২/৩ টন উৎপাদন হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে এবার। একই ইউনিয়নের মরিচ চাষী সেলিম জানান, গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবারে তিনি বেশি জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। এই বছরে ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ আবাদি ও অনাবাদি জমিতে মরিচের ব্যাপক ফলন হয় -সংবাদ
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ আবাদি ও অনাবাদি জমিতে এবার মরিচের ব্যাপক ফলন হয়। চাহিদার কথা বিবেচনা করে এবং লোকসান কাটিয়ে উঠতে কৃষকরা মরিচের চাষ শুরু করে। মাঠ জুড়ে মরিচ গাছ দেখে মনে হয় লাল-সবুজ গালিচা বিছানো। কাছে গেলেই অনেকের ভুল ভাঙ্গবে। বর্তমানে মাঠ জুড়ে মরিচের এমন খুশির ঝিলিক কৃষকের চোখে মুখে ভেসে উঠেছে। চলতি মৌসুমে অনাবৃষ্টিতে মরিচের ফলন যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি মরিচের ঝাল বেশি হবে বলে জানিয়েছেন মরিচ চাষীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে মিন্টু সুপার, লঙ্কা, হাইব্রীড-৬৫৩, বীজ প্লাস, সানী ও বিজলী প্লাসসহ নানা জাতের মরিচের আবাদ হয়। কৃষকের উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত হয়ে থাকে। ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে নারী-পুরুষ ও শিশুরা কয়েকদিন পরেই ব্যস্ত হয়ে পড়বে। দল বেধে গৃহবধূ ও শিশুরা গ্রামে মরিচ তোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। স্কুল বন্ধ থাকলে শিশুরার পরিবারের এই কাজে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া কৃষক পরিবারের বাইরেও নারী শ্রমিকরা মরিচ তোলার কাজে যুক্ত হয়। কৃষকদের তথ্য মতে, ক্ষেত থেকে যারা মরিচ তুলে আনেন তাদেরকে ৪ ভাগের ১ভাগ দিতে হয়। পানি সেচ, সার, ঔষধ, পরিচর্যা বাবদ অনেক টাকাই ব্যয় হয় সংশ্লিষ্ট কৃষকের।
উপজেলার রনগোপালদী গ্রামের মরিচ চাষী মো. শাহ আলম জানান, গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার মরিচের ফলন ভালো হবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষ হয়েছে দ্বিগুন। কৃষকরা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে মরিচের চাষাবাদ করছেন। বিগত বছর গুলোতে ভালো ফলন ও কাঙ্খিত দাম পাওয়ায় এবারে মরিচ চাষে ঝুঁকেছেন অনেক কৃষক। ভাগ্য ফেরানোর আশায় দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন তারা। মরিচ চাষী হাবিবের মতে, ধান ও গমের মত সরকার উৎপাদিত মরিচের মূল্য নির্ধারণ করে দিলে কৃষকরা লাভবান হতেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা ৭টি ইউনিয়নের ৫শত হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে কাঁচা অবস্থায় ১০/১২ টন আর পাকা ও শুকনো ২/৩ টন উৎপাদন হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে এবার। একই ইউনিয়নের মরিচ চাষী সেলিম জানান, গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবারে তিনি বেশি জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। এই বছরে ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।