বাড়ি বাড়ি ছুটছেন কর্মকর্তারা
ছুটছেন উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ও প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু হানিফ। প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত গরুর রাতেও দিচ্ছেন চিকিৎসা। সরেজমিন ও অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় গৃহপালিত গবাদী পশু সংখ্যা রয়েছে প্রায় অড়াই লাখ। খামারি রয়েছে ১৮শ’ ২০টি এর মধ্যে গত ১ মাস ধরে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫ হাজার গরু ভাইরাস জনিত ল্যাম্পিস্কিন রোগে আক্রমন দেখা দিয়েছে। যা গ্রামঅঞ্চলের মানুষের কাছে পক্স হিসেবে পরিচিত। গত ১৫ দিন ধরে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গরুর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারনে গরুর মালিকরা এখন দিশাহারা। উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে আক্রান্ত গরু নিয়ে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছে মানুষ। গড়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ১০ থেকে ২০টি গরু। বিশেষ করে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে খাউলিয়া, বারইখালী, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, পুটিখালী, বলইবুনিয়া, নিশানবাড়িয়া, দৈবজ্ঞহাটীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে। এ পর্যন্ত এ রোগে ১০ টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে আক্রান্ত গরু নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা বিশারীঘাটা গ্রামের আব্দুল আলিম হাওলদার, খাউলিয়ার আব্দুল খালেক, নিশানবাড়িয়ার নজরুল ইসলাম, পুটিখালীর বাবুল মল্লিক ও বাদুরতলার ইমরান হোসেন বলেন, গত ১৫ দিন ধরে গরুর গায়ে প্রচন্ড জ¦র, গুটি গুটি পক্স উঠে তা ফেটে গিয়ে ক্ষত স্থান তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসকের কাছে। পালিত এ গরু থেকে আমাদের সংসারের আয়ের সম্বল। গরু বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি, আল্লাহর ওপর ভরসা। হাসপাতাল থেকে গোট পক্ষ ভ্যাকসিন দিয়েছে। দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের মৃত্রডাঙ্গা গ্রামের অমল ডাকুয়া বলেন, তার খামারিতে প্রথমে তিনটি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়। দুটি গরু সুস্থ হলেও ২০ দিন পূর্বে প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের একটি মারাগেছে। পুটিখালীতে বাবুল মল্লিকের একটি গাভী বাছুর মারা গেছে বলে তিনি জানান।
বাড়ি বাড়ি ছুটছেন কর্মকর্তারা
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
ছুটছেন উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ও প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু হানিফ। প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত গরুর রাতেও দিচ্ছেন চিকিৎসা। সরেজমিন ও অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় গৃহপালিত গবাদী পশু সংখ্যা রয়েছে প্রায় অড়াই লাখ। খামারি রয়েছে ১৮শ’ ২০টি এর মধ্যে গত ১ মাস ধরে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫ হাজার গরু ভাইরাস জনিত ল্যাম্পিস্কিন রোগে আক্রমন দেখা দিয়েছে। যা গ্রামঅঞ্চলের মানুষের কাছে পক্স হিসেবে পরিচিত। গত ১৫ দিন ধরে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গরুর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারনে গরুর মালিকরা এখন দিশাহারা। উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে আক্রান্ত গরু নিয়ে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছে মানুষ। গড়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ১০ থেকে ২০টি গরু। বিশেষ করে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে খাউলিয়া, বারইখালী, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, পুটিখালী, বলইবুনিয়া, নিশানবাড়িয়া, দৈবজ্ঞহাটীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চলে। এ পর্যন্ত এ রোগে ১০ টি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে আক্রান্ত গরু নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা বিশারীঘাটা গ্রামের আব্দুল আলিম হাওলদার, খাউলিয়ার আব্দুল খালেক, নিশানবাড়িয়ার নজরুল ইসলাম, পুটিখালীর বাবুল মল্লিক ও বাদুরতলার ইমরান হোসেন বলেন, গত ১৫ দিন ধরে গরুর গায়ে প্রচন্ড জ¦র, গুটি গুটি পক্স উঠে তা ফেটে গিয়ে ক্ষত স্থান তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসকের কাছে। পালিত এ গরু থেকে আমাদের সংসারের আয়ের সম্বল। গরু বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি, আল্লাহর ওপর ভরসা। হাসপাতাল থেকে গোট পক্ষ ভ্যাকসিন দিয়েছে। দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের মৃত্রডাঙ্গা গ্রামের অমল ডাকুয়া বলেন, তার খামারিতে প্রথমে তিনটি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়। দুটি গরু সুস্থ হলেও ২০ দিন পূর্বে প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের একটি মারাগেছে। পুটিখালীতে বাবুল মল্লিকের একটি গাভী বাছুর মারা গেছে বলে তিনি জানান।